তারিখ লোড হচ্ছে...

এবার বরখাস্ত ডিআইজি মোল্যা নজরুল ও এসপি মান্নান

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত (সাবেক জিএমপি কমিশনার) ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম ও সিলেট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বরখাস্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রজ্ঞাপন দুটিতে সই করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরিপেক্ষিতে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সেহেতু, ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরিপেক্ষিতে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত (সাবেক সিলেট জেলা পুলিশ সুপার) আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে সিলেট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সেহেতু, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই দুই কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাপ্য হবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় সরকারি চাকরি থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সাংবাদিক পরিচয়ে বেপক চাঁদাবাজি আতঙ্কে এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নাম বিক্রি ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অবাদে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আনিস, ফাহাদ ও শারুখ নামে এই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে বলে জানা যায়।

পৌরসভার দৌলেরবাগ এলাকার শাহজাহান ও পেয়ার আলী গণমাধ্যমকে জানান, গত (২৬ মার্চ) রবিবার দুপুরে আনিস, ফাহাদ ও শারুখ নামে তিনজন সাংবাদিক পরিচয়কারী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নাম বিক্রি করে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। আমি চাঁদা দিতে না চাইলে আমার বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিবে বলে ভয়ভীতি দেখায় তারা। বিভিন্ন সময় আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি ধমকিও দিয়ে থাকে। তবে তিনজন আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে যায়।

মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকার ফাহাদুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার ভাড়াটিয়া শারুখ আহমেদ, ও পৌরসভার দৌলেরবাগ এলাকার আনিস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায়, যারা অবৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ চালিয়ে আসছেন এমন গ্রাহকদের আতঙ্কে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নাম বিক্রি করে কথিত তিনজন ব্যক্তি অবাদে চাঁদাবাজি করছে।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী পেয়ার হোসেনের বোন জামাই সাংবাদিক মোক্তার হোসেন নামধারী হলুদ সাংবাদিক ফাহাদ, শাহরুখ ও আনিসের সাথে যোগাযোগ করলে, অভিযুক্ত ঐ তিন সাংবাদিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আপনার পরিচয় দিয়েছে বলে আপনার সমন্দিকে ছাড় দিয়েছি। মাত্র তিন হাজার টাকায় আমরা মেনে গেছি। হলুদ সাংবাদিক আনিস, সাংবাদিক মোক্তারকে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনার সমন্দি যদি এ বিষয়টি আর করো সাথে কিছু বলে, তাহলে তাকে প্রতি মাসেই টাকা দিতে হবে। সে কোটিপতি হয়েও সরকারি গ্যাস অবৈধভাবে ব্যবহার করে মাদ্রাসা চালায় এবং কতোগুলো বাসা বাড়ির ভাড়াও দেয়।

এ সময় সাংবাদিক মোক্তার বলেন, আপনার বড়িতেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে? সাংবাদিক আনিস বলেন, আমি সাংবাদিক, কার সাহস আছে? আমার বড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসবে।

এ বিষয় সোনারগাঁ থানার পুললিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম