তারিখ লোড হচ্ছে...

নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের চিঠি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম কোনারপাড়া নো ম্যানস ল্যান্ডে মিয়ানমার বাহিনীর মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণের ঘটনায় চরম আতঙ্ক এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।

এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম শূন্যরেখার রোহিঙ্গা নেতা দীল মোহাম্মদ।

তার সই করা চিঠিটি ইমেইলের মাধ্যমে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি মিয়ানমার সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে।

এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে চিঠিতে শূন্যরেখার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবি জানানো হয়েছে বলেও যোগ করেন দীল মোহাম্মদ।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ঘুমধুমে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে তাড়ানোর জন্য নানা পাঁয়তারা করে আসছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এখনো হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার রোহিঙ্গাদের। এমনকি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শূন্যরেখায় মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু ও পাঁচজন আহত হয়েছে।

এদিকে সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে মিয়ানমারের মর্টারশেলে রোহিঙ্গা যুবক মো. ইকবাল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান দীল মোহাম্মদ।

জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে পূর্বপরিকল্পিত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার॥

ডাকসুতে মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর আলোচনা অনুষ্ঠান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন পক্ষের বিভিন্ন ইন্টারেস্ট (স্বার্থ) তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। জাতীয় ঐক্য সংহত করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

 

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে জাহেদ উর রহমান এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় ঐক্যের হাল-হকিকত শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে সাপ্তাহিক পাঠচক্রের প্লাটফর্ম মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো।
আলোচনায় জাহেদ উর রহমান বলেন, আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে প্রিপ্লানড (পূর্বপরিকল্পিত) হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি নিয়ে বিশেষ করে ভারত জনগণের অভ্যুত্থানকে প্রিপ্লানড বলে প্রচার ও তাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। সামনে এ ধরনের প্রচেষ্টা আরও বাড়বে। তার জন্য জাতীয় ঐক্যকে সংহত করা দরকার।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কতিপয় সমন্বয়ক অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তিকে অপরায়নের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে কখনোই কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ গড়ে উঠবে না বলে একধরনের অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগে জড়িত থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে তারা কেন যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করল, তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়।

সৈকত আরিফ আরও বলেন, জোর-জবরদস্তি করে জাতীয় ঐক্য করা যায় না। জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করতে হলে অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে নিয়ে রাজনৈতিক কাউন্সিল গঠন করতে হবে। এর ভিত্তিতেই সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর সংগঠক সাইমুন নাহার কর্মী আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

 

সবা:স:জু-৫৫/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম