তারিখ লোড হচ্ছে...

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এবি পার্টির বৈঠক বিকেলে

স্টাফ রিপোর্টার:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি হলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বিকালে এবি পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ২৮টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।

গণআন্দোলনকে দমন করা যাবে না: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গণআন্দোলনে এতটাই ভীত যে, বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা, গুলি ও গ্রেপ্তার করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। বিএনপিসহ দেশের বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় জড়িয়ে নির্যাতন-নিপীড়নের পন্থা অবলম্বন করেছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী সব জেলায় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা ও গ্রেপ্তার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত রেখে আবারও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা। এই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম অব্যাহত রেখেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তি সমাবেশের নামে আওয়ামী লীগ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আজ বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার ও হামলার মধ্য দিয়ে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকার নিষ্ঠুরতার আরও একটি নজীর স্থাপন করল। তবে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের ওপর হামলা-নির্যাতন চালিয়ে চলমান গণআন্দোলন দমন করা যাবে না। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না ঘটিয়ে জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে গ্রেপ্তাকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম