তারিখ লোড হচ্ছে...

দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নাহিদা আক্তার লাকীর প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার:

খুলনার পঙ্গু হাসপাতালে ওষুধের দোকানের মালিক আলমগীর হোসেন (পিতা: আব্দুস শুকুর গাজী, ঠিকানা: হাজী মোহাম্মদ মহাসিন রোড, খুলনা সদর থানা) এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, নারী কেলেঙ্কারি এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সাংবাদিক নাহিদা আক্তার লাকীর সঙ্গে প্রতারণা ও হুমকি

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদা আক্তার লাকীকে আলমগীর হোসেন অসৎ উদ্দেশ্যে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, তাকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয় এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

এর আগে, আলমগীর হোসেন ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার জাহিদুল ইসলাম সোহেল, নেতাই বাবুর কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের জন্য নাহিদা আক্তার লাকীর সাহায্য চান। আইনগতভাবে সঠিক পন্থায় নেতাই বাবুর সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে পাওনা টাকা আদায়ে সহায়তা করেন লাকী। কিন্তু পরবর্তীতে সোহেল ও আলমগীর হোসেন লাকীর সঙ্গে প্রতারণা করেন এবং তার ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানান।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন খুলনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে নাহিদা আক্তার লাকীকে থানায় ডেকে জোরপূর্বক একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়, যেখানে নেতাই বাবুর দলিল ফেরত দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। লাকী এই অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে উপ-পুলিশ কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিক সম্মানহানির চেষ্টা লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে লাকী বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে,ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি পেতে থাকেন। তাকে বাধ্য করা হয় যেন তিনি কোনো অভিযোগ না করেন এবং তাদের দাবির বিরুদ্ধে না যান। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সংবাদকর্মীদের সামনে নেতাই বাবুর দলিল ফেরত দিতে বাধ্য হন।

এদিকে, লাকী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নিয়ে ‘এল.কে. সমাজ কল্যাণ যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা পরিচালনা করছিলেন এবং রূপসা বালির মাঠে একটি অনুমোদিত মেলার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সেই মেলায় আলমগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম সোহেল ও তাদের সহযোগী মেলার আয়োজকদের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ৫০ হাজার টাকা আদায় করে। অথচ, তাদের এ মেলার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও শাস্তির দাবি

এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং নারী নির্যাতনের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। লাকীর সামাজিক সম্মানহানি, বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে,ও বিভিন্ন ভাবে,হুমকি এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার মাধ্যমে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে, সাংবাদিক নাহিদা আক্তার লাকী দুর্নীতিবাজ আলমগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম সোহেল এবং তাদের সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সমাজে শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হবে না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনেন।’

সাংবাদিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীরা নাহিদা আক্তার লাকীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে বোমা হামলা

আলী রেজা রাজু, ঢাকা :

যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীক পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের বাসার সামনে গভীর রাতে দুইটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দূর্বত্তরা।

শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের সময় শার্শার শ্যামলাগাছি রাজনগর মোড়ে তার নিজস্ব বাসভবনের সামনে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায় দূর্বত্তরা। তবে এ ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে গভীর রাতে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের পরিবার সহ আশেপাশের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল জানান, রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে পরিবারের সবার ঘুম ভেঙে যায়। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৩টা ৪৫ মিনিট। তড়িঘড়ি উঠে পর্যবেক্ষণ করে দেখি বাসার সামনে দূর্বত্তরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

এসময় পরিবারের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে জানালে পুলিশ এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। বোমা বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। প্রার্থী শার্শা থানায় নিজে এসে অভিযোগ দায়ের করেন । তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম