জামায়াত নেতা আজহারুলের আপিল শুনানি কাল

স্টাফ রিপোর্টার:

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কার্যতালিকায় আসবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানির জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, আইনজীবী শিশির মনির। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন সর্ব্বেোচ আদালত। একইসঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়।

মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামের রিভিউ মঞ্জুর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা এটাই প্রথম কোনো মামলা যে মামলায় রিভিউ থেকে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দিলেন আদালত।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য মঙ্গলবার ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। আদালতে বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এসময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগে বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু ওইদিন শুনানি হয়নি। রিভিউ আবেদনটি শুনানি হওয়া প্রয়োজন। আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পিডি ডা: মো: আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের পিডি ডা: মো: আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্ম্সাতের অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। অভিযোগটি বর্তমানে দুদকের যাচাই বাছাই সেলে রয়েছে। অচিরেই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
দুদকের অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের পিডি ডা: মো: আনিছুর রহমান দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নানা কৌশলে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমান প্রকল্পের স্টেমিটেড কস্ট ২২০ কোটি টাকা। মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৩ ইং পর্যন্ত। অদ্যাবধি প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ২০-২৫% । তিনি মুল কাজ না করে কেবল ডিপিপি সংশোধন ও কেনাকাটায় ব্যস্ত। অথচ: কাজগুলো করার কথা ছিলো প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করার পর। তিনি অনুমোদিদ এপিপি অনুযায়ী ৪০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করেছেন। যেমন: ভবিষ্যতে নির্মিত হবে ভবনের জন্য আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ০৪ কোটি টাকা। ৬৫ টি জেলায় ট্রেনিং রুম মাটি ভরাট ,ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ বাবদ ২৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন দপ্তরে ফ্রিজ সরবরাহের জন্য ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। বিভিন্ন দপ্তরে আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৪ কোটি ০৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ২৬ জেলায় ক্লোডরুম স্থাপন বাবদ ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বিভিন্ন দপ্তরে ডেক্সটপ কম্পিউটর সরবরাহের জন্য ১ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, এসি ,ফটোকপিয়ার, ল্যাপটপ,বইপত্র ক্রয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা। এবং অন্যান্য মোট ৪০ কোটি টাকা খরচ করেছেন।
এসব খাতে নানা প্রকার কৌশল প্রযোগ করে তিনি সিংহভাগ টাকা আত্মসাত করেছেন। আর সেসব টাকা দিয়ে বসুন্ধরা ডি ব্লকে ২২০০ বর্গ ফুটের এবং ই-ব্লকে ১৬৫০ বর্গ ফুটের ২ টি ফ্ল্যাট কিনেছেন । মিরপুর-৬ শিয়াল বাড়ী এলাকায় ১৩৩৮ বর্গ ফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। পুর্ব রাজাবাজার ফার্মগেট এলাকায় ২২০০ বর্গ ফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় ১০ কাঠা জায়গার ওপর বিশাল বাড়ী নির্মাণ করেছেন। নিজের ও পরিবারের ব্যবহারের জন্য ২ খানা লেটেষ্ট মডেলের গাড়ি ক্রয় করেছেন। তার নামে বেনামে ব্যাংক ও পোষ্ট অফিসে কোটি কোটি টাকা, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে। যা তার চাকুরী জীবনের আয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। দুদক সঠিকভাবে অনুসন্ধান করলেই তার থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে।
উল্লেখ যে, এর আগে ৩ টি প্রকল্পে কর্মকালীন সময়ে তিনি ব্যাপক দুর্নীতি করায় কর্তৃপক্ষ তাকে অপসারণ করে দুরবর্তী উপজেলায় বদলী করেন। ফলে অদ্যাবধি তার কোন প্রমোশন হয়নি। বর্তমানে তিনি নিজেকে সরকার সমর্থিত একজন কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডি ডা: মো: আনিছুর রহমান বলেন, অভিযোগগুলো কাল্পনিক এবং মনগড়া। সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পে কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি । শতভাগ সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দুদকে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তিনিও ভুয়া। আপনারা প্রয়োজনে অভিযোগকারীর মোবাইল ফোনে (কল) করে দেখতে পারেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম