গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে চলছে আওয়ামীলীগের পুর্নবাসন

গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে চলছে আওয়ামিলীগের পুর্নবাসন

ষ্টাফ রিপোটার:

বিগত ষোল বছর গজারিয়া উপজেলার নদী বেষ্টিত ইউনিয়ন গুয়াগাছিয়ায় একচছত্র আধিপাত্য বিস্তার করে রেখে ছিল মনসুর আহমেদ টিপু। ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক এমপি এম ইদ্রিস আলী ও এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের অন্যতম দোসর টিপুর বর্তমান আধিপত্যও সেই আগের মতোই৷। একটুও হেরফের হয়নি তার অবস্থান৷ অবশ্য আগে ছিল সে আওয়ামিলীগ বর্তমানে তার গায়ে লেগেছে বিএনপির সাইনবোার্ড। পেশায় তিনি শিক্ষক হলেও গতবছরের জুলাই আগষ্ট ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে এই টিপু মাষ্টার ।

৫ আগষ্ট ২০২৪ সালের আগে তার ফেইসবুক আইডি জুড়ে ছিল ফ্যাসিষ্ট সরকারের গুন কীর্তন । ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নৌকা মার্কা নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্যও ছিল টিপু মাষ্টার ৷প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছে নৌকা মার্কার নির্বাচনী জনসভাগুলোতে৷ ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরিবর্তনের তার ফেইসবুক আইডি হতে আগের সব কিছু ডিলিট। বনে গেছে বিএনপির নেতা । স্থানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা হয়ে গেছে তার কাছে অসহায়। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো মাসিক চাঁদাবাজিও করেছে এই টিপু মাষ্টার।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অনেকের অভিযোগ উপজেলা বিএনপির জনৈক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের পুর্নবাসন চলছে।

কোনো দলের অভিসন্ধির কাছে মাথা নত করতে পারি না: সালাহউদ্দিন আহমদ

কোনো দলের অভিসন্ধির কাছে মাথা নত করতে পারি না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ডেস্ক রিপোর্ট:

কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে বিএনপি কোনো দিন মাথা নত করতে পারে না, বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র কোনো ছেলেখেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা ছিনিমিনি খেলতে পারি না। এই রাষ্ট্রকে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলতে দিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের অভিসন্ধির কাছে আমরা কোনো দিন মাথা নত করতে পারি না। এই দেশের জনগণই হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক।

আজ শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কোনো একটি আইনানুযায়ী বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিবর্তন করার কোনো অধিকার আমাদের কারও নেই। এমনটা হলে আগামী দুই বছর বা পাঁচ বছর পরে বারবার এই প্রক্রিয়ায় আবার সংবিধান বদলের দাবি উঠবে বলেন তিনি।

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশ হয়েছে বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যখনই একটা বৈধ প্রক্রিয়ার কথা বলি, তখন তারা বলে জনগণের অভিপ্রায় এখানে চূড়ান্ত। হ্যাঁ জনগণের অভিপ্রায় চূড়ান্ত। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। সেই অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা সঠিক; কিন্তু এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়নের জন্য তো আমাদের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, আর্টিকেল ১০৬ এর দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন দেখেছি। উপদেষ্টাদের শপথ দেখেছি। আমরা সেটিকে বৈধ প্রক্রিয়া মনে করি।

৫৬ শতাংশ মানুষ যে পিআর পদ্ধতি বোঝেই না সেই পদ্ধতি চাইতে পারি?

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ যে পিআরপদ্ধতি বোঝেই না সেই পদ্ধতি কি আমরা চাইতে পারি? সুতরাং এসব কথাবার্তা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা না করাই উচিত।

যারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, তাদের বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সঠিক রাস্তায় ফেরত আসার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

নির্বাচন বানচালে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে

নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিলম্বিত এবং বানচাল করার জন্য যে শক্তি কাজ করছে, তার পক্ষে একটি রাজনৈতিক দল কাজ করছে বলে সন্দেহ সালাহউদ্দিন আহমদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপাত হবে আবার।’

বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারক ফোরামের এই নেতা বলেন, এখন কথা উঠছে যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ভিত্তিতেই নাকি আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়ে যাচ্ছে বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শুধু সংবিধানের অংশটুকু বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী সংসদের প্রয়োজন এবং সংবিধান সংশোধনের নির্ধারিত প্রক্রিয়া প্রয়োজন। সেই অংশগুলোতে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী জাতীয় সংসদকেই দায়িত্ব দিতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হারুন। এতে বক্তব্য দেন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণদলের সভাপতি এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম