গাছের পরিচর্যা বৃদ্ধিতে দূর্বার তারুণ্য এর ‘আমরা মালি’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

“আমার যত্নে, আমার গাছ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ‘আমরা মালি’ শীর্ষক বৃক্ষরোপন করে চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী কার্যক্রম সম্পূর্ণ করল।

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, বিকাল ৩ ঘটিকায় চট্টগ্রামে সিআরবি এলাকায় শতাধিক বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে প্রজেক্টটির চলমান আরেকটি পর্ব সম্পন্ন করা হয়। দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করোনা প্রতিরোধক বুথ এর উদ্ভাবক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।

উক্ত অনুষ্ঠানের অতিথির বক্তব্যে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, গাছকে বলা হয় অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। মানুষ, গাছ, প্রাণিকুল সব মিলে একটি বায়বীয় গ্যাসীয় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে, যার মাধ্যমে একে অপরের উপকারার্থে নিবেদিত। কাজেই পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই।পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে একটি দেশের আয়াতনের শতকরা ২৫ ভাগ এলাকায় বনভূমি থাকা একান্ত প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশেজ্ঞগণ মনে করেন। কিন্তু বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় বনাচ্ছাদিত এলাকার পরিমান মাত্র ৭.৭ ভাগ এবং ভুমি এলাকার তুলনায় ১৪ শতাংশ বনাঞ্চল। অতএব বিভিন্ন প্রকার শিল্পের উপকরণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সীমাহীন প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের বৃক্ষের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণে অংশগ্রহণ করা।
তাই গন পর্যায়ে বৃক্ষ রোপন ও সঠিক পরিচর্যা কেবল পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ফলমূল ও বনজ দব্যে দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে না, বরং ব্যক্তি পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে অনুকূল ভুমিকা পালন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আমাদের প্রত্যেকের প্রতিবছর অন্তত দুটি করে বৃক্ষ রোপণ ও এর সঠিকভাবে পরিচর্যা করা দরকার।

দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রজেক্ট সম্পর্কে বলেন, বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বর্ধন করে না, মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড় তুফানকে বাধা দিয়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাই বৃক্ষকে বলা হয় প্রাণের অগ্রদূত। বর্তমানে বাংলাদেশে বৃক্ষরোপনের সংখ্যা বাড়লেও তা পরিচর্যার দিকে তেমন একটা মনযোগ নেই বললেই চলে। ‘আমরা মালি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানে, কিন্তু এই বহুল প্রয়োজনীয় জিনিসটিকে ঠিকঠাক গড়ে তোলার জন্য দরকার পরিচর্যা।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রবিউল হাসান, হৃদয় হোসেন মল্লিক, মোঃ কামরুল ইসলাম, এইচ এম আলাউদ্দিন, মোঃ এমদাদুল হক মারুফ, এইচ. এ. মোবারক, হাকিমুল ইসলাম সাকিব, সাফায়েত মোর্শেদ,মোবারক উল্লাহসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃত্ববৃন্দ।

আতঙ্কে যাত্রীরা নেই দূরপাল্লার বাস

স্টাফ রিপোর্টার॥

আামীকাল ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে চাপা আতঙ্কে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসে কমে গেছে যাত্রীর সংখ্যা।

আজ (শুক্রবার) সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়,বেশিরভাগ বাস কাউন্টার ফাঁকা। এমনকি যাত্রী সংকটে বেশ কয়েকটি কাউন্টার বন্ধও রয়েছে। কর্মীরা হাঁকডাক করলেও প্রত্যাশামাফিক যাত্রী পাচ্ছেন না। কোনো যাত্রী টার্মিনালে প্রবেশ করলে পরিবহন শ্রমিকরা ছুটে যাচ্ছেন তার দিকে।

রাজধানী এক্সপ্রেসের কর্মী লেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ যাত্রীর সংখ্যা কম। সকাল থেকে মাত্র দুইটা বাস ছেড়ে গেছে। অথচ এই সময়ে তিন থেকে চারটা বাস ছাড়ে। এ দিক থেকে যাচ্ছেও কম,ওদিক থেকে আসছেও কম।

চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের কর্মী বলেন, আতঙ্কের কারণে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। যে কয়টা বাস ছাড়লাম, একটাও পুরো যাত্রী ভরেনি। কয়েকটা সিট ফাঁকা নিয়েই বাস ছাড়ছে।

মাগুরা যাওয়ার টিকেট কেটেছেন রামপুরা নিবাসী সেলিনা। তিনি বলেন, আমার বাবা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে দেখতে যাচ্ছি। একটা ভয় কাজ করছিল যে কোনো সমস্যা হয় কি না বা গাড়ি পাব কি না। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।

পল্টনের একটি ছাপাখানায় কাজ করেন আব্বাস উদ্দীন। যশোরের উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য টিকেট কেটে কাউন্টারে অপেক্ষা করছিলেন। সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামে জমিজমা নিয়ে একটা সমস্যা চলছে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। তবে এখানে এসে বাস পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু যাত্রী কম থাকায় দেরি করে বাস ছাড়ছে।

একই কথা জানান কাউন্ডার সংশ্লিষ্টরাও। কুষ্টিয়াগামী এসবি সুপার ডিলাক্স কাউন্টারের ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন,মূলত আতঙ্কের কারণেই যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমাদের গাড়ির কোনো সংকট নেই। কাউন্টারে এলেই টিকিট পেয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

মাগুরাগামী পূর্বাশা পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, শুক্রবারে স্বাভাবিকভাবে যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকে। কিন্তু আতঙ্কের জন্য আজ যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। অনেকেই ভাবছেন গাড়ি আছে কি না বা গাড়ি চলছে কি না। একই আতঙ্কে অনেকে ঢাকাও আসছেন না। ফলে জেলা থেকে আগত বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই থাকছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি