তারিখ লোড হচ্ছে...

২০২৫ হজ এজেন্সির ন্যূনতম কোটা নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার:

২০২৫ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সিগুলোর জন্য ন্যূনতম কোটা নির্ধারণ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রবিবার (১৬ মার্চ) এ বিষয়ে এক অফিস আদেশ জারি করা হয়, যেখানে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২’ এর বিধি ২৬ অনুযায়ী লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সৌদি আরবের রাজকীয় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০২৩ সালে প্রতিটি এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রী কোটা ছিল ১০০ জন, যা ২০২৪ সালে বাড়িয়ে ২৫০ জন করা হয়। ২০২৫ সালের জন্য এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিটি এজেন্সির জন্য এক হাজার জন নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতদিন পর্যন্ত লিড এজেন্সির মাধ্যমে ১০০ বা ২৫০ জন হজযাত্রীর জন্য বাড়ি/হোটেল ভাড়া, হজযাত্রী প্রেরণ, মক্কা-মদিনা, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় তত্ত্বাবধান এবং হজ শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তবে, ২০২৫ সালে এক এজেন্সির তত্ত্বাবধানে এক হাজার হজযাত্রী রাখার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

এই পরিবর্তনের ফলে হজ ব্যবস্থাপনায় লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলোর ওপর বাড়তি দায়িত্ব বর্তাবে। ফলে, এজেন্সিগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে হজযাত্রীদের সঠিকভাবে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি লিড এজেন্সির অধীনে এক হাজার ও এর বেশি হজযাত্রীর সুষ্ঠুভাবে হজ পালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লিড এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়কারী এজেন্সিরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনায় লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সির প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করা দেওয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সি একত্রে লিড এজেন্সি গঠন সংক্রান্ত চুক্তিনামা নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সম্পাদন করবে। যার কপি হজ অফিসের পরিচালককে পাঠাতে হবে।

২. লিড এজেন্সির স্বত্বাধিকারী পরিচালকের (হজ) সঙ্গে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করবেন।

৩. সমন্বয়কারী এজেন্সি বিমান টিকেটের অর্থ এবং সৌদি পর্বের যাবতীয় ব্যয়ের অর্থ লিড এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করবে।

৪. সমন্বয়কারী এজেন্সি ও লিড এজেন্সি সমন্বয়ের মাধ্যমে হজযাত্রীদের মক্কা ও মদিনায় বাড়ি বা হোটেল ভাড়া করবে।

৫. সমন্বয়কারী এজেন্সি তার এজেন্সির হাজীদের খাবারের আয়োজন নিজ দায়িত্বে করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সব দায়-দায়িত্ব সমন্বয়কারী এজেন্সিকে বহন করতে হবে।

৬. জেদ্দা-মক্কা-মদিনা, মদিনা-মক্কা-জেদ্দা এবং মক্কা-মিনা-আরাফাহ রুটে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য সমন্বয়কারী এজেন্সি ও লিড এজেন্সি পরামর্শে নিজস্ব হাজীদের জন্য পরিবহন চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে।

৭. নির্ধারিত ফ্লাইট সিডিউল অনুসারে হজযাত্রীর গমন ও প্রত্যাগমনের তথ্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সি হজযাত্রীদের অবহিত করবে।

৮. সৌদি আরবে লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সি তাদের সব হজযাত্রীর সেবা নিশ্চিত করবে।

৯. লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের জন্য গাইড নিয়োগ করবে।
১০. লিড এজেন্সি সব হজযাত্রীর অনুকূলে বিমান টিকেট ইস্যুর ব্যবস্থা করবে।

১১. সংশ্লিষ্ট এজেন্সি মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের জন্য ভাড়া বাড়ি বা হোটেলের তথ্য মক্কা ও মদিনা হজ অফিসকে অবহিত করবে।

১২. সমন্বয়কারী এজেন্সি সৌদি মোয়াল্লেম কর্তৃক প্রদত্ত খাবার সব হজযাত্রীকে সঠিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা নেবে।

১৩. গাইড বা মোনাজ্জেমের মোবাইল নম্বর সব হজযাত্রীসহ মক্কা ও মদিনার হজ অফিসকে অবহিত করবে।

২০২৫ সালের হজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন সর্বোপরি হজযাত্রীরা যাতে নির্ধারিত সময়ে হজে গমন করে স্বাচ্ছন্দ্যে হজ পালন করতে সক্ষম হন, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা লিড এজেন্সি ও সমন্বয়কারী এজেন্সি নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করবে। হজযাত্রীদের প্রতি অবহেলা বা যে কোনো ত্রুটির দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে বহন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির বহরে যোগ হচ্ছে ১৮ জলযান: নৌ উপদেষ্টা

বিআইডব্লিউটিসির বহরে যোগ হচ্ছে ১৮ জলযান: নৌ উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, গজারিয়ায় থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন বিআইডব্লিউটিসি-এর বিভিন্ন ধরনের ১৮টি নৌযানের নির্মাণকাজ ৯০শতাংশ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে নৌযানগুলো বিআইডব্লিউটিসি’কে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করবে শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর এলাকার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইসব কথা বলেছেন তিনি। এসময় উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন আমি আজ এসেছিলাম সর্বশেষ কি অবস্থা তা দেখার জন্য। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে নৌযানগুলো ডেলিভারি দেওয়া শুরু করার কথা ছিল কিন্তু কিছু সমস্যার তা দেরি হয়ে গেলো। নৌযানগুলোর নির্মাণ কাজের সামগ্রিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা।এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা মেঘনা নদীতে অবৈধ বালুমহাল বন্ধে ও বৈধ বালুমহাল কর্তৃক নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জানি তবে এ নিয়ে আপনারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় উপদেষ্টার কাছে যুদ্ধ জাহাজের মতো সামরিক জলযান নির্মাণে বাংলাদেশের সক্ষমতা কতখানি তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো না।

থ্রি অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন শীঘ্রই আমরা নৌযানগুলো বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করব। চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নৌযানগুলো হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ৬টি ফেরি, ২টি ফায়ার ফাইটিং টাগবোট ২টি কোস্টাল ওয়েল ট্যাংকার ৪টি কেস্টাল সি-ট্রাক ৩টি মর্ডান ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল ও ১টি ইনস্পেকশন বোট হস্তান্তর করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, বিআইডবিউটিসির প্রকল্প ও প্রধান প্রকৌশলী পরিচালক জিয়াউল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম