তারিখ লোড হচ্ছে...

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার:

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তালিকায় কেন্দ্রের কোড নম্বর, কেন্দ্রের আওতাধীন কলেজের নাম, কলেজের কোড নম্বর, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা ইত্যাদির বিবরণ রয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র অনুযায়ী কলেজের তালিকা দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষের নিকট থেকে কেন্দ্র ফি-এর টাকা গ্রহণ করে গোপনীয় কাগজপত্র জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে, অলিখিত উত্তরপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা পরিচালনা করবেন। প্রতিদিন পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ডাকযোগে ওএমআর-এর প্রথম অংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কম্পিউটার কেন্দ্রে এবং উত্তরপত্রগুলো পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর প্রেরণ করবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, ভেন্যু কেন্দ্রসমূহ মূল কেন্দ্র থেকে টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গ্রহণ করে পরীক্ষা পরিচালনা করবেন এবং পরীক্ষা শেষে এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র মূল কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। জেলা সদরে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরীক্ষা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত কলেজের অধ্যক্ষ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হবেন অধ্যক্ষ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা কলেজের সিনিয়র কোনো অধ্যাপক।

কেন্দ্রের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২৬ জুন থেকে শুরু হবে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যাবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। পরীক্ষার সময়সূচিতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি দেয়া হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল-রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

প্রয়াত উপাচার্যের স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে গবেষণাধর্মী প্রজেক্টে অনুদান লাভ

উম্মে রাহনুমা, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ জার্মানী, ভারত ও বাংলাদেশের মোট ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে ইরাসমুস প্লাস কেএ-১৭১ প্রজেক্টের জন্য তিন বছরের অনুদান পেয়েছে। প্রজেক্টের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ- জার্মানীর টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের আইআইটি এলাহাবাদ, বাংলাদেশের বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

গত বুধবার (১৫ নভেম্বর ২০২৩) এক কিক-অফ মিটিংযের মাধ্যমে সবাইকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়।

টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রহমতউল্লাহ খোন্দকার এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ম্যাথিয়াস উইলেমস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ সহ সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ শাজাহান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ফোকাল পয়েন্ট কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবু লায়েক।

সভার শুরুতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক উইলেমস বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত”। এছাড়া একচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বেশ কিছু মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দেখা পাওয়ার ব্যাপারেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ একসাথে কাজ করা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির এই প্রজেক্টে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য টিএইচএম প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন “এই প্রজেক্টের মাধ্যমে সহযোগী বিশ্ববিদ্যালসমূহ তাদের ল্যাব, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং ইত্যাদির মাধ্যমে সহযোগিতামূলক গবেষণা/প্রকাশনা ইত্যাদির দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হবে।”

ইরাসমুস প্লাস কেএ-১৭১ অনুদানের আওতায় আগামী তিন বছরের জন্য আইসিটি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় যেমন – সিএসই, আইসিটি, আইটি, ইইই, এমই ইত্যাদি বিষয়ের ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি লেভেলের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা টিএইচএম গমণ করে যৌথ গবেষণা করতে পারবেন।

এখানে উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যপ্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড মো ইমদাদুল হক এর আন্তরিকতায় টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চূক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর টিএইচএম সহ ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ইরাসমুস প্লাস কেএ-১৭১ এর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। যার ফল হিসেবে এখন বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হবে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম