যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জেমি আক্তারঃ
অত্যন্ত জাঁকজমক ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) যাত্রাবাড়ী এলাকার ওয়াপদা কলোনি খেলার মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগ।

যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু (এমপি) এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম (এম পি)।
এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস (এমপি), দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী।
উক্ত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির।
যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিসবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, শরফুউদ্দীন আহমেদ সিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ.এম. শরিফুল ইসলাম শরিফ।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস কে বাদল, কার্যনিবার্হী সদস্য সালাউদ্দিন বাদল, সদস্য হাজী ইলিয়াছুর রহমান বাবুল, সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী, ড. খন্দকার তানজির মান্নান, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম খান দিলু, সিরাজুম মনি টিপু, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরী সহ দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তনুর খান শান্ত, বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল ইসলাম এনাম, ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব শেখ রফিকুল ইসলাম, ৪৮ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন গেসু, ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু, ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন আহম্মদ মুরাদ।

দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বাকের, ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক গাজী শামীম আহম্মেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৫০ং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাসুম মোল্লা, ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোস্তাক আহমেদ, ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু, (৪৮,৫০,৫১) নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নাজমা খোকন।
৬১,৬২,৬৩) নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইয়াসমিন কুয়াশা, (৬৪,৬৫,৬৬) নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াছমিন লাকী, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান খান, দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে খান জয়, ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যাত্রাবাড়ী থানা এবং ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬২, ৬৩, ৬৫ ও ৬১,৬৪ (যাত্রাবাড়ী অংশ) নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পিলখানা হত্যাকান্ডে শেখ হাসিনা-মইন ইউসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার: 

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিক, সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ অভিযোগ জমা দেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিদ্রোহী জওয়ানদের হামলায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।

আজ অভিযোগ দাখিলের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের আইনজীবী তাসমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পিলখানার ঘটনার সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে যে বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গণহত্যার সামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে। তৎকালীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসররা রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সংকটের মুখে ফেলতে এবং স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে দুটি বড় আর শক্তিশালী বাহিনীকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এ গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন।

এ আইনজীবী বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের খুন করা হয়েছে। তাঁদের লাশে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেয়নেট নিয়ে খুঁচিয়ে লাশ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। যা গণহত্যা হিসেবেও পরিগণিত হবে।

৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে জানিয়ে তাসমিরুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিক, সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ, আইনমন্ত্রী এবং তখনকার বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান এবং যাঁরা এ হত্যাকাণ্ড এড়াতে পারতেন; কিন্তু করেননি এমন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অভিযোগ দিতে যাওয়া নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা। কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিন ফেরদৌসী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটিকে বিদ্রোহ বলবেন না। যারা পরিকল্পনা করে মেরে পোড়ানোর ব্যবস্থা করে, বেয়নেট দিয়ে খোঁচায়, ড্রেনে ফেলে, পরিবারদের-বাচ্চাদের বুট দিয়ে লাথি দিতে দিতে নিয়ে যায়। এমন অনেক কিছুই জানেন না, যেটা আমাদের সঙ্গে হয়েছে। এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডই বলতে হবে।’ তিনি এ ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে সত্য উদ্‌ঘাটনের দাবি জানান।

নিহত কর্নেল কুদরত এলাহীর সন্তান আইনজীবী সাকিব রহমান বলেন, ‘আমি আইনজীবী হয়েছি, আইন পড়েছি একমাত্র বাবার হত্যার বিচার চাইতে। আমাদের বাবার হত্যার বিচার করে ছাড়ব। আমরা আশাবাদী—সঠিক বিচার পাব।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে আরও দেড় হাজারের বেশি আবেদন সতর্ক মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের