তারিখ লোড হচ্ছে...

‘২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলিমকে হত্যা করব’

স্টাফ রিপোর্টার:

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতে বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের ওপর উগ্র হিন্দুদের হামলা ও নির্যাতন বেড়েছে। সম্প্রতি আগ্রার বিখ্যাত এক বিরানির দোকানের মালিক দুই ভাইকে তাদেরই দোকানের সামনে গুলি করা হয়। এতে এক ভাই নিহত হয়েছেন এবং অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, শহীদ আলি চিকেন বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই দোকান চালাতেন দুই গুলফাম আলি ও সাইফ আলি। রাতে বিক্রি শেষে গুলফাম দোকান বন্ধ করছিলেন এবং সাইফ আলি ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎতই দু’জন এসে গুলফামে ওপর গুলি চালায়। গুলি খেয়ে গুলফাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাইফ পেছন থেকে এগিয়ে এলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ঘটনাস্থালেই মারা যান গুলফাম। অল্পের জন্য বেঁচে যান সাইফ।

এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার একদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দুই যুবক। নিজেদের তারা ‘গো রক্ষা দলে’র সদস্য বলে দাবি করেন। ভিডিও বার্তায় তারা ঘোষণা করেন, পেহেলগামে ২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলমান হত্যার করা হবে।

ভিডিওতে এক যুবক বলেন, আগ্রা শহরে আজ ২জন মুসলিমকে হত্যা করেছি- এর দায় আমি নিচ্ছি। ২৬ জনের বদলে যদি ২৬০০জন মুসলিমকে হত্যা করতে না পারি তাহলে আমি ভারত মায়ের সন্তান নই।’

ভিডিওতে ওই যুবকের কোমড়ে একটি পিস্তলসহ আরও দুটি চাকু দেখা যায়। তার সাথে যে যুবক ছিল তার কোমড়েও অস্ত্র ছিল।

ভারতের উগ্র সংগঠন রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) এবং সংঘ পরিবারের সঙ্গে এই গো রক্ষা দলের সংশিষ্টতা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই গো রক্ষা দল দলিত হিন্দু ও মুসলমানদের ওপর বহু হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

তবে ভারতের গণমাধ্যমে এই হামলা তেমন জায়গা পায়নি। নিহত ব্যক্তির কোনো ছবিও প্রকাশ করা হয়নি।

অপরদিকে পেহেলগামের ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িওয়ালারা কাশ্মীরি মুসলমানদের বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন। হিন্দু দোকানদাররা মুসলমানদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এছাড়াও দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘মুসলিম অ্যান্ড ডগস আর নট অ্যালাউড’।

এসব ঘটনায় ভারতের পুলিশ ও প্রসাশন একেবারে নীরব। এখন পর্যন্ত তাদের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ইসরায়েলে পাল্টা হামলায় ১০০ ড্রোন পাঠাল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে প্রায় ১০০টি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান। এসব ড্রোন ভূপাতিত করতে কাজ করছে ইসরায়েল বাহিনী।

আজ শুক্রবার (১৩ জুন) এই তথ্য জানায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা এর আগে আজ ভোররাতে ইরানের আটটি শহরের অন্তত ১০০ লক্ষ্যবস্তুতে আকাশপথে হামলা চালায়।

তবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলায় ড্রোন পাঠানোর বিষয়ে এখনো ইরানের তরেফে কোনো বক্তব্য আসেনি সংবাদমাধ্যমে।

ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান, যেগুলো আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।’

ইরানে চালানো অপারেশন রাইজং লায়নের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেফরিন জানান, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। এগুলো ইরানের ভেতরে প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

গত রাতের ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান ও ইরানের জরুরি কমান্ডের প্রধান নিহত হয়েছেন বলে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেফরিন।

ইসরায়েল আজ ইরানজুড়ে পাঁচটি ধাপে হামলা লায় বলে জানান একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা।

আজ স্থানীয় সময় ভোররাতে প্রথম দফায় রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা করে ইসরায়েল। আগুন জ্বলতে দেখা গেছে মধ্য ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়ও।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ‘রাইজিং লায়ন’ নামে একটি পূর্বপরিকল্পিত সামরিক অভিযানে ইরানে আঘাত হেনেছে। এই হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

তেহরানসহ ইরানের কয়েকটি জায়গায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি, জ্যেষ্ঠ দুই পরমাণুবিজ্ঞানী- ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান ফেরেদুন আব্বাসি এবং তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি নিহত হন।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম