তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা ও মতাদর্শ আছে: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য কিছু নেই, আছে স্বার্থের সংঘাত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা ও মতাদর্শ আছে। সবাই যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটাকে আমি অনৈক্য বলবো না। তবে দলগুলোর মধ্যে স্বার্থের সংঘাত আছে।

তিনি এও বলেন, যদি কখনও এমন সময় আসে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব। এখানে কোনো ভুল নাই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়তো আলাদা কথা বলছি। কিন্তু যখন জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।

বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে তিনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। গত ৫ আগস্টের পর আবার নতুন করে পেয়েছি। আমি স্বাধীনতার ৭১-এর বীর শহীদ যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে দেশবাসীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা মাত্র কিছু দিন আগে জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটা নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকে স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নাই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসে খাটো করতে চায়, ৭১-এর স্বাধীনতায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইব এবং এই স্বাধীনতাকে যেন ধরে রাখতে পারি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে পারে এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করবো।

এ সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি, বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার জয়ী

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ৪৪ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৯৫৮০ ভোট। পুলিশ সূত্র এই ফলাফল নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া ৩২৩৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মোটর গাড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। চতুর্থ জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪২৭ ভোট। জেলা

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিষ্কৃত আরেক নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ১১০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে র‌্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম।

সূত্রঃ যমুনা টেলিভিশন

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম