আমাদের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার সহ একাধিক সাংবাদিকদের অপহরণের চেষ্টা

আমাদের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার সহ একাধিক সাংবাদিকদের অপহরণের চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা কেরানিগঞ্জের উপজেলা প্রাঙ্গনে একাধিক সাংবাদিকদের মারধরের পরে গাড়িতে তুলে অপহরণের সময় স্থানীয় জনতার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের তোপের মুখে গাড়ী থেকে নামিয়ে পালিয়ে যায় অপহরন কারীরা। উক্ত বিষয় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার সত্যতার জন্য সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে অপহরন কারীদের মধ্যে মজিবর রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে পরক্ষ্য ভাবে জড়িত ছিলেন এবং প্রথম ধাপেই মজিবরের নামে কেরানীগঞ্জে ছাত্র হত্যা সি আর মামলা নং ১০৫৫ ২০২৪ইং রয়েছে ।

কিন্তু এখনো মজিবর কেরানীগঞ্জে তাহার গুন্ডা বাহিনী নিয়ে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছেন এবং একের পর এক সাংবাদিকদের উপর হামলা সহ অপহরণ করছেন। অপহরণ থেকে রক্ষা পাওয়া সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন মোঃ শাহিন চৌধুরী পেশা- সাংবাদিকতা কর্মরত দৈনিক আমাদের কন্ঠ সিনিয়র রিপোর্টার,আমি পেশা গত দায়িত্ব পালন কালে আমার সাথে থাকা সাংবাদিক মেহেদি হাসান কুদ্দুস দৈনিক যুগান্তর,জাহিদ হোসেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ,নাহিদ হাসান বার্তা বিচিত্রা, আনোয়ার হোসেন বার্তা বিচিত্রা,আমরা কেরানীগঞ্জ উপজেলায় মৎস ভবনের সামনে দাড়াই। হঠাৎ করে ১নং বিবাদী মজিবুর ও ২নং বিবাদী শামিম মারমুখি হয়ে আমাদের দিকে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমি জিজ্ঞাসা করি আমাদেরকে কেন গালিগালাজ করছে।আমার কথা শোনার পরে ২ নং বিবাদী শামিম কোমরে হাত দিয়ে বলে তোদেরকে গুলি করে মেরে ফেলবো।

১নং বিবাদী মোঃ মজিবুর লোহার রড দিয়ে আমাদেরকে এলোপাথারী ভাবে আঘাত করে। সেই সময় আমরা চিৎকার চেচামেচি করলে আমাদেরকে জোর পূর্বক টেনে হিঁচড়ে আনন্দ টিভির স্টিকার লাগানো মাইক্রো বাস যাহার রেজিস্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৬২২২ আমার সাথে থাকা সাংবাদিক সহ সকলকে তুলে নেয়। সেই সময় আমাদের সাথে থাকা একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও আমাদের সাথে থাকা মোবাইলসহ পকেটে থাকা ৪৩,১২০/- টাকা ২নং বিবাদী শামিম নিয়ে যায় এবং আমাদেরকে গাড়িতে করে নেওয়ার সময় সাধারন জনগণ গাড়ির গতিরোধ করে জানতে চায় এদেরকে কোথায় নিয়ে জাচ্ছেন, সেই সময় উপস্থিত হয় সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেরানীগঞ্জ এর আহ্বায়ক শাফায়াত হোসেন ঢালিসহ সাধারন জনগণ আনন্দ টিভির ওই গাড়ি থেকে আমাদের উদ্ধার করে।

আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে স্থানীয় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করি। বিবাদী ১। মোঃ মজিবুর (আওয়ামিলীগ এর নেতা) (৫৫), পিতাঃ আমীর আলী, সাং- বটতলী, থানা- দক্ষিন কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ২। মোঃ শামিম (৪০), পিতাঃ অজ্ঞাত, ৩। মোঃ সনেট (৩৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জন। তরি ঘরি করে পালিয়ে যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম