রাজশাহী মহানগরীতে দুই ভূয়া পিবিআই গ্রেফতার

রাজশাহী ব্যুরো:

রাজশাহী মহানগরীতে ওয়াহেদুল শেখ অরফে অপু (৩২) ও গোলাম রসুল অরফে রনক (৩৫) নামের দুই ভূয়া পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) গ্রেফতার করেছে কাটাখালী থানা পুলিশ।

রবিবার (৪ সেপ্টম্বর ) দিবাগত রাত দেড়টায় মহানগরীর কাটাখালী বাজার সংলগ্ন মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করে এসআই জুয়েল ও সঙ্গীয় ফোর্স।
গ্রেফতারকৃত দুই ভুয়া পিবিআই হলো: মোঃ গোলাম রসুল অরফে রনক(৩৫), সে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার আলুপট্টি এলাকার মোঃ আবুল কালাম আজাদের ছেলে। এছাড়াও (অগ্রযাত্রা নামের পত্রিকার কার্ডধারী ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির ৪১ নং নির্বাহী সদস্য)। অপরজন একই থানার সাগরপাড়া (বটতলা), মোঃ এলাকার জয়নাল আবেদীনের শেখের ছেলে মোঃ ওহিদুল শেখ অরফে অপু(৩২)।
সোমবার (৫ সেপ্টম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জানান, রোববার (৪ সেপ্টম্বর) গভির রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় কাটাখালী থানাধীন চৌমহনী বাজারে দুইজন ব্যক্তি গায়ে পুলিশের রিফ্লেকটিং ভেস্ট ও মাথায় পুলিশের ক্যাপ পরা অবস্থায় টাংগনগামী বিভিন্ন যানবাহন থামানোর চেষ্টা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এএসআই মোঃ জয়নাল আবেদীন টহলগাড়ি থেকে তাদের দেখতে পায়। এ সময় পুলিশের গাড়ি দেখে ভূয়া পিবিআই দুইজন দ্রুত মোটরসাইকেলে যোগে কাটাখালী বাজারের দিকে যেতে থাকে।
পুলিশ তাদের ধরতে কাটাখালী বাজার সংলগ্ন মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে শহরগামী মোটরসাইকেল থামিয়ে চেক করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে রাত ৩টায় (রাজ মেট্রো-ল-১২-০৪৮৪) মোটরসাইকেল যোগে দুইজন ব্যক্তি দ্রুত গতিতে শহরের দিকে যেতে থাকলে তাদেরকে সংকেত দিয়ে থামিয়ে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করা হয়। ওই সময় মোঃ গোলাম রসুল রনকের পিঠে থাকা একটি ছোট ব্যাগে কি আছে জানতে চায় পুলিশ। কিন্তু তারা দুইজনে দুই ধরনের কথা বলে। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের মধ্য একটি পুলিশ লেখা রিফ্লেকটিং জ্যাকেট ও একটি পুলিশ ফিল্ড ক্যাপ পাওয়া যায়।
এ সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের রিফ্লেকটিং জ্যাকেট ও ফিল্ড ক্যাপ পরিধান করে টাংগন ও চৌমহনি এলাকায় লোকজনকে পিবিআই পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দানের কথা স্বীকার করে।
ওসি আরও বলেন, নিজেদেরকে পুলিশ কর্মকর্তার মিথ্যা পরিচয় দান করে প্রতারণা ও গভীর রাতে গাড়ি সংকেত দিয়ে থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্রাদি দেখতে চওয়ার অপরাধে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১৭০/১৭১/৪১৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

সমন্বয়ক দাবি করে চাঁদাবাজি করলেন,সিহাব ও সাব্বির

সুমাইয়া মোস্তাকিম বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:

বগুড়া জেলায় শিবগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক দাবি করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে সিহাব ও সাব্বির। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়,যেখানে বাংলাদেশের কোথাও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক কমিটি বলে কিছু নেই,সেখানে উল্লেখিত দুইজন,সিহাব ও সাব্বির নিজেকে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক হিসাবে দাবি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে এখনো।

এমনকি তারা জানান বন্যাকবলিত মানুষদের নামে ত্রাণ সংগ্রহ করেও তারা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করেছে।এবং শিবগঞ্জ উপজেলা মাঝিহট্ট ইউনিয়নে চালুন্জা কালিতলা হাই স্কুল এর ধর্মীয় শিক্ষক এর পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন এ নেমেছিলেন।এমতাবস্থায় শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিদের্শনায় বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সেখানে গেলে তাদের যাতায়াত খরচ ও খাবারের নাম করে প্রধান শিক্ষক এর নিকট হতে ৪৫০০ টাকা নেন সাব্বির।এর মধ্যে ১৫০০ টাকা খরজ হয় এবং বাকি টাকার হিসাব তারা দিতে পারেনা।

এর আগে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের নাম করে শিবগঞ্জ উপজেলার উপদেষ্টার কাছ থেকেও তিনি ১৮০০ টাকা নেন।এর কিছুদিন পর বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি অসুস্থ হওয়াতে তার নাম করেও চাঁদাবাজি করতে সিহাব ছাড়েনি এমন তথ্য দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী।

এসব সাক্ষী ও প্রমানের ভিত্তিতে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ এর মতামত নিয়ে সিহাব ও সাব্বির কে উক্ত কমিটি থেকে বহিষ্কার করেন। এসব চাঁদাবাজির যথেষ্ট সাক্ষী ও প্রমান আছে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উক্ত সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের আইনগত শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম