বাকশীমুল ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন এর আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মারুফ হোসেন:

রবিবার (২৩ মার্চ) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলা বাকশীমুল ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন এর আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর রুহের মাগফেরাত ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর দীর্ঘায়ু কামনায় বাকশীমুল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব হাজী মোঃ জসীমউদ্দিন।

বাকশীমুল ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক এর সভাপতিত্বে এবং যৌথভাবে বাকশীমুল ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল ইসলাম ও বুড়িচং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রহিম খান লিটন সঞ্চালনায়
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির বাবুল,কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এনামুল হক সবুজ, বুড়িচং উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মনির। বাকশীমুল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ শাহজাহান, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহবুব উল আলম,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল ইসলাম। বাকশীমুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জামশেদ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন,
বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জালাল উদ্দীন, মোঃ তানজিবুর রহমান শুভ,হৃদয় হাসান সহ আরও অনেক।

নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিম আহমেদ টিটোর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার॥
চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিম আহমেদ টিটোর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, প্রকল্প অর্থ আত্মসাৎ এবং সরকারি ক্ষমতার নগ্ন অপব্যবহারের ভয়াবহ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এসব অনিয়মের প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদপুরের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগপত্রটি দাখিলের তারিখ ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি হলেও বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগপত্রে নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিম আহমেদ টিটোকে ‘ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ ও জঘন্য চরিত্রের অফিসার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, চাঁদপুরে যোগদানের অল্পদিন পরই তিনি ৫% হারে ঘুষ আদায়ের অপসংস্কৃতি চালু করেন। নির্দিষ্টভাবে হিসাব সহকারী আনোয়ার হোসেনকে ঘুষ আদায়ের দায়িত্ব দিয়ে, ঘুষ না দিলে কোনো বিলেই স্বাক্ষর না করার হুমকি দিয়ে ঠিকাদারদের কার্যত জিম্মি করে তোলেন।

ঘুষ বাণিজ্যের পাশাপাশি প্রকৌশলী টিটোর বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার বেশি ভুয়া কোটেশন তৈরি করে প্রকল্প ছাড়াই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে। চাঁদপুর সার্কিট হাউজের গেট সংস্কারের নামে ২৫ লাখ টাকার বরাদ্দ গ্রহণ করলেও, বাস্তবে কাজ হয়েছে মাত্র দুই থেকে তিন লাখ টাকার। এ ছাড়া সদর হাসপাতালে তার নামে ২২ লাখ টাকার কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

ঠিকাদার হাবিব নামের এক ভুক্তভোগী ভিডিও বক্তব্যে বলেন, “নাসিম আহমেদ টিটো বেপরোয়া। তার ঘুষের শিকার হয়ে আমরা লাভের চেয়ে ক্ষতির মুখ দেখি। সরকারি কর্মকর্তার ছায়ায় থেকে তিনি নিজেই ঠিকাদারি করেন। আগে ঘুষের টাকা আনোয়ার হোসেনকে দিয়ে তারপরই বিলের ছাড়পত্র মেলে।”

এমন অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আরও অনেক ঠিকাদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, “টিটোর অধীনে কাজ করতে হলে প্রথম শর্তই ঘুষ—তা না দিলে কাজ বন্ধ, বিল আটকে যায়।”

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত বছরের ৫ আগস্টের কিছুদিন আগে এই প্রকৌশলী নিজেই অফিসের নিচতলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার নির্মাণ করেন এবং নিজেই এর উদ্বোধন করেন, যা আদর্শগত শিষ্টাচার ভঙ্গের নজির। এরপর এখন দেখা যাচ্ছে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টে নিজেকে বিএনপি পরিবারের সদস্য দাবি করার প্রয়াস চালাচ্ছেন।

প্রশ্ন উঠছে—একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে নিয়মিত ঘুষ আদায়, ভুয়া প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ এবং রাজনৈতিক পরিচয় বদলে ফেলার মতো গর্হিত কাজ করতে পারেন, অথচ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি?

চাঁদপুরবাসী ও সৎ ঠিকাদার মহল আজ একটাই প্রশ্ন রাখছে—এই দুর্নীতির দায়ভার কে নেবে? প্রশাসন কী এবারও নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকবে?

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম