তারিখ লোড হচ্ছে...

ধরাছোঁয়ার বাইরে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের অন্যতম দোসর এ প্লাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তমিজউদ্দিন সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম। কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের অধিবাসী এ প্লাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই ব্যক্তির ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার খায়েশ ছিল দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার জন্য দীর্ঘ ১০ বছর দলের সন্ত্রাসী গুন্ডা পান্ডাদের পিছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ সারা বছর বরাদ্দ থাকত তার নামে। সেখানে বসেই চৌদ্দগ্রামের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে মিটিং করতেন। বিএনপি-জামাতের কাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে, কাদের বাড়ি ঘর জ্বালাতে হবে, এ সমস্ত দিক নির্দেশনা দিতেন এলাকার সন্ত্রাসীদের। ২০২৪ এর ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু বিধিবাম। আওয়ামী লীগ নমিনেশন দেয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক কে। মুজিবুল হক নমিনেশন পাওয়ায় তমিজ উদ্দিন সেলিম রাতারাতি মুজিবুল হকের নৌকায় উঠে পড়েন। মুজিবুল হক কে নির্বাচনের জন্য দশ কোটি টাকা দেন। বিনিময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের ভাইকে মুজিবুল হককে দিয়ে আওয়ামী লীগের টিকেট পাইয়ে দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুজিবুল হকের সন্ত্রাসীদের সাথে একযোগে কাজ করার জন্য নিজের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দেন। ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের বিপ্লবে ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার জন্য নিজস্ব গুণ্ডা বাহিনীকে কোটি কোটি টাকা আর অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়ে দেন। ৫ ই আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুজিবুল হক নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেলেও এই তমিজ উদ্দিন সেলিম এখনো প্রকাশ্যেই রয়েছেন।
তমিজ উদ্দিন সেলিম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম ও জনশক্তি বিভাগের সদস্য। যে কারণে শ্রমিকদের সাথেও তার রয়েছে বিপুল নেটওয়ার্ক জুলাই আগস্ট বিপ্লবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা চালাতে তিনি ঢাকায় বসে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং বিপুল পরিমাণে টাকা সরবরাহ করেন বলেও অভিযোগ রযেছে।

প্রশাসনে কারি কারি টাকা দিয়ে স্বাচ্ছন্দেই চলাফেরা করছেন তিনি। সাংবাদিকদের নিউজ করলে মামলা হামলার ভয় দেখান এখনো। কোন সাংবাদিক বক্তব্যের জন্য ফোন করলে তাকে প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে ফোন করান। এলাকাবাসীর দাবি এই তমিজউদ্দিন সেলিমকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। মুজিবুল হকের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর লুটপাটের অন্যতম দোসর এই তমিজ উদ্দিন সেলিমকে গ্রেফতার করলেই মুজিবুল হকের কুকর্মের ফিরিস্তি পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসীর বিশ্বাস।এবিষয়ে তার মন্তব্য জানতে বার বার ফোনে যোগাযোগ ও খুদেবার্তা প্রেরন করেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লায় ডিসির বাসভবনে ছেলেসহ সাংবাদিককে নাজেহাল

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবের সাবেক কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি এবং বর্তমানে সাপ্তাহিক গোমেতি সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সিনিয়র সাংবাদিক মোবারক হোসেনের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোর ছেলে তাহসিন রাহমান গাছ (ইনডোর প্ল্যান্ট) ও পত্রিকা উপহার দিতে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে যাওয়ায় তাকে আটকে রেখে তার বাবাকে খবর দিয়ে এনে ছবি তুলে রেখে এনডিসিকে দিয়ে শাসিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আমিরুল কায়সার। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি)। সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক এম. মোশাররফ হোসাইন এক বিবৃতিতে বলেন, গাছ উপহার দিতে যাওয়ায় তাহসিনের সঙ্গে এমন ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক আচরণ যেমন তার কিশোর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তেমনি একজন সিনিয়র সাংবাদিক জেনেও অপরাধী বিবেচনায় মোবারক হোসেনের ছবি তুলে রাখা চরম ধৃষ্টতা। জুলাই বিপ্লবের পর আমরা আশা করেছিলাম ডিসিদের আচরণে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আমরা আশাহত।

তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখা এই কিশোর স্কাউট তাহসিন রহমান সরকারকে সহায়তায় ১৫ দিন রাস্তায় ট্রাফিকের কাজও করেছে। এই ঘটনায় তাহসিনের মতো দেশের অসংখ্য ছাত্র-তরুণের মনে আমলাদের সম্পর্কে একটি নেতিবাচক বার্তা যেমন গিয়েছে, তেমনি কুমিল্লাসহ দেশের আপামর জনসাধারণের মধ্যে ওই ডিসিকে প্রত্যাহারের দাবিও উঠেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার অনুরোধ করছি।

 

language Change
সংবাদ শিরোনাম