তারিখ লোড হচ্ছে...

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডাঃ কে এম জুবায়ের গালিবের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
ডাঃ কে এম জুবায়ের গালিবের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বর্তমানে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কে এম জুবায়ের গালিব স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে,টেন্ডার বাজি,পদবী দখল, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎসহ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য মতে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগের আস্থা ভাজন সাবেক জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট ২ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারিদের মধ্যে অন্যতম একজন ডাঃ কে এম জুবায়ের গালিব। সাবেক হুইপ স্বপনের মাধ্যমে জয়পুরহাট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বাস্তবে তিনি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচালক কর্তৃক কোন আর্থিক ক্ষমতা ( আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা) না নিয়ে শুধুমাত্র তার পূর্ববর্তী উপ-পরিচালকের নিকট হতে আর্টিকেল- ৪৭ মূলে দায়িত্ব গ্রহণ করে ২০১৬ সাল থেকে ২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ- পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন, যা বিধি সম্মত নয়। বিএম, জয়পুরহাটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থেকে এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজে হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক। স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে টেন্ডারবাজি, নিজের পছন্দ মতো ডাক্তার নিযুক্ত করা, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলি করার হুমকি, জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালকে নিজ ব্যবসার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা, হুইপ স্বপনের পছন্দের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দেয়া, নিজে ক্লিনিকের ব্যবসা করা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিক অর্থের বিনিময়ে ৩৭ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৭ জন আয়া ও ১ জন পরিবার পরিকল্পনা অফিসে নিয়োগ দেন ২০২২ সালে। এদের ভিতর থেকে ১২ জনকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর প্রদান করে নির্বাচিত করা হয়েছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, যার নিজেরই কোন বৈধতা নেই, সে লোক নিয়োগ দেন কিভাবে?

বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের মন্তব্য জানতে ডাঃ এ কে এম জুবায়ের গালিবের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ফোন না ধরার কারণে (চলবে)

শনির আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শনির৷ আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যা দেখার কেউ নেই, সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কদমতলী থানা এলাকায় শনির আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সহ পরিচালনা পরিষদের অনিয়ম দুর্নীতি সহ হাসপাতালটিকে পরিনত করেছেন একটি কষাই খানায়। এই হাসপাতালটির যতো সব অনিয়ম গুলো যেন প্রতিনিয়ত নিয়মে পরিনত হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে সরকারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ্যর কারনে রোগীরা দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে অভিযোগ করেও কোন প্রকার প্রতিকার পাচ্ছেন না  সাধারণ মানুষ  ।

রোগীকে বাড়তি টেস্ট বানিজ্য সহ রোগীর স্বজনদের ভোগান্তি যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । শনিরআখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত ডাক্তার এবং নার্সদের ব্যবহারে অতিষ্ঠ রোগীর স্বজনরা। দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সাধারন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে ডাক্তারেরা অতিরিক্ত টেস্ট বাণিজ্য করে থাকেন, যায় কারনে প্রতিনিয়ত রোগী সহ তাদের স্বজদের বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে, গত কয়েকদিন আগে ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন চাঁন্দাখোলা গ্রামের রবিউল ইসলাম ঠান্ডা জনিত কারনে দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক
সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তার তাকে না দেখেই প্রেকসিকশনে৭/৮টি টেস্ট দিয়েছিলেন।
রবিউল ডাক্তারের নির্দেশনা মতে টেস্ট গুলো দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার করান, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক টেস্ট গুলো না দেখেই ২০টা সেফেকজিন ওয়ান গ্রাম ইনজেকশন এবং রোগীর জন্য অপ্রয়োজনীয় ইনহেলায় সহ অন্যন্যঔষধ লিখেন প্রেকসিপশনে,নিয়মমাফিক ডাক্তারের ঔষধ গ্রহন করে রবিউলের অবস্থার অবনতি ঘটলে পরবর্তীতে রবিউল ইসলামের পরিবার তাকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে র্ভতি করেন, রবিউলের অবস্থার অবনতি দেখে ফরিদপুর মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যধি হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন, বর্তমানে রবিউল বক্ষব্যধিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে রোগীর সাথে অসৎ আচারন সহ রোগীকে বাড়তি টেস্ট দিচ্ছেন ডাক্তারেরা প্রতিনিয়তো, যার কারনে টেস্টের জন্য বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে রোগী সাধারনের।
শনিরআখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা নেওয়া এক ভুক্তভোগী জানান দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারগন আমার পেটে ৩০ সপ্তাহের বাচ্চা থাকাকালীন সময়ে আমাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে ডুকিয়েছিলো, আমার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্ত্বপক্ষদের এই নিষ্ঠুরতার ব্যপারে বাহিরে কয়েকজনকে জানালে তারা আমাকে তরিঘড়ি করে অপারেশন থিয়েটার থেকে বাহির করে দেন।
সোহেল রানা নামের এক ভুক্তভোগী জানান আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে আমরা দ্রুত দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তার রোগী দেখার আগেই বলেন ৮/১০ টি টেস্ট করান, টেস্টের রিপোর্ট গুলো না দেখেই কর্তব্যরত চিকিৎসক এখনিই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হবে না হলে বাচ্চা এবং তার মাকে বাঁচালো সম্ভব না, ডাক্তারের এই কথা শুনে পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা করে আমরা আমার স্ত্রীকে নিয়ে শনিরআখরা অন্য একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পরে নরমাল ডেলিভারিতে আমার স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই কষাই খানা বন্ধের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সোহেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ গুলো সত্য নয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম