তারিখ লোড হচ্ছে...

অপমান সইতে না পেরে বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

। বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে নাছরিন আক্তার রুপা(১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। (৫ অক্টোবর ২০২২) বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাছরিন আক্তার রুপা শংকুচাইল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহত নাছরিন আক্তার রুপা’র বাবা আব্দুল মালেক জানান,পিতৃসম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ভাই সৈয়দ আলীর দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল।তাদের এ বিরোধের জেরে সমাধানের লক্ষ্যে গ্রাম্য সালিশ বসে। সেখানে মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অপমানমূলক কথাবার্তা তুলে চাচা সৈয়দ আলী। গত বুধবার সকালে রুপার বাবা আব্দুল মালেক তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পর বাড়িতে স্ত্রী,ছেলে-মেয়ের সাথে সৈয়দ আলীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে চাচা সৈয়দ আলীসহ স্ত্রী, মেয়ে রুপাকে বেশ্যা বলে গালি দেয় এবং অপমানমূলক কথাবার্তা বলে। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে ওই দিন বিকেল ৩টার সময় পরিবারের অজান্তে আব্দুল মালেকের পূর্ব ভিটার ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে তীরের সাথে সাদা উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মা-ভাই ও স্থানীয়রা দরজা ভেঙে রুপাকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমানের নির্দেশনায় এসআই আব্দুল জব্বার কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রুপার চাচা ও তার পরিবারকে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানান। বাড়িতে এসে মেয়ে লাশ দেখে বাবা আব্দুল মালেক অসুস্থ হয়ে বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় সরেজমিনে গিয়ে সৈয়দ আলীর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম মাস্টার ও গ্রামের জলিল সর্দার দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকা -র প্রতিনিধিকে জানান, আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারিনি।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান কলেজ ছাত্রী নাছরিন আক্তার রুপার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,থানাতে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে আত্মহত্যা কি কারণে করেছে তা সঠিক কারণ জানা যায়নি।

বুড়িচংয়ে এক প্রবাসীকে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রুবেল মিয়া কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এর বারেশ্বর গ্রামে।

জানা গেছে জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এর বারেশ্বর গ্রামের জজু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া দীর্ঘদিন ৮ বছর পর তিনি কুয়েতে চাকুরী ( প্রবাসী) করে দেশে আসছেন গত ১৪ এপ্রিল ছুটি নিয়ে।

দেশে আসার পর রুবেল মিয়া তার বাড়ির পাশের গোলাম কিবরিয়া খাঁন চৌধুরী থেকে প্রায় ৩৭ শতক জমি ক্রয় করেন। এই জমি ক্রয় না করতে পেরে প্রবাসী রুবেলের সঙ্গে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ বাঁধে একই এলাকার ৫-৬ জন প্রতিবেশীর। তারা
প্রবাসী রুবেল কে ঘায়েল ও সামাজিক ভাবে হেনস্তা করতে মাদকের মিথ্যা বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রবাসী রুবেল অভিযোগ করে বলেন আমি এপ্রিল মাসে কুয়েত প্রবাস থেকে দেশের বাড়ীতে ছুটিতে আসি। আসার পর আমি গোলাম কিবরিয়া খাঁন চৌধুরী থেকে প্রায় ৩৭ শতক জমি ক্রয় করি। এজমি এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাকে মিথ্যা বানোয়াট হয়রানি ও ক্ষতি সাধিত করতে আমার

বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় একটি সাজানো মাদকের অভিযোগ করে একই গ্রামের গোলাম জিলানী খাঁন চৌধুরী বাবুল, মোঃ সালাহউদ্দিন, মোঃ কালোন মিয়া, মোঃ কাউছার মিয়া, মোঃ অজুদ মিয়াসহ পাঁচ জন মিলে।
অভিযোগ করেই শেষ নয়, আমাকে এখন প্রান নাশের হুমকি ধমকী দিচ্ছে। তাদের অব্যহৃত ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করানোর কারনে আমি নিরাপত্তা হিনতায় ভোগছি। তিনি আরও বলেন আমি একজন দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদকের যে অভিযোগ করেছে প্রশাসন তা তদন্ত করার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি। প্রকৃত পক্ষে কারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করলে সব কিছু এবং আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম