তারিখ লোড হচ্ছে...

টাকা-স্বর্ণালংকারসহ প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের স্বামীর পাঠানো ৬০ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ সন্তান নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী।

এ ঘটনায় স্ত্রী ও পুত্রকে পাওয়ার আশায় দেশে ফিরেছেন স্বামী টুটুল মিয়া। তবে এ ঘটনায় মামলার ২৯ দিনেও স্ত্রী-সন্তানকে খুঁজে পাননি তিনি।

টুটুল মিয়া জানান, তার গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার নরদানা গ্রামে। প্রায় ১০ বছর আগে একই উপজেলার মহদীনগর গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে সালমা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের এক পুত্র সন্তান হয়। পরিবারের খরচ যোগাতে স্ত্রী-পুত্রকে বাড়িতে রেখে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। বিদেশ থেকে এ পর্যন্ত তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা পাঠান। এছাড়া বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠান। তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তার নরদানা গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে বখাটে আব্দুল কাদের মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

তিনি আরও জানান, বিদেশ থেকে পাঠানো তার সমস্ত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে স্ত্রী সালমা আক্তার তার বাবার বাড়িতে পাকা ঘর ও জমি ক্রয় করেছে। এছাড়া সালমার ভাইয়ের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। তার পাঠানো টাকা দিয়ে প্রেমিক আব্দুল কাদের মিয়ার বাড়িতে পাকা ঘরসহ তাকে বরাটী বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে দেন সালমা। কৌশলে তার জমানো সব টাকা নেওয়া শেষ হলে ৫ বছরের ছেলেকে গত ১৮ মার্চ সালমা আক্তার প্রেমিক আব্দুল কাদেরকে নিয়ে পালিয়ে যান।

জানা যায়, টুটুল মিয়া বিদেশ থাকায় তার বোন তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে সালমার বাবা ছানোয়ার হোসেন, মা লাখী বেগম ও ভাই ইমনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন করেন। মামলার ২৯ দিন পার হলেও পুলিশ সালমা ও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি। এছাড়া প্রেমিক প্রতারক আব্দুল কাদেরও গ্রেফতার হয়নি।

মামলার বাদী তাসলিমা আক্তার বলেন, আমার ভাই বিদেশ থাকায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। ভাইয়ের প্রায় ৬০ লাখ টাকা, বিপুর পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও ৫ বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে তার স্ত্রী সালমা আক্তার প্রেমিক আব্দুর কাদেরের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। স্ত্রী ও শিশু পুত্রের শোকে ভাই এখন দেশে এসেছেন। আমরা পুলিশের কাছে ন্যয় বিচার দাবি করছি।

এ প্রসঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সালমা আক্তার ও তার প্রেমিক আব্দুল কাদেরের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, থানায় অভিযোগ হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

 

 

মেঘনাতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে অভিভাবক সমাবেশ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য আনয়নের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঢেলে সাজানো হয়েছে শিক্ষাক্রম মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করে হাতে কলমে বাস্তবমুখী শিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে নতুন প্রয়াস। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরেই চলছে, নবগঠিত শিক্ষাক্রমে পুরোদস্তুর পাঠদান। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যসূচিতে পরিচিত হয়ে উঠলেও অভিভাবকরা রয়েছেন পুরাতন সূচিতেই। অনেক পিতামাতা পারছেন না ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সঠিক তদারকি করতে!

এরই ধারাবাহিকতায়, বুধবার (১ই নভেম্বর,২০২৩) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় ‘মানিকারচর সাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’র আয়োজনে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অবহিত করণ বিষয়ক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক আহম্মেদ। অপরাপর ব্যক্তিবর্গদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানিকারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, উক্ত বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আলাউদ্দিন, মো. বিল্লাল খন্দকার, স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ প্রমুখ।

প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, আমরা চাই এই বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা পূর্বের ন্যায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখুক। তাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক দেশ গঠনের স্পৃহা। নতুন পাঠ্যক্রমে অনেক অভিভাবক দেখেছি সঠিকভাবে বুঝে উঠতে না পারায়, সন্তানদের তদারকি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এজন্য আমরা অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করেছি, পাঠ্যক্রমের গুরত্ব তুলে ধরেছি। প্রয়োজনে কিছুদিন পর পর আপনাদের নিয়ে আমরা সমাবেশ করবো। ছেলেমেয়েদেরকে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের সফলতা অর্জন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধোঁয়াশা বজায় থাকলেও অভিভাবক সমাবেশের পর আমরা বুঝতে পেরেছে নতুন পাঠ্যসূচির গুরত্ব। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উপরে মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। হাতে-কলমে সবকিছুই স্কুল থেকে শিখতে পারবে, যা উন্নত দেশগুলোতে লক্ষ্য করলে এমন শিক্ষা কার্যক্রম দেখতে পাওয়া যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম