তারিখ লোড হচ্ছে...

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি হারুন এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হারুন, বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সংলঘ্ন এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় যুক্ত থাকলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসছেনা। অভিযোগ রয়েছে সাবেক সরকার আমলে স্থানীয় পাতি নেতা ও সংশ্লিষ্ট থানা কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে আসছে তার ব্যবসা। গত ৫ আগস্টের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও আবারো নেমেছে পুরনো পেশায়।
স্থানীয় সূত্র বলছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় লেকের পাশে যেসব উঠতি বয়সি তরুণরা খেলা করতে, আড্ডা দিতে আসে তাদের নিরাপদে মাদক পৌছে দেয়ার কাজটি হারুন সুচারুভাবে করে থাকে। ওই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় আশপাশের লোকজন মনে করে ওইসব তরুনদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যার পর ৩২ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় বসে মাদকের আড্ডা। পাশাপাশি রাত বাড়লে মাঠের চিত্র পাল্টে যায় ভ্রাম্যমান পতিতাদের ভীড়ে। আর এসবই পরিচালনা করে হারুন।
অভিযোগ রয়েছে, ওই এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করা মেয়েদের টার্গেট করে মোটা অংকের টাকার প্রলোভনে পতিতাবৃত্তিতে নামায় হারুন। এর আগে অর্থের বিনিময়ে এক তরুণ তরুণীকে অবৈধ কার্যকলাপের ব্যবস্থা করে দিলে ধরা পড়ায় স্থানীয়রা শালিসও করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পলাতক থাকার সুযোগে এখন বিএনপি সমর্থিতদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে হারুন। প্রায় ১ দশক বছর আগে পেটের দায়ে ঢাকায় আসা কুড়িগ্রামের এই হারুন ধানমন্ডি শীর্ষ মাদক কারবারি। ওই এলাকায় তার বেশকজন সহযোগিও রযেছে। দিনের বেলা ইশারা ইঙ্গিতে মাদক কেনাবেচা চললেও সন্ধ্যার পর অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক তরুণীর মা প্রতিবেদককে বলেন ৩২ নম্বরের লেকের পাশে আমার মেয়ে তার বন্ধু দের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলতে আসে তখন থেকে আমার মেয়ের আচরণ অস্বাভাবিক মনে হলে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি হারুন নামে একজন উঠতি বয়সী তরুণ তরুণীদের টাকার বিনিময়ে মাদক ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ করে দেন।বিষয়টি জানতে পেয়ে আমর মেয়ে কে আর কখনও ওই সড়কের লেকের পাড়ে যেতে দেই নাই।
স্থানীয়রা বলছেন, এই হারুনের সঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছিলনা। তবে বর্তমানে তার এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ট এলাকাবাসী একাট্টা হয়েছে। সকলের দাবি এলাকার এই চিহ্নিত মাদক কারবারিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। এতে এলাকার পরিবেশ বজায় থাকবে ও যুবসমাজ মাদকের করাল গ্রাস থেকে রেহাই পাবে।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানা পুলিশ বলেছে, হারুনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

গফরগাঁও থেকে পালাতক আওয়ামী দোষর রাজউক ইমারত পরিদর্শক আল নাইম মুরাদ

মাহতাবুর রহমান:

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউক ২০১৫ সালে যে সকল ইমারত পরিদর্শক নিয়োগ প্রদান করেছেন তার মধ্যে অনেকেই ছিলেন ছাত্রলীগের আবার অনেকেই ছিলেন আওয়ামী লীগের সুপারিশ প্রাপ্ত। গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সাংবাদিকের উপর হাতুড়ি নিয়ে হামলা করা সোলাইমান হোসেন তাদের অন্যতম। এবার খুঁজে পাওয়া গেছে এই সোলাইমান হোসেনের ঘনিষ্ট বন্ধু ছাত্রলীগ কর্মী ও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গফরগাঁও ময়মনসিংহ সংসদীয় আসনের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এর সুপারিশে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করা আল নাইম মুরাদকে।

 

আল নাইম মুরাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ এর অনুসন্ধানী দল প্রথমেই পৌঁছায় তার নিজ গ্রাম সালটিয়ায়। ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার একটি ইউনিয়ন এই সালটিয়া। অত্র ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল মতিনের ছেলে আল নাইম মুরাদ ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহন করেন। সালটিয়ার আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা এই আল নাইম মুরাদ ডিপ্লোমা-ইন-ইনঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) অধ্যায়নের সময় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও আল নাইম মুরাদ এর বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় তাদের ভিতরে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে ২০১৫ সালে এই সংসদ সদস্য বাবেলের সুপারিশে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউক এ ইমারত পরিদর্শকের চাকুরি বাগিয়ে নেন আল নাইম মুরাদ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট ছাত্র-জনতা এই আল নাইম মুরাদের পৈত্রিক বাড়িকে ঘেরাও করলে তিনি কোনোভাবে ঢাকাতে পালিয়ে আসেন বলে তথ্য রয়েছে। এবং তাকে পালাতে সহায়তা করেছেন ছাত্রদলের আব্দুল্লাহ আল বাপ্পি যিনি এই মুরাদের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত।

 

আব্দুল্লাহ আল বাপ্পির কাছে এই আল নাইম মুরাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে তাকে চিনতেই পারেননি। পরে তার কাছে ছবি পাঠানো হলে তিনি বলেন, আল নাইম মুরাদকে কখনোই আওয়ামী লীগের সাথে আমরা প্রকাশ্যে দেখিনি। তাহলে আল নাইম মুরাদকে কেন পালাতে হলো?

 

আল নাইম মুরাদ ছাত্রলীগের রাজনীতির চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজীর অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়েছেন এই রাজউকের কর্মস্থলে। চাকরি শুরুর কিছুদিন পরে যখন নিজের চেয়ার পাকাপোক্ত মনে করেছেন তখন থেকেই তিনি ত্রুটিপূর্ণ ভাবন মালিকদের নোটিশের মাধ্যমে ডেকে এনে মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে সেই ফাইল গায়েব করে দিতেন। কিছু ভবন মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাড়ির কিছুটা অংশ ভাঙ্গার অভিনয় করে ভয় দেখিয়ে তারপরে টাকা আদায় করতেন। তার এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন রাজউকের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা যাদের বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।

 

অভিযোগ রয়েছে আল নাইম মুরাদ যখন জোন ৩/১ এ কর্মরত ছিলেন তখন ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক অপরিকল্পিত ভবন যেগুলো সম্পূর্ণরূপে রাজউকের বিধি বহির্ভূত।  এখন প্রশ্ন আসে রাজউকের একজন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় কিভাবে এই অপরিকল্পিত বিধি বহির্ভূত ভবন নির্মিত হল? তাহলে কী এই অনিয়মের পিছনে জড়িত রয়েছেন এই কর্মকর্তা?

 

অনুসন্ধানে আল নাইম মুরাদ এর বেশকিছু অনিয়মের তথ্য-উপাত্ত দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের হাতে এসেছে। এই তথ্য-উপাত্ত বিশ্লষনের পরে তার দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ…

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম