আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংক্রমণ

আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংক্রমণ

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেলে সেখানে মারাত্মক চিকিৎসা সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দুর্বল অবকাঠামো, সীমিত চিকিৎসাসেবা এবং প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব— সবমিলিয়ে উপকূলবর্তী এলাকাগুলো একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

সম্প্রতি দক্ষিণ অঞ্চলের কয়েকটি উপকূলবর্তী জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। একই চিত্র যদি কলাপাড়ায় দেখা যায়, তাহলে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট এবং পর্যাপ্ত ওষুধ বা প্রয়োজনীয় পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে বৃষ্টিপাত-পরবর্তী সময়ে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর জলাবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশনের সমস্যার কারণে সেখানে এডিস মশার বিস্তার দ্রুত ঘটছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শও দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুয়াকাটা বয়েজ ক্লাবের সভাপতি ডা. তৌফিকুল ইসলাম রনি বলেন, সম্প্রতি যে হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে উপকূলের সাধারণ মানুষ অনেকটাই আতঙ্কিত। আমি প্রতিদিন কমবেশি অনেক ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি আমার চেম্বারে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা একটু আশঙ্কাজনক, তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিই অথবা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু কুয়াকাটায় যে হাসপাতাল রয়েছে, এটি পরিপূর্ণ চালু থাকলে এই এলাকার মানুষ এখানেই চিকিৎসা নিতে পারতো।

স্থানীয় জেলে ছগির মাঝি বলেন, ডাক্তার বলেছেন আমার ছেলের নাকি ডেঙ্গু হয়েছে। এখন চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলছে। কারণ, কুয়াকাটা হাসপাতালে রোগী ভর্তি নেওয়া হয় না। আমি গরিব মানুষ, পটুয়াখালী গিয়ে ছেলের চিকিৎসা করাতে আমার খুব কষ্ট হবে। আমরা চাই কুয়াকাটা হাসপাতালটি যেন পুরোপুরি চালু করা হয়।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. জেএইচ খান লেলিন বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে জরুরি ভিত্তিতে উপকূলীয় এলাকায় জনসচেতনতা বাড়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা এবং স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে চিকিৎসা সংকটে পড়বে লাখ লাখ উপকূলবাসী। এবং কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায়, চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারে উপকূলের সাধারণ মানুষ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম