যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় ভেজাল বিরোধী অভিযান

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঢাকার যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কদমতলী, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৩৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল ২৬ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র‌্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র‌্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কদমতলী, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লিখিত এলাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার, সয়াবিন তেল, মবিল, ডিটারজেন্ট পাউডার, কেমিক্যাল ও নকল স্টীল উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে সেল্ফ মবিল ফ্যাক্টরি’কে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, এন এস ব্রাদার্স, সৃষ্টি সয়াবিন তেল’কে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ফুড ল্যান্ড ফ্যাক্টরি’কে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ডিটারজেন্ট পাউডার ফ্যাক্টরি’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি’কে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, মাসুম ইলেকট্রিক’কে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, এস এ এস’কে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, এম এস ট্রেডিং’কে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, আল-আমিন ক্যাবলস’কে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ইকলাস ক্যাবলস’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, আলমবাগ ষ্টীল রি-রোলিং মিলস’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, জিহান মেটালস’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ও জে এস ট্রেডার্স’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট নগদ- ৩৪,৫০,০০০/- (চৌত্রিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক আনুমানিক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা মূল্যের নকল বৈদ্যুতিক তার ও লুব্রিকেন্ট জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।

অস্ত্র ও নাশকতা সামগ্রীসহ ইউপিডিএফ আস্তানা শনাক্ত, সেনা অভিযানে উদ্ধার

অস্ত্র ও নাশকতা সামগ্রীসহ ইউপিডিএফ আস্তানা শনাক্ত, সেনা অভিযানে উদ্ধার

মোঃমাসুদ রানা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার যুবনেশ্বর পাড়া এলাকার গহীন জঙ্গলে সেনা অভিযানে ইউপিডিএফ এর গোপন আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

সোমবার ০৬ অক্টোবর ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি অভিযানিক দল ইউপিডিএফ এর একটি গোপন আস্তানা ঘেরাও করার পর তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইউপিডিএফ এর শীর্ষ স্থানীয় গ্রুপ কমান্ডার সুমেন চাকমা পলায়ন করে। পরবর্তীতে, উক্ত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যদের ব্যবহৃত ০১টি পিস্তল, ০১ টি ম্যাগজিন, ০২ রাউন্ড এ্যামোনিশন, ১৫ টি ব্যানার, ০২ টি ওয়াকিটকি চার্জার, ০২ টি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র এবং বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য যে, অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাহত করতে ইউপিডিএফ স্থানীয় নারী-পুরুষ, ছাত্র ও ছাত্রীদের সেনা বিরোধী স্লোগান দিতে বাধ্য করে। আজকের ঘটনা সহ বিগত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার নারী এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র সদস্যদের সন্ধানে সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং এ অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম