তারিখ লোড হচ্ছে...

ভিড় নেই কমলাপুরে, নির্বিঘ্নেই ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। নেই চিরচেনা উপচেপড়া ভিড়। নির্বিঘ্নেই ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা। এদিকে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে নেই যাত্রীর চাপ। বেশির ভাগ বাস কাউন্টার ফাঁকা।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকেই প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত রয়েছে। সকাল থেকে প্রতিটি ট্রেনই ছেড়ে গেছে একেবারে সময় মত।

সারা দিনে মোট ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৫টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাবে।

টিকিটবিহীন কোনো যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তাই ভিড় থাকলেও প্ল্যাটফর্মে অনেকটা স্বস্তিতে আছেন টিকিটধারী যাত্রীরা। খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই ভালোভাবে ট্রেনে উঠতেও পারছেন তারা।

তবে আগামীকাল ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলে অফিস ছুটির পর বাড়তি পারে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। সঙ্গে আজ অনলাইনে মিলছে ৪ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট।

সাধারণ যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বঘ্ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেয়া কর্মপরিকল্পনাগুলো তুলে ধরা হলো-

আজ যারা যাত্রা করবেন, তাদের অগ্রীম আসনের টিকিট গত ১৫ মার্চ বিক্রি করে রেলওয়ে।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে— বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধে ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র‍্যাবের সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা।

নাশকতা প্রতিরোধে চলন্ত ট্রেনে, স্টেশনে বা রেললাইনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার। এছাড়া র‍্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

টিকিটধারী যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ঈদের আগে আগামীকাল বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন থেকে জয়দেবপুরমুখী আন্তঃজোনাল আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকিট ইস্যু করা হবে না। জয়দেবপুরের পাশাপাশি বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা স্টেশন হতে বিমানবন্দরগামী আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো টিকিট ইস্যু করা হবে না। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পরের ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে সেলুনকার সংযোজন করা হবে না।

এদিকে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে নেই যাত্রীর চাপ। বেশির ভাগ বাস কাউন্টার ফাঁকা।

সকালে রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র। অল্প সংখ্যক যাত্রী যারা আসছেন তাদের নিয়েই ছাড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার বাসগুলো। বেশিরভাগ বাসের আসন ফাঁকা রেখে কাউন্টার থেকে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে স্বস্তির সাথে আগেভাগে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। এদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ ছুটির কারণেই এবার যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। তাদের প্রত্যাশা আগামী দুই একদিনের মধ্যে যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়তে পারে।

পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণ: শিশুসহ দগ্ধ ৪

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর হাজারীবাগ থানার ট্যানারি মোড় এলাকার একটি বাসায় পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের সময় তাতে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. বেলাল হোসেন (২৮), মো. জিয়াউর রহমান (৪৫), ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে হাজারীবাগ এলাকা থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুসহ চারজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

দগ্ধদের মধ্যে বেলাল হোসেনের শরীরে ১৭ শতাংশ, জিয়াউর রহমানের ৪ শতাংশ, শিশু ফারিয়ার ৫ শতাংশ এবং শিশু রাইফার শরীরে ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধের পরিমাণ কম হওয়ায় তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত। বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. শাহপরান জানান, গতকাল (রোববার) সন্ধ্যার দিকে তার মামার বাসার রিজার্ভ পানির ট্যাঙ্ক একজন শ্রমিক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছিল। রিজার্ভ ট্যাঙ্কিতে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তারা ধারণা করছেন, পানির ট্যাঙ্কিতে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।

language Change
সংবাদ শিরোনাম