তারিখ লোড হচ্ছে...

নুরজাহান গ্রুপের ভেজাল তেল সরাতে হচ্ছে বাজার থেকে, জেলে যেতে হবে এমডি রতনকে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) করা মামলায় নুরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহম্মদ রতনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে আড়াই লাখ টাকার অর্থদণ্ড ও এক সপ্তাহের মধ্যে জাসমিন ব্রান্ডের সয়াবিন তেল বাজার থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নুরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহম্মদ রতনের বিরুদ্ধে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ভেজাল পণ্য বাজারজাত করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসটিআই’র আইনজীবী ও প্রসিকিউটর মো. আশ্রাফ উদ্দিন খোন্দকার বলেন, জাসমিন সুপার অয়েল লিমিটেডের ফার্টিফাইড পাম অয়েলের নমুনা পরীক্ষায় ভিটামিন ‘এ’পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ রতনকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা, ১ মাসের কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে ১৫ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে জাসমিন ব্রান্ডের সয়াবিন তেল বাজার থেকে প্রত্যাহার করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর নুরজাহান গ্রুপের আওতাধীন জাসমিন সুপার অয়েলের পাহাড়তলীর কারখানা থেকে সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে সংগৃহীত ফার্টিফাইড পাম অলিনের নমুনা পরীক্ষায় ভিটামিন ‘এ’ পায়নি বিএসটিআই। এছাড়া সরকারি আইন অমান্য করে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন এ সংযোজন না করে ফার্টিফাইড পাম অলিন বিক্রয়-বিতরণ ও বাজারজাত অব্যাহত রাখায় মামলা করে বিএসটিআই।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা ও সম্পত্তি ক্রোক

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা ও সম্পত্তি ক্রোক

ডেস্ক রিপোর্ট:

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা ও সম্পত্তি জব্দ করেছেন ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। জাল জালিয়াতি এবং অর্থ পাচার, মানিলন্ডারিং অভিযোগে বুধবার (৭ আগস্ট) গুলশান থানায় মামলা করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এ কথা নিশ্চিত করে সংস্থাটি। রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান পরিচালনা করে সিআইডি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লি. বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে জমি কিনে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে বিক্রি করে। বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে রফিকুল ইসলামের দুই ছেলে কাউসার আহমেদ অপু এবং মেহেদী হাসান দিপু ২০২২ সালের ৮ মার্চ বিভিন্ন দলিলে ৭.৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করে। উক্ত তফসিলভুক্ত জমির মধ্যে একই বছরে জুনের ১ তারিখে তারা ৬.৩৩৭৫ একর জমি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লি. এর নিকট পুনরায় ৫,৭৩,৬০,০০০ টাকা বিক্রি প্রতারনার মাধ্যমে উপার্জন করে।

এছাড়াও পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতিতে বালিভরাট করার ভূয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক হতে ২৭০ কোটি টাকা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক হতে ২০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে তা আত্নসাৎ করে। ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা হতে ভূয়া মূল্যায়ন কপি তৈরি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় সম্পত্তির মূল্য দেখিয়ে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করে ঋনের টাকা পরিশোধ না করে অর্থ পাচারের মাধ্যমে ২০০,০০০০ এস ডলার বিনিয়োগ করে ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

এরকম প্রতারণা, জালজালিয়াতি এবং অর্থ পাচার, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ২ এর শ(৫) (৬) (১৪) ধারা মতে সম্পৃক্ত অপরাধ বিধায় রফিকুল ইসলাম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গুলশান থানার মামলা করে সিআইডি। একই সঙ্গে আদালতের আদেশে ১৩টি ব্যাংক হিসাবের প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল ০২ এ থাকা ১০০,০০০ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম