তারিখ লোড হচ্ছে...

সাংবাদিককে গুলি করে হত্যাকারী প্রধান আসামীর পরিবারের টার্গেট যখন সহকর্মী সাংবাদিক!!

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গত ১৩ই এপ্রিল কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্তে মাদক কারবার ও বড় চোরাচালানের তথ্যা দেয়ার কথা বলে সুপরিকল্পিত ভাবে একজন পুলিশ কর্মকর্তার পূত্র ও সাংবাদিক (মহিউদ্দিন সরকার নাঈম)’কে সীমান্তে ডেকে নিয়ে নৃশংশ ভাবে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পূর্ব ঘোষণা দিয়ে সাংবাদিককে হত্যার ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যপক আলোচিত হয়। আন্দোলন ও নানা কর্মসূচি পালন করে সারা দেশের সাংবাদিক মহল। এ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী’র (র‌্যাবের সাথে ভারত সীমান্তের গোলাবাড়ি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত) পিতা কর্তৃক নিহত সাংবাদিক নাঈম এর কাছের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা যা বিন্দুমাত্র সত্যতা না থাকায় থানায় গিয়ে দায়ের করতে ব্যার্থ হয়।

অবশেষে আদালতে মনগড়া কাহিনি সাজিয়ে গুছিয়ে মামলাটি দায়ের করেন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে! আদালত মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা শাখাকে। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) সহ-পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্ত করেন। উল্লেখিত স্বাক্ষীদের কয়েকজন সরাসরিই বলেন এবং বলছেন এমন কোন চাঁদাবাজির ঘটনার কথা জানেন না বা দেখেননি তারা তেমন কিছুই।

বিবাদীদের সাথে কোন আলোচনা তো করেনইনি আপসোসজনক হলেও সত্যি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফোনালাপকালে জানান, তিনি জানেনই না বিবাদীরা কে এবং কি করেন!! ২৮সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র যেখানে অর্ধশতাধিক লোক ভিডিওটিতে দৃশ্যমান, সেই ভিডিও চিত্রই নাকি মামলার প্রমাণ!! যেখানে মমলায় কথিত আসামীদের তেমন কোন কিছুই প্রকাশ পায়নি৷ অথচ মূল ঘটনা হলো (ভিডিও রয়েছে), একজন তরুণ সাংবাদিক কে হত্যার পরপর ভারতীয় অবৈধ পথে আনা চোরাই পণ্য ও মোটরসাইকেল পার্টস বিক্রেতা এবং সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিব্বি ব্যবসা করছিলো। আর তৎকালীন বুড়িচং থানায় দায়েরকৃত সাংবাদিক হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ওসি কে জানিয়ে, প্রধান আসামীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, দোকানে থাকা অভিযুক্তের পিতা ও কর্মচারীরা উল্টো নিহতের সহকর্মী সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে!! সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যার প্রধান আসামী ক্রসফায়ারে নিহতের দুদিন আগে ক্যান্টনমেন্ট মার্কেট এবং সংলগ্ন নামার বাজার এলাকায় সেদিনের মুল ঘটনা এতটুকুই।

তবে মজার বিষয় হলো, দিনে দুপুরে ক্যান্টনমেন্ট মার্কেট ও মার্কেট সংলগ্ন দোকানে চাঁদা চাওয়া বা চাঁদাবাজী ও লুটপাট করা কি করে সম্ভব? পাঠকের কাছে প্রশ্ন আপনার কি মনে হয়? এসব কথা বা অভিযোগ কোন ভাবেই কারো কাছে বিশ্বাস বা গ্রহণ যোগ্য…?

ইতিপূর্বেইও সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলায় জড়িত পালাতক আসামিরা মিথ্যা মামলা হামলা এবং নাঈমের মত হত্যা করে পথেঘাটে ফেলে রাখার হুমকি দিচ্ছে, দিয়েছে। অবশ্য এসব বিষয় একজন সাংবাদিকের জন্য নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। (প্রশিক্ষণ কালে এক সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক বলেছিলেন যে সাংবাদিকের কোন শত্রু নেই কিংবা কখনোই মিথ্যা ষড়যন্ত্র, হামলা, মামলার শিকার হননি তিনি আর যাই হোক সাংবাদিক নন)

মূল বিষয় হলো, দেশের সাধারণ মানুষের বিপদে আপদে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা হলো থানা পুলিশ এবং আদালত। আমিও গর্বিত এই কারনে, আমার আপন ছোট দুই ভাই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর শতভাগ সৎ পুলিশ হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আমার মরহুম পিতা ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশের সার্জেন্ট।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ৭১এর রণাঙ্গন থেকে শুরু করে, সর্বত্র দেশের পুলিশ বাহিনীর রয়েছে বিশেষ অবদান। পুলিশ ব্যতিত দেশের স্বাভাবিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা ভাবাও যায় না।

ডিপার্টমেন্টের গুটি কয়েক অসাধু সদস্যদের কারনে পুরো বাহিনীকে যেমন দায়ী করা যায় না, তেমনি দু চারজন বুভুক্ষু অসাধু অর্থলোভী সদস্যের কারনে যেন সকলের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেদিকে কঠোরতা অবলম্বনও প্রয়োজন।

নবনিযুক্ত আইজিপি মহোদয় দেশের প্রতিটি থানাকে নির্যাতিত নিপিরীত পুলিশী সেবা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা হিসেবে রুপান্তরের যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তা বাস্তবায়নে এই বাহিনীর সকলেই আন্তরিক ভাবে কাজ করবেন, এমনটাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে সাধারণ মানুষ।

পরিশেষে দেশের আইন ও আদালতের ওপর আস্থা ও সত্যের ওপর ভরসা রেখেই আশা করছি শীঘ্রই বানোয়াট এ মামলাটি আদালতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় খারিজ হবে। এবং সেই সাথে সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যায় জড়িত প্রতেকেই তাদের প্রাপ্য সাজা ভোগ করবেই। (ইনশাআল্লাহ)

 

ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক ব্যবসা করে কোটিপতি পারভেজ ও দ্বীন ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের মধ্যেও কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়াতে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না মাদক ব্যবসা।

বরং নতুন ব্যক্তিরা এ ব্যবসায় জড়াচ্ছেন। সরজমিনে অনুসন্ধান উঠে আসে মাদক ব্যবসায় কোটিপতির তালিকায় উঠে এসেছে নতুন নতুন নাম।
তার মধ্যে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা দ্বীন ইসলাম ও একই এলাকার পারভেজ নামের এক যুবকের নামও উঠে এসেছে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, দ্বীন ইসলাম – পারভেজ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ভারত থেকে মাদক এনে এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাড়িতে গোডাউন করে মজুদ করে রাখে।

তারা দুইজন নাগাইশে গড়ে তুলেছেন গাজাঁর ও মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সারা দেশে মাদক পাচার করেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন দ্বীন ইসলাম একজন সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্ত্রান। সেও কৃষি কাজ করেন। এলাকার বিভিন্ন বিচার মজলিশেও দ্বীন ইসলাম একজন ভালো শালিসি বা বিচারক হিসাবে চিনেন। আসলে কি তাই?

সাংবাদিকের বিশ্লেষণে বের হয়ে আসলো তার আসল রূপ। সে এসবের আড়ালে মাদক ব্যবসার বড় সিন্ডিকেটের সদস্য। তবে তার মানে থানায় কোন মামলা নেই। মাদক বিক্রির টাকায় প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে ব্রাহ্মণপাড়ায় নির্মাণ করছেন রাজকীয় বাড়ি।

এলাকায় কিনেছেন জমি। ৮/১০ টি পুকুরে মাছ রয়েছে প্রায় কোটি টাকাও বেশি। মাদকের কালো টাকা সাদা করতে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গাচ্ছে। চলাফেরা করছে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ভিআইপিদের সাথে। এবিষয়ে তার বাড়িতে একাধিকভাবে খোঁজ করে পাওয়া যায় নি।

তবে ফোনে যোগাযোগ করে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার কিছু শক্র আমাকে সমাজের কাজে ছোট করতে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। পারভেজ কর্মজীবনেরশুরুতে ছিলো গার্মেন্টস কর্মী। পরে এলাকায় এসে বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে টাকা দার করে শুরু করেন মাছের ব্যবসা। নিজের ঘর থাকা সত্বেও সে বাড়ির পাশে একটি ইটের তৈরি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এলাকায় তার কয়েকটি গরুর মোটাতাজা করন ফার্ম ও রয়েছে। সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু কিনেছেন। নিয়ে ব্যবহার করেন প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার মোটরসাইকেল। প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করেন দামি ব্র্যান্ডের ফোন। তবে হঠাৎ তার এত পরিবর্তন লক্ষণীয়। চলাফেরা সত্যি অবাক করার মতো।

মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও এলাকার কিছু শালিসকেও তার পক্ষে নিয়ে আসেন। এবিষয়ে তার বাড়িতে একাধিকভাবে খোঁজ করে পাওয়া যায় নি। পরে জানা যায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। তবে তার মোবাইলে কল করার পর সাংবাদিক পরিচয় দিতেই সে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে সে আর কোন কল রিসিভ করেন নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও একজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, গাজাঁ ব্যবসার ওপর ভর করে পারভেজের পুরো পরিবারের ভাগ্য বদলে গেছে। কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার পাশাপাশি দামী মোটরসাইকেল ও প্রায় ২০ টি ও বেশি গরুর মালিক হয়েছেন তিনি। তদন্ত সূত্রে আরো জানা যায় পারভেজ গত কিছু দিন আগে গাজা সহ পুলিশের নিকট আটক হয়ে জামিনে আছে, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগও রয়েছে।পরবর্তীতে তদন্ত বিস্তারিত,………. আসছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম