তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রেসক্লাবে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

ডেস্ক রিপোর্ট:

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেওয়ার ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

রোববার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে অগ্রসর হতে গেলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের বারবার সরে যেতে বললেও আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন।

এরপর ১১টা ২৩ মিনিটে তাদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীর বলছেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মৌখিকে রেকর্ড ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থীকে ইচ্ছে করে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন তারা এনটিআরসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

তাদের দাবি,ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে ভাইভায় অংশ নেওয়া সবাইকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিতে হবে।

সুনামগঞ্জ থেকে আগত আন্দোলনকারী রাজিবুল ইসলাম বলেন, গত ৩১ তারিখ পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং ৪ তারিখ রেজাল্ট দিয়েছে। অথচ কোনো ভাইভা হয়নি। এভাবে কীভাবে রেজাল্ট দেয়? আর এতজন ফেল করে কীভাবে? এই প্রক্রিয়ার পেছনে এনটিআরসির হাত আছে। আমরা এটা মানি না। দ্রুততম সময়ে আমাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে সনদ দিতে হবে।

এদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তিনজনের সঙ্গে আলোচনা করছে পুলিশ।

১৫ আগস্ট পালন প্রসঙ্গে জাহেদ উর রহমানের মন্তব্য

১৫ আগস্ট পালন প্রসঙ্গে জাহেদ উর রহমানের মন্তব্য

ডেস্ক রিপোর্ট:

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, একটা জিনিস এই প্রেস সচিবকে বুঝতে হবে একটা রাষ্ট্র আইন দিয়ে চলে। ১৫ আগস্ট পালন করতে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের এই মন্তব্যে প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।

জাহেদ উর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে যখন লিফলেট বিলি করছিল তখন প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন লিফলেট বিলি করলেই করলেই গ্রেপ্তার হবে। আমার প্রশ্ন ছিল কেন গ্রেপ্তার হবে? এখন যেমন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে আইন হয়েছে সন্ত্রাস দমন আইনে, এখন আপনি সেটা বলতে পারেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ যদি অন্য কোথাও ১৫ আগস্ট পালন করে, সেটা করা যাবে না বলাটা অত্যন্ত স্বৈরতান্ত্রিক মন্তব্য হবে।

তিনি বলেন, একটা অর্ডিনেন্স তৈরি করতে বেশি সময় লাগে না। প্রয়োজনে আইন তৈরি করেন যে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়ার ঘটনায় কোন রকম কোন আনুষ্ঠানিকতা করা যাবে না। এই আইন নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, কিন্তু আপনি যখন আইনের ভিত্তিতে করবেন তখন অন্তত বলতে পারবেন যে আপনি আইন মেনে করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করে তাকে পরাজিত করেছি কারণ আমরা চেয়েছি বাংলাদেশ একটা নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে যাবে, আইনের মধ্যে যাবে। আমি পছন্দ করি না এমন কিছুও যদি কেউ আইন না ভেঙ্গে করে, তার সঙ্গে আমার সহনশীল থাকতে হবে। এটাই তো শিক্ষা ছিল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম