তারিখ লোড হচ্ছে...

নিউজিল্যান্ডকেও মাটিতে নামাল টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক॥
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকেও মাটিতে নামাল টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় টাইগাররা।

এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে ৬২ রানে লজ্জা দেওয়া মাহমুদউউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীণ দলটি নিউজিল্যান্ডকেও তাদের সর্বনিম্ন ৬০ রানে গুঁড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ৬১ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪.৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ইনিংস তাড়া করতে নেমে শুরুতে অবশ্য ২.৫ ওভারে মাত্র ৭ রানে দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও লিটন কুমার দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। ৩৩ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে এ অলরাউন্ডার। সাকিব আটউ হওয়ার পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম।

১.১ ওভারে কোল ম্যাককলিনচের বলে হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তার আগে ৬ বলে মাত্র ১ রান করার সুযোগ পান এ ওপেনার।

প্রথম উইকেটের এই ধকল সামলিয়ে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার এজাজ প্যাটেলের বলটি ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন লিটন (১)। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২.৫ ওভারে মাত্র ৭ রানে বাংলাদেশ হারায় দুই ওপেনারকে।

এর আগে নিউজিল্যান্ডকে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ‘উপহার’ দেয় বাংলাদেশ। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এই মিরপুরেই ৬২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি।

তবে টি-টোয়েন্টিতে এর আগেও একবার ৬০ রানে অলআউট হওয়ার নজির আছে নিউজিল্যান্ডের। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রঙ্গনা হেরাথের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ১৫.৩ ওভারে ৬০ রানে অলআউট হয় ব্রান্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন দলটি।

বুধবার নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় ৬০ রানে গুঁড়িয়ে দিল টাইগাররা। জয় দিয়ে সিরিজে শুভসূচনা করতে বাংলাদেশ দলকে করতে হবে মাত্র ৬১ রান।

বুধবার বিকাল ৪টায় ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার স্পিনার মেহেদি হাসান, সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক টম লাথাম। পঞ্চম উইকেটে তারা সর্বোচ্চ ৩৪ রানের জুটি গড়েন।

৪ উইকেটে ৫৩ রান করা দলটি এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারে ৬০ রানে অলআউট হয়।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই সাফল্য পান স্পিনার মেহেদি হাসান। তার বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া রাচিন রবিন্দ্র। প্রথম ওভারে ১ রানে নিউজিল্যান্ডের নেই এক উইকেট।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে সাকিব আল হাসান তুলে নেন ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা উইলি ইয়ংকে। ১১ বলে মাত্র ৫ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে নাসুম আহমেদের বলে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ওই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের আরেক ওপেনার টম বান্ডেল।

৪ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট পতনের পর হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টম লাথাম। পরের ছয় ওভারে স্কোর বোর্ডে তারা যোগ করেন ৩১ রান। ১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪০ রান। পঞ্চম উইকেটে হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম লাথাম। ৪ উইকেটে ৪৩ রান করা কিউই দলটি এরপর ১১ রানের ব্যবধানে হারায় টম লাথাম, কোল ম্যাকনচি, হেনরি নিকোলস ও এজাজ প্যাটেলের উইকেট। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথামকে আউট করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন কোল ম্যাকনচি।

দলীয় ৪৯ রানে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হন হেনরি নিকোলস। ১৪তম ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এজাজ প্যাটেল।

 

 

দেশান্তরী হচ্ছেন নাসির

ন্টাফ রিপোর্টা্র॥

জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০১৮ সালে খেলেছিলেন নাসির। তখন পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় বাদ পড়েছিলেন। এরপর আর খেলার সুযোগ পাননি। গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ১২ ম্যাচ খেলে ৩৬৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট।

এমন নজরকাড়া পারফর্ম করেও নির্বাচকদের নজরে আসতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিপিএলের পর কয়েকটি সিরিজ হয়ে গেলেও নাসির ডাক পাননি। সামনে বিশ্বকাপেও তার দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। অন্যরা সুযোগ পেলেও নাসির থেকেছেন উপেক্ষিত।

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছেন নাসির। তবে এত পারফর্ম করেও কোনো এক অজানা কারণে নাসির সুযোগ পাচ্ছেন না। নাসিরের আশা ছিল অন্তত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ কিংবা বাংলাদেশ টাইগার্সে ডাক পাবেন। তবে তার কোনোটিই হয়নি। আর এমন দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট নাসির। অনেকটা অভিমানেই যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার।

শনিবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসির হোসেন বলেন, ‘দেখুন, আপনি যদি ঠিকমতো মূল্যায়ন না পান, তবে আপনি কেন বাংলাদেশে থাকবেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, আমাকে ঠিকঠাক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাব। এই কথা আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এই ডিপিএলের পরেই আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি, ওখানে মাইনর লিগ খেলা আছে। সেখানে খেলতে যাচ্ছি আমি।’

যুক্তরাষ্টের জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিরের উত্তর, ‘ওই বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলব না। দেখি কি হয়, আমার কাছে যদি মনে হয় বাংলাদেশে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না, তাহলে হয়তো আমি অন্য কিছু চিন্তা করতেই পারি। বিষয়টি এমন নয় যে আমি আমেরিকায় চলে গেলে আর বাংলাদেশের হয়ে খেলব না, আমি অবশ্যই দেশের হয়েও খেলব।’

জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে নাসির আরও বলেন, ‘কেন আমাকে দলে নেওয়া হয়নি তার কারণ আমি বলতে পারব না। তবে আমি আশা করেছিলাম আয়ারল্যান্ড আর ইংল্যান্ড যখন আসল, ওখানে যে অনুশীলন ম্যাচগুলো হয়েছে, সেখানে হয়তো ডাক পাব। বা ছায়া দল অথবা বাংলা টাইগার্সে ডাক পাব। তার কিছুই আসলে হয়নি। কেন ডাকেনি জানিনা। আমাকে দলে না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার থেকেও খারাপ পারফর্ম করে অনেকে সুযোগ পেয়েছে। আমি তো আর নির্বাচকদের ফোন করে বলতে পারিনা, কেন আমাকে দলে রাখা হয়নি।’

নির্বাচকদের প্রসঙ্গে নাসির আরও যোগ করেন, ‘আপনি যখন নির্বাচক, তখন কার সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক, সেটা তো আর আপনি দেখবেন না। দেশের স্বার্থে যেটা সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি সেই সিদ্ধান্তই নেবেন। আমার কাছে মনে হয় আপনি টি-টোয়েন্টি ভালো খেলেন, তবে আপনাকে দিয়ে টেস্ট খেলাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। যে যেখানে ভালো খেলবে, তাকে সেখানে সুযোগ দেওয়া উচিত।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম