তারিখ লোড হচ্ছে...

বায়ুদূষণ রোধে ‘ডিগ্রেডেড এয়ার শেড’ শনাক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

বায়ুদূষণ রোধে ‘ডিগ্রেডেড এয়ার শেড’ শনাক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্টঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সুপারিশ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এসময় উপদেষ্টা ঢাকার বায়ুদূষণ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বায়ুদূষণের উৎস সনাক্ত করতে কমিটি গঠন করা হবে এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে পার্বত্য চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুরের রামগতিসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ইটভাটা পরিচালনা নিষিদ্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র সহযোগিতায় লাগাতার অভিযান চালানো হবে। নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা, পার্ক বা উন্মুক্ত স্থানে আগুন দিয়ে পোড়ানো, ও পাতা পোড়ানোর ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকা শহরের ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনগণ ও কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ঢাকা শহরের কোনো স্থানই পতিত রাখা যাবে না, সব জায়গায়ই গাছ লাগাতে হবে। পাতা পোড়ানোর হটস্পট চিহ্নিত করে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পত্র দেওয়া ও গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।

তিনি আমিন বাজার এলাকায় বালু রাখার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

১১ মাসে ৭৬৮টি অনুসন্ধান দুদকের

১১ মাসে ৭৬৮টি অনুসন্ধান দুদকের

ডেস্ক রিপোর্ট:

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত (১১ মাস) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১২৮২৭টি অভিযোগের এসেছে। এ সময়ে ৭৬৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। দুদকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান শুরু হয় চলতি বছর। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫৩০টি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। জানুয়ারি মাসে ৯৬, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৫, মার্চ মাসে ১০১, এপ্রিল মাসে ১১৮, মে ৭২ ও জুন মাসে ৪৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়।

অন্যদিকে, গতবছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়। আগস্ট মাসে ৩৬, সেপ্টেম্বর মাসে ১০০, অক্টোবর মাসে ৭৩, নভেম্বর মাসে ০ ও ডিসেম্বর মাসে ২৯ টি অনুসন্ধান করা হয়। এ সময়ে দুদকের জালে ফেঁসেছেন ২ হাজার ৭৮৮ জন দুর্নীতিবাজ।

যারা সরাসরি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিভিন্ন মামলা বা চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৩২ জন মামলার ও ১ হাজার ৩৫৬ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি। আর আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২জন রাজনীতিবিদ এবং ৭১৫ জন বেসরকারি চাকরিজীবিসহ অন্যান্য পেশার ব্যক্তি মামলার আসামি। বাকিরা বিভিন্ন পেশার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন এই ৬ মাসে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে ৫ হাজার ৯২৯টি, মামলা হয় ২৫৫টি, চার্জশিট দেয় ১৭৫টি, চার্জশিটভুক্ত আসামি ৫৩৮ জন, দুদকের মামলার মোট আসামি ৯৮৩ জন, যার মধ্যে রাজনীতিবিদ রয়েছেন ৬৮, সরকারি চাকরিজীবী ২১১ জন, জনপ্রতিনিধি ১৪ জন।

দুদক থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গত ১১ মাসে বিভিন্ন অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগ দুদকে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬৮ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া হয়। এ সময়ে ৩৯৯টি মামলা ও ৩২১টি মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। মাস হিসেবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক ৭০ ও ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২ জন রাজনীতিবিদসহ ১২৬৪ দুর্নীতিবাজ দুদকের জালে ফেঁসেছে। ওই সময়ে ২২৩ জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেয় দুদক। একই সময়ে ৯টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি (অভিযোগ থেকে অব্যাহতি) হয়।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮ অনুসন্ধান, ৪ পরিসমাপ্তি, ৬২টি সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে দুদক। আলোচ্য সময়ে ১৪৪ মামলা, ১৪৬ অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৪৯ জন, অভিযোগপত্রে আসামি ৮১৮ জন।

জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে গতি এসেছে। পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে বিশেষ করে গত ৬ মাসে অভিযোগ, মামলা ও চার্জশিট দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর দুদকের কাজের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম