তারিখ লোড হচ্ছে...

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

ডেস্ক রিপোর্ট:

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার পরিবার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ২৬টি বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। শেয়ার হিসেবে এসব অ্যাকাউন্টে ৫৭৬ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩০ টাকা রয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান এসব বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার পরিবার এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিও হিসাবসমূহ নগদায়নসহ অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর/হস্তান্তর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ণিত বিও হিসাবসমূহ নগদায়ন বা অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর/স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমগ্র ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে বিও হিসাবসমূহ নগদায়ন বা অর্থ উত্তোলন বন্ধ করার জন্য অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা একান্ত আবশ্যক।

 

দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ বিএনপি নেতা দুলু খালাস

ডেস্ক রিপোর্ট:

সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুলুর আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত খালাস দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫ কোটি ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ১০৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল স্ত্রীসহ দুলুর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহফুজা।

তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক নূর জাহান। ওই বছরের ২৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

পরবর্তীতে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন দুলু। হাইকোর্ট তার আবেদন গ্রহণ করে ২০১২ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি বাতিল করে দেন। উচ্চ আদালতের সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।

২০১৫ সালের ২ নভেম্বর আপিল বিভাগ দুদকের আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্টের রায় বাতিলের আদেশ দেন। ওই আদেশের পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এ দুলুর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম আবারও শুরু হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম