তারিখ লোড হচ্ছে...

রূপগঞ্জের চনপাড়ায় হাসিব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

মোঃ সাজেদুর রহমান,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সেচ্ছাসেবকদলের দুই গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় হাসিব নামের যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বিশ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত হাসিবের বড় ভাই মোঃ বাবু বাদী হয়ে ১৭ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে রমজান মিয়া ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রমজান মিয়া চানপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও রবিন মিয়া একই এলাকার দুলাল ওরফে টাক দুলালের ছেলে।

এদিকে, চনপাড়ায় অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা সহ অপরাধ সাম্রাজ্যের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাব্বানী বাহিনীর দফায় দফায় গুলিবর্ষণ সংঘর্ষ হামলা লুটপাটের ঘটনায় শামীম মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত পাঠানো একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেশীশক্তি প্রদর্শনপূর্বক সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আওতাধীন রূপগঞ্জ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মিয়াকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবেনা। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা গ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিহত হাসিবের ভাই বাবু বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার এজাহার নামীয় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে চনপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 

স্বামীর মৃত্যুদণ্ড গৃহবধূ হত্যার দায়ে

ডেস্ক রিপোর্টঃ নিহত গৃহবধূ শান্তা আক্তার হলেন সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার মো. করিম মোল্লার মেয়ে ও আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবুর স্ত্রী।দণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবু নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ বারুদী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামী আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান কালবেলাকে বলেন, ২০২০ সালে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আজ আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বড় ভাইয়ের হাতে ছোট বোন খুন
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী শান্তাকে তিনি হত্যা করেছেন।

আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, স্ত্রী শান্তাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে প্রথমে হত্যা করেছেন। পরে মাছ কাটার বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া ছিলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় নিহত শান্তার বাবা মো. করিম মোল্লা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার মো. করিম মোল্লার মেয়ে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের দুই বছর পর ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

এরপর শান্তার অন্যত্র বিয়ে হয়। সাত মাস দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার করার পর আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবু ফুসলিয়ে পুনরায় শান্তাকে বিয়ে করেন। এরপর বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা। নতুনভাবে সংসার শুরুর দুই মাস ৬ দিনের মাথায় স্ত্রী শান্তাকে হত্যা করেন আমিনুল ইসলাম।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম