নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে জনস্রোত

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশ জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগে থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন সমাবেশে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে এই শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের টুপি, দলীয় টি-শার্ট পরে সমাবেশস্থলে অবস্থান করছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।

সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা পরিবেশন করছেন দেশাত্মবোধক ও গণসংগীত। এক ধরনের আন্দোলনের আবহ তৈরি হয়েছে গোটা নয়াপল্টন এলাকায়। অনেকেই বলছেন, এটি শুধু শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার সমাবেশ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তারও বহিঃপ্রকাশ।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। নিজেদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে মন জয় করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সুধীসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক অর্জিত হলো। এর আগে মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি। মানুষ সেটির ওপর দিয়ে যাবে। এবার মাটির নিচ দিয়ে যাবে পাতাল রেল। বাংলাদেশে এ ধরনের আয়োজন প্রথম। আজকের অনুষ্ঠানে যারা এসেছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৪ বছরে এই বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এবার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে। নারায়ণগঞ্জ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এখানে অনেকগুলো প্রকল্প কাজ চলমান। পূর্বাচল স্মার্ট সিটি হবে। নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সরকার প্রধান বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি। এই কাজ যখন শুরু করতে যাই তখন জঙ্গির উত্থান হলো। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হয়। সাতজন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়। যারা মেট্রোরেলের কাজে যুক্ত ছিলেন। আমি তাদের স্মরণ করি। এই ঘটনার পরও জাপান সরকার তাদের সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নেননি। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

পাতালরেলের নির্মাণকাজ করার সময় জনগণের চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাটির নিচে বোরিং মেশিন দিয়ে গর্ত করে টানেল করা হবে। ভূপৃষ্ঠের ১০ মিটার নিচে কাজ করা হবে। তাই ওপর থেকে বোঝা যাবে না যে মোটির নিচে কাজ চলছে।

এর আগে সকালে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন তিনি।

সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা এই প্রকল্পের প্রায় ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা আসবে জাইকার সহায়তা থেকে। ২০২৬ সালে পাতালরেলের কাজ শেষ করতে চায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম