তারিখ লোড হচ্ছে...

রামপুরা-হাতিরঝিল প্রেস ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

মহিউদ্দিন জামিল :

রামপুরা-হাতিরঝিল থানা প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আনন্দ টিভির রিপোর্টার শওকত সাগরকে সভাপতি ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার রিপোর্টার এম রাসেল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। রবিবার (২৩শে মার্চ) বিকালে রামপুরা-হাতিরঝিল প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে ২৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।

এসময় রামপুরা-হাতিরঝিল থানা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং অত্র ক্লাবের অপর দুই উপদেষ্টা কালের কন্ঠ পত্রিকার মাহমুদ হোসেইন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুবর উপস্থিতিতে গঠিত এই কমিটিতে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সিটি রিপোর্টার (রামপুরা) আখিনুর আক্তার ও বিজয় টিভির রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম সহ-সভাপতি, দীপ্ত টিভির রিপোর্টার সোহাগ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার শাহরিয়ার আলম ও মোহনা টিভির মেজবাহ রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গ্লোবাল টিভির রিপোর্টার আনজাম খালেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ টিভির রিপোর্টার ফরিদুল ইসলাম অপু কোষাধ্যক্ষ, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ এর স্টাফ রিপোর্ট মহিউদ্দিন জামিল আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক,
আসাদ উল্লাহ আইন বিষয়ক সম্পাদক, ভোরের পাতার রিপোর্টার খান শান্ত, বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রিপোর্টার ইমাম হোসেন ইমন প্রচার সম্পাদক, সকালের সময় পত্রিকার রিপোর্টার মো. মুস্তাকিম উপ-প্রচার সম্পাদক, দৈনিক অপরাধ চক্র পত্রিকার রিপোর্টার জাকির হোসেইন রিমন প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, দৈনিক এই বাংলা পত্রিকার রিপোর্টার মোঃ সুজন ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, দৈনিক আলোচিত কন্ঠ পত্রিকার রিপোর্টার রেজওয়ান রনি তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, আনন্দ টিভির সিটি রিপোর্টার সোনিয়া দেলোয়ার নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক, দৈনিক অপরাধ চক্র পত্রিকার রিপোর্টার লোকমান হোসেন শ্যামল আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, সাপ্তাহিক সুসময় পত্রিকার রিপোর্টার নিজাম উদ্দিন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও একাত্তর টিভির রিপোর্টার আরিফ হক, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার রিপোর্টার তুহিন ভুইয়া, আজকের সংবাদ পত্রিকার রিপোর্টার হাবিবুর রহমান রাজ, দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার রিপোর্টার এস এম ওয়ালিদুজ্জামান শুভ, দৈনিক শ্যামল বাংলা পত্রিকার রিপোর্টার মো. ইসমাইল হোসেন বাবু, অন্যজগত পত্রিকার রিপোর্টার মুনিরুল ইসলাম ও সাপ্তাহিক সুসময় পত্রিকার রিপোর্টার জিয়াউল হককে নির্বাহী সদস্য করা হয়।

সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ বিএফইউজে ও ডিইউজের

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক ॥

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এক বিবৃতিতে মিডিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ, হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সোমবার (৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে রুদ্ধ বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য।

সেই চেতনা থেকে সরে এসে জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতাদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও হুমকি দিয়ে চলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে বিকশিত হতে না দিয়ে উল্টো এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন নিতান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। রোববার (৬ জুলাই) রাজশাহীতে এনসিপির অন্যতম একজন শীর্ষ নেতা যে হুমকি দিয়েছেন, তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ওই এনসিপি নেতার বক্তব্যে আমরা ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। মনে রাখতে হবে সাংবাদিকদের হুমকি কিংবা মব জাস্টিসের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান সংঘটিত করেনি।

সাংবাদিক নেতারা হুমকিদাতা এনসিপির ওই নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৬০ জনের বেশি সাংবাদিক খুন হয়েছেন। শুধু জুলাই বিপ্লবের সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ছয়জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের আন্দোলনের সমর্থনে সাংবাদিকরা নিয়মিত রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

বিবৃতি বলা হয়, জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান যেসব কারণে সংঘটিত হয়েছিল, তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ। আজ এনসিপি নেতা সাংবাদিকদের যে হুমকি দিয়েছেন তা জুলাই বিপ্লবের চেতনাবিরোধী। জুলাই বিপ্লবের একজন ছাত্রনেতার কাছে এটা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না।

বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অর্জনের ঐতিহ্যবাহী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আমরা অতীতেও এ ধরনের অযাচিত ও অন্যায় হস্তক্ষেপ মেনে নেইনি, এখনও মেনে নেব না। মিডিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে কারো কোনো আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সেগুলোর প্রতিবিধানের জন্য আইন, আদালত ও প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা নিন্দনীয়। সংশ্লিষ্ট মহলকে এ ধরনের তৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম