নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার ফ্যাসিস্ট মামুনের দূর্নীতিতে অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহকরা

স্টাফ রিপোর্টার:

সার্ভেয়ার মামুন নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় ২০১৯ সার্ভেয়ার পদে পোষ্টিং পায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাধর এমপির তদবিরে নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বদলি হয়ে আসেন। গত ৫ আগষ্ট এর পরে বাংলাদেশের ভূমি প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বদলি হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার মামুন,আনোয়ার, কানুণগো হাবিবুর রহমান তাদের কোনো ধরনের বদলি হয়নি। বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায়, ততকালীন আওয়ামীলীগ সরকার আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত সার্ভেয়ার মামুন,আনোয়ার কানুনগো হাবিবুর রহমান বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের জমি অধিগ্রহণ ক্ষেত্রে জমির মূল্য বেশী করে দেখানোর কথা বলে সাধারণ মানুষ এর কাছ থেকে নাল শ্রেণির জমিকে ভিটি এবং বাণিজ্যিক শ্রেণির জমি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা বিভাগ ঢাকাকে মাসিক চাঁদা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখায় বহাল তবিয়তে আছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সার্ভেয়ার মামুনের ইচ্ছার বাহিরে নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কোনো সার্ভেয়ার বা কোনো ধরনের ষ্টাফ বদলি করা হয় না।মামুন এর তৎপরতায় আরও জানা যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোঃ জাহিদ হাসান সিদ্দিকী তার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় সার্ভেয়ার মামুন নিয়ন্ত্রণ করে একটা বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছেন।সার্ভেয়ার মামুন ইতোমধ্যে তার চাকরি ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় ছয় বছরের অধিক হওয়ায় বর্তমানে এডিসি জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে। তার বদলি আদেশ নবায়ন করে নেন। বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা যায় সার্ভেয়ার মামুন এর পূর্বাচল উপশহরে তার নামে পাঁচ কাঠা এবং তার স্ত্রীর নামে পাঁচ কাঠা, ঝিলমিল প্রকল্পে তিন কাঠা তার স্ত্রীর নামে,উত্তরা নিগার প্লাজায় রূপশী কালেকশন নামে তার একটি কসমেটিক্সের দোকান আছে। যার বর্তমান মূল্য ৩-৪ কোটি
টাকা। ঢাকার মিরহাজারি বাগের রূপশী কালেকশন নামে শীটের দোকান আছে।ঢাকার উত্তরাতে ৬ নম্বর সেক্টরের রোড নং ১১ বিথি অহির নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন, বর্তমানে ইনটোরিয়রের কাজ চলছে। ঢাকা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর, রোড নম্বর ৩, এ একটি বায়ইং হাউজ খুলছেন। তার বন্ধু সুলতানকে এমডি করছেন। আর তার নাম হচ্ছে ইকরা লাইট হাউজ। তাঁর নিজ বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা শহরের মদনপুরা ইউনিয়নে তার বাপের নামে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার জমি কিনে দিয়েছেন। তার বাবা কিন্তু কৃষক! বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর লোককে সার্ভেয়ার মামুন কোটি টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। বর্তমানে সে পলাতক অনেক মামলার আসামি মামুন তাকে বিভিন্ন ভাবে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতাছে।তাঁর সাথে এসব বিষয়ে কথা বললে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এবং সে বলে আমরা বিভাগীয়  কমিশনার,ডিসি,এডিসিকে ম্যানেজ করে থাকি।

রূপগঞ্জে মূর্তিমান আতংক ভূমিদস্যু ফয়েজ বাহিনীর খুঁটির জোর কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা বাজারে চাঁদা না পাওয়ায় দুস্কৃতিকারী ও চিহিৃত ভুমিদস্যু মোঃ ফয়েজ ভূইয়া ও দুই ছেলে রিমন ভূঁইয়া, রুমান ভূঁইয়া সহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহামান্য আদালত’কে অবমাননা করে গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর ২২) আনুষ্ঠানিক সকাল ১০ টায় এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুমিদস্যু মোঃ ফয়েজ ভূইয়া ও দুই ছেলে রিমন ভূঁইয়া, রুমান ভূঁইয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। ফয়েজ বাহিনীর অত্যাচারে রূপগঞ্জ সহ ভুলতা বাজারের সাধারণ জনগন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।এলাকায় ফ্যাক্টরি, ভবন নির্মাণ, কোম্পানি চালাতে হলে টাকা দিতে হবে বলে জানান ভূমিদস্যু ফয়েজ বাহিনী। জায়গার উপর ভবন নির্মাণ করতে গেলে ভুমিদস্যূরা অস্ত্রে, শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়। প্রয়োজনে খুন করার প্রকাশ্যে হুমকি দেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, কিছু দিন পুর্বে আমরা পুরাতন জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মান কাজ শুরু করবো এ অবস্থায় ভুলতা বাজার এলাকার চিহিৃত দুস্কৃতিকারী ও ভূমিদস্যু মোঃ ফয়েজ ভূইয়া ও দুই ছেলে রিমন ভূঁইয়া, রুমান ভূঁইয়া সহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী এসে বাধা দিয়ে টাকা দাবী করে। তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা না পাওয়ায় চলমান কাজ বন্ধ করে দেয় ও এলাকায় কোম্পানি চালাতে হলে টাকা দিতে হবে বলে জানান। সারাক্ষন সন্ত্রাসী পাহারা বসিয়ে রাখে।

সিকিউরিটি গার্ড নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, গত সোমবার (১৪ নভেম্বর ২২) আনুষ্ঠানিক বিকাল ৫ টায় কাঙ্খিত চাঁদার টাকা না পেয়ে ফয়েজ বাহিনী জায়গা খালি করার নির্দেশ দিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ফয়েজ ভূঁইয়া সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ৯০ শতাংশ জমির মধ্যে ৬.৫০ শতাংশ জমি পাবো। গত শুক্রবার আপনি সম্পুর্ণ জমি দখলের চেষ্টা করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোর্টে মামলা করেছি। আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি। আইনে জমি পেলে কোর্ট আমাকে বুঝিয়ে দিবে। আমি কেন জমি দখল করতে যাবো। ৬.৫০ জমির মধ্যে ৭ প্রকারের গাছ ছিলো তা কেটে দিয়েছেন তারা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম