তারিখ লোড হচ্ছে...

ভোলপাল্টে দুর্নীতি সচল রেখেছেন ইমারত পরিদর্শক মুরাদ আলী খান

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা গাউক এর অনিয়ম দুর্নীতির মূল হোতা ইমারত পরিদর্শক মুরাদ আলী খান এতদিন আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত থাকলেও হঠাৎ তিনি হয়ে গেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা। কে এই মুরাদ আলী খান?
পটুয়াখলী জেলার সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মোঃ আশরাফ আলী খান এর পুত্র মুরাদ আলী খান । ২৯ অক্টোবর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করে রাজউকে। যোগদানের পরে জোন-২ ও জোন-৫ এ দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির চমক দেখান তিনি। রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ তার এই দুর্নীতির দায় থেকে বাচতে ২০২০ সালে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা গাউক প্রতিষ্ঠা হলে মুরাদ আলী খানকে সেখানে বদলি করা হয়। নবগঠিত গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা গাউক মুরাদ আলী খানের দুর্নীতির রাস্তা আরও প্রশস্ত করে।
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খানের ছত্রছায়ায় গাউক কে দুর্নীতির আখরায় পরিনত করেছিলেন মুরাদ আলী খান। নতুন ভবনের প্ল্যান পাস, ছাড়পত্র সহ ইমারত সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পাদন করেছেন তিনি। যে সব ভবন অনুমোদন পাওয়ার কথা না সেগুলোও মুরাদ আলী খান গণহারে অনুমোদন করিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও নোটিশ বাণিজ্য, অন্যায় আবদার ও যেসব ভবন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি সেই সব ভবন মালিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মুরাদ আলী খান। মুরাদ আলীর এই অপকর্ম যাদের দেখার কথা তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। এভাবে দিনের পর দিন অনিয়ম করে গেলেও শাস্তি হচ্ছে না মুরাদ আলী খানের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাউক এর এক কর্মকর্তা বলেন, মুরাদ আলী খান তার এই অপকর্মের ব্যাপারে বলে বেড়ান “মাঠ থেকে যে অর্থ আদায় হয় তার ভাগ চেয়ারম্যান পর্যন্ত পৌঁছে দেই তাই আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না”। এমন পরিস্থিতিতে মুরাদ আলী খানের উর্ধতন কর্মকর্তারাও অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
২০২৪ সালের এক অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ২০২৪ সালে ৩০০ এর মতো ফাইল জমা পড়েছিল যার মধ্যে অন্তত দুইশ ফাইল মুরাদ আলী খানের রেফারেন্সে এসেছে। এ সব ফাইল পাস করে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন মুরাদ আলী খান। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খান ও রাজউকের একজন ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে মুরাদ আলী খান এই সকল অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মুরাদ আলী খানের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় রাজউকে চাকুরির পূর্বে তার নিজের ও পরিবারের অঢেল সম্পদ না থাকলেও বর্তমানে তিনি অগাধ সম্পদের মালিক। ১০ম গ্রেডের রাজউকের একজন ইমারত পরিদর্শক মুরাদ আলী খান সরকারি চাকুরি করে এত সম্পদ অর্জন করেছেন যে, সব নিজের দখলে না রাখতে পেরে স্ত্রী, শ্বশুর ও পরিবারের অন্যদের নামেও কিনেছেন জমি ও ফ্লাট। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বদলির আদেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে তা প্রভাবিত করে থেকে গেছেন গাজীপুরেই। কারন হিসেবে জানাগেছে মুরাদ আলী খান গাজীপুরে একাধিক প্লট ও ফ্লাট ক্রয় করায় তিনি গাজীপুরের বাহিরে যেতে চান না।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতা গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খানের অত্যান্ত ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন দুর্নীতিপরায়ণ ইমারত পরিদর্শক মুরাদ আলী খান হঠাৎ এখন পরিচয় দেন তিনি পূর্বে ছাত্রদল নেতা ছিলেন। তবে কি রাজনৈতিক ভোলপাল্টে দুর্নীতির দুর্গ গড়ে তুলবেন এই ইমারত পরিদর্শক মুরাদ আলী খান?
তার সকল দুর্নীতি ও আয় বহির্ভুত সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

মেঘনায় ভূমিহীনদের মাঝে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর ও জমি হস্তান্তর

মো.আনোয়ার হোসেন, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় চতুর্থ ধাপে ভূমিহীনদের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগষ্ট,২০২৩) সকাল ১০ ঘটিকার সময় উপজেলা পরিষদের হলরুমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে মেঘনা উপজেলার ৬৯ টি ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রায়ন প্রকল্পের উপকার হিসেবে প্রত্যেককে ২ শতক জমি ও ১টি ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার শুভ উদ্বোধন করেন। এ যাবত চতুর্থ ধাপে উপজেলায় সর্বমোট ২৩২ জন ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রায়ন প্রকল্পে পুনর্বাসন করা হয়।

এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র দে, কৃষি কর্মকর্তা শাহে আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খাঁন, মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মাইনুদ্দিন মুন্সী তপন, রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান, ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির, মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান বিপ্লব শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম