তারিখ লোড হচ্ছে...

নুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার:

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মারধর, ক্লাব দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে খুলনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর নেতা মো. নাইম হাওলাদার।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন—গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এস কে রাশেদ, স্থানীয় নেতা মো. জনি এবং যুব অধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর শাখার নেতা মো. তাইজুল ইসলাম। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা খুলনার পঞ্চবীথি ক্লাব অবৈধভাবে দখল করে সেখানে চাঁদাবাজি ও অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাদীসহ তার সংগঠনের কয়েকজন সদস্য এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান।

এ সময় নুরুল হক নুর মোবাইল ফোনে নির্দেশনা দিলে অন্যান্য আসামিরা রড, দা, বাঁশের লাঠি ও কুড়াল নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ করা হয়। এতে বাদীসহ কয়েকজন আহত হন এবং পরে তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুম জানান, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এটি তদন্তাধীন রয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর বিষয়ে আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আপিল বিভাগ ২০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রায় ঘোষণা করবেন। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায়ের জন্য এই তারিখ নির্ধারণ করেন। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

শুনানি শুরু হয়েছিল ২১ অক্টোবর, আগে ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আপিলে অংশ নিয়েছেন পাঁচজন নাগরিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে পাশ হয়। ১৯৯৮ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ ঘোষণা করে। ২০১১ সালে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর পাঁচজন ব্যক্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এর মধ্যে ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। পরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এবং নওগাঁর মুক্তিযোদ্ধা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেন।

language Change
সংবাদ শিরোনাম