তারিখ লোড হচ্ছে...

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর

স্টাফ রিপোর্টার:
মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন এই অ্যাপ। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করতে পোল পরিচালনা করা যায়। এছাড়া ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও ব্যবসায়িক, অফিসের কাজে এই অ্যাপটি নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ। এসব পরিবর্তনে অ্যাপটি আরও বেশি জনপ্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার নিয়ে আসছে ‘মেসেজ থ্রেডস’ নামে একটি নতুন ফিচার, যা চ্যাটিং আরও সহজ করবে। নতুন আপডেটের ফলে নির্দিষ্ট বার্তার প্রতিক্রিয়া (রিপ্লাই) সহজে ট্র্যাক করা যাবে, যা দীর্ঘ কথোপকথন বা গ্রুপ চ্যাট ব্যবস্থাপনায় বেশ কার্যকর হবে।
মেসেজ থ্রেডস ফিচার কী?
এই ফিচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট মেসেজের রিপ্লাইগুলো একটি আলাদা থ্রেডে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই আগের উত্তরগুলো খুঁজে পাবে এবং বারবার স্ক্রল করার প্রয়োজন পড়বে না।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবেটাইনফো জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বেটা ২.২৫.৭.৭ সংস্করণে এই ফিচার যুক্ত হয়েছে। এটি মূলত একটি সংগঠিত কথোপকথনের ব্যবস্থা তৈরি করবে, যেখানে প্রতিটি মেসেজের প্রতিক্রিয়া (রিপ্লাই) আলাদাভাবে দেখা যাবে।
এই ফিচার কীভাবে কাজে আসবে?
বর্তমানে কোনো মেসেজের রিপ্লাই দেখতে চাইলে একে একে ক্লিক করতে হয় বা প্রথম উদ্ধৃত মেসেজটি খুঁজে বের করতে হয়। নতুন আপডেটের ফলে সব রিপ্লাই একই থ্রেডে সাজানো থাকবে, ফলে সহজেই পুরোনো মেসেজ এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।
মেসেজ থ্রেডসের সুবিধাগুলো- 
দীর্ঘ কথোপকথন ট্র্যাক করা সহজ হবে।
পুরোনো রিপ্লাই খুঁজতে স্ক্রল করার ঝামেলা কমবে।
গ্রুপ চ্যাট ও অফিসিয়াল কমিউনিকেশন আরও কার্যকর হবে।
চ্যাটের গোপনীয়তা ও সংগঠিত বিন্যাস বজায় থাকবে।
কবে থেকে পাওয়া যাবে এই ফিচার?
বর্তমানে মেসেজ থ্রেডস ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে (বেটা ভার্সনে) চালু হয়েছে এবং নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করতে পারছেন। তবে খুব শিগগিরই এটি সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত করা হবে, যাতে সব ব্যবহারকারী এই নতুন সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধে যেসব খাবার খাবেন

তাসনিম আশিক ॥

ঠাণ্ডা-কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, সাইনাস-মাইগ্রেন এ সব সমস্যা লেগেই থাকে। সে ক্ষেত্রে কিছু পানীয় এ ধরনের সমস্যা থেকে নানা উপকারের পাশাপাশি কিছুটা হলেও আমাদের আরাম দিতে পারে।

দারুচিনি:

দারুচিনি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। গরম পানিতে কয়েক টুকরা দারুচিনি দিয়ে তা ফুটিয়ে পান করলে বা দারুচিনিগুঁড়া যদি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে তা ঠাণ্ডার সমস্যা অনেকটা দূর করে থাকে। সেই সঙ্গে সাইনাস এবং মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও আরাম প্রদান করে থাকে।

আদা:

আদা রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আদার পুষ্টি গুণাগুলে ভরপুর। এই সময়ে কুসুম গরম পানিতে আদাকুচি করে ফুটিয়ে যদি পান করা যায় তবে তা বেশ কার্যকরী। সেই সঙ্গে আদা দিয়ে রং চা বানিয়েও খাওয়া যায়- এটিও বেশ উপকারী। ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত এনার্জিটিক রাখতে সাহায্য করে।

লেবু ও মধুর পানি: খুবই পরিচিত একটি পানীয় লেবু-মধুর পানি। এই পানীয় হজমশক্তি বাড়াতে যেমন সাহায্য করে তেমনি গলার ব্যথা ও সর্দি দূর করতেও সাহায্য করে।

লবঙ্গ ও গোলমরিচ:

সামান্য পরিমাণ লবঙ্গ এবং গোলমরিচ যদি একটু চিবিয়ে খাওয়া যায় তবে তা গলা ব্যথা, মাথা ব্যথার সমস্যা দূর করতে কিছুটা সহায়তা করে থাকে। রং চায়ের সঙ্গে ফুটিয়েও লবঙ্গ ও গোলমরিচ পান করা যায়। এটি ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে আরাম দিয়ে থাকে।

পুদিনা পাতা ও তুলসি পাতা:

পুদিনা পাতা ও তুলসি পাতা দিয়ে তৈরি করা চা অনেক সময় কফ (কাশ) জমে থাকার সমস্যা দূর করে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি এর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যায় তবে তা আরও অনেক বেশি উপকারী।

সুতরাং যদি সকালের নাশতার সময় এবং সন্ধ্যার নাশতার সময় এই পানীয়গুলো এক কাপ পরিমাণ পান করা যায় তবে তা সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও আরাম দেবে।

লেখক: পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক
ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালটেন্ট
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম