তারিখ লোড হচ্ছে...

বরুড়া অফিস পাড়া ফার্নিচার দোকানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

বরুড়া অফিস পাড়া ফার্নিচার দোকানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

মোঃ মহিবুল্লাহ ভূঁইয়া, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার জেলার বরুড়ায় অফিস পাড়া ফার্নিচার দোকানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ কারী মোঃ জনি জানান, তাঁর মালিকানাধীন বরুড়া থানার দক্ষিণ পাশে পৌরসভার অফিস পাড়া এলাকায় গত ২১শে জুন শনিবার বিকাল আনুমানিক চারটায় বরুড়া তলাগ্রাম অফিস পাড়ার বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন বিল্লাল (৪৫) সকিনা বেগম (৪০) ফাতেমা বেগম (৩৫) জানু বিবি(৪০) একযোগে জোরপূর্বক ফার্নিচার দোকানে ঢুকে মালিক মোঃ জনি(৩২) কে মারাত্মক ভাবে আহত করে এবং দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।

এসময় অভিযোগকারী জনি আরো জানান গত জুলাই আগস্ট মাসেও একবার তার দোকানে হামলার চেষ্টা করেছে এই দুর্বৃত্তরা,ঐ সময় দোকানে সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকায়, কিছু করতে পারেনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফার্নিচার দোকানের মালিক মোঃ জনির সাথে কথাবলে জানা যায়। বেলায়াত হোসেন বিল্লাল এর সহযোগিতা তার বাড়ির মহিলা ভাড়াটিয়ারা, সকিনা বেগম,ফাতেমা বেগম, জানু বিবি,বরুড়া অফিস পাড়া এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজে করে আসছে ও এলাকার যুবকদেরকে ইয়াবা সহ অন্যান্য অসামাজিক কাজে লিপ্ত করছে। এমন সংবাদ সাংবাদিক পেয়ে তাঁর দোকানে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করলে উক্ত অভিযুক্তরা, তার দোকানের ১৫০ গজ পশ্চিমে দিকে তাদের বাসা থেকে বের হয়ে এসে আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হুমকি-ধুমকি দিয়ে যায় এবং ১ নং বিবাদী বেলায়েত হোসেন বিল্লাল আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য ধাঁড়ালো অস্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাথায় ও আমার হাত কেটে যায়।

ঘটনাস্থলে আমার ডাক চিৎকার শুনে আশে পাশে থাকা লোকজন উদ্ধার করে বরুড়া থানায় পাঠায়।

আহত ফার্নিচার দোকানের মালিক মোঃ জনি আহত অবস্থায় বরুড়া থানায় অভিযোগের জন্য গেলে কর্তব্যরত ডিওটি অফিসার হাসপাতালে গিয়ে আগে চিকিৎসা নিতে বলেন।

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ফার্নিচার দোকানের মালিক মোঃ জনি শরীরের বিভিন্ন অংশে লিলা,ফুলা ও যখমের দাগ রয়েছে এবং তার কপালে সেলাই দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন বিল্লাল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন সময়- আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন বিল্লালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও ডিডি বিজয় কৃষ্ণ হালদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কৃষকদের মানববন্ধন

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে গাংনী উপজেলার সর্বস্থরের ক্ষতিস্তরের কৃষকবৃন্দ। কামরুল ইসলাম নামের একজনের কৃষকের স্বাক্ষরিত প্রেস নোটের মাধ্যমে জানতে পারি, পারিবারিক পুষ্টি বাগান, যশোর অঞ্চলের টেকসই প্রকল্পের ফল বাগান ও বিভিন্ন পার্টনার প্রকল্পের প্রদর্শনী প্লট, কৃষি প্রনোদনা সহ নানা সহযোগিতা দিয়ে থাকে। কিন্তু গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন যোগদানের পর থেকে কোথায় বাস্তবায়ন না করে লুটপাট শুরু করেছে।

তার নামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে অভিযোগ দিলেও কর্নপাত করেনি।

কৃষি অফিসারের তদারকি না থাকা ও ডিলারদের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার কারনে নায্যমূল্যে সার পাওয়া যাচ্ছেনা। ষোলটাকা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ উপজেলার সকল ডিলার মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও কৃষি অফিসার ইমরান হোসেনের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলা টি এস পি সার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি বস্তার মূল্য ১৩৫০ টাকা হলেও নেয়া হয় ২৩০০ টাকা। আবার বাংলা ডিএপি ১৩৫০ টাকার স্থলে ১৬৫০ টাকা থেকে ১৮৫০ টা এবং এম ও পি সার ১০০০ টাকার স্থলে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রয় করে থাকে। ক্রয় ভাউছার চাইলে সার বিক্রি হবেনা বলে জানিয়ে দেন।

এছাড়াও একই পরিবারের মধ্যে একাধিক বিসিআইসি ও বিএডিসি লাইসেন্স থাকার কারনে গাংনী উপজেলায় বরাদ্দকৃত সার জেলার বাইরে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারে ডিডি ও কৃষি অফিসার এর সহযোগিতায়।মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে থাকা মেহেরপুর জেলার বরাদ্দকৃত অর্ধ কোটি টাকা লোপাট করেছে। অতএব কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও গাংনী কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের দূর্নীতির তদন্ত ও কৃষককে নায্যমূল্যে সার সরবরাহ ও ২০২৩ সালের কৃষি প্রনোদনা সহ সকল প্রনোদনা বিতরন এবং সরকারী বরাদ্দ তালিকা নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করার দাবি জানায় চাষীরা এবং কৃষকরা মানববন্ধনে আরোও বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আমরা রাজপথে আন্দোলন করব । এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কৃষকদের মানব বন্ধনে করা দাবি মিথ্যা, তবে বাস্তবে তার কথা সাথে সরে জমিনে কোন মিল নেই।কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার এর কথা হলে তিনি জানান, আমার কাছে কোন চাষী লিখিত অভিযোগ করেনি, আপনার দ্বায়িত্বশীল কোন তদারকি করেন কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নশুনে তিনি মোবাইল কেটে দেন।

 

সবা:স:জু- ২৯৩/২৪

language Change
সংবাদ শিরোনাম