তারিখ লোড হচ্ছে...

মা-বাবার পর না ফেরার দেশে শিশু রাফিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে জমে থাকা গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মা-বাবার পর না ফেরার দেশে চলে গেল সাড়ে ৩ বছরের শিশু রাফিয়া।

শনিবার (১২ জুলাই) ভোরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিশু রাফিয়ার। এ নিয়ে একই পরিবারের তিনজনই না ফেরার দেশে পাড়ি জমাল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে আইসিইউতে ৯০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যায় শিশুটি। এর আগে গত বুধবার বিকেলের দিকে শিশুর মা ইতি বেগম (৪৫ শতাংশ দগ্ধ) এবং বাবা মো. রিপন (৭০ শতাংশ দগ্ধ) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ওই গৃহবধূ, তার স্বামী ও শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। একে একে পরিবারের তিনজনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

১০ জুলাই রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকার শহীদ ফারুক সড়কের গলির ভেতর একটি বাসার ছয়তলার নিচ তলায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে আজ ভোরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল।

আগুন নেভাতে সক্রিয় রোভার স্কাউট সদস্যরা

আগুন নেভাতে সক্রিয় রোভার স্কাউট সদস্যরা

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার মিরপুর রোডে একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর সেখানে আগুনও ধরে যায়।সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় অগ্নিকান্ডের সক্রিয় ছিল স্কাউট সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি উদ্ধার ও আগুন নেভানোর কাজে তাদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের সাথে রোভার স্কাউট,রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা কলেজ ও নো দাইসেলফ মুক্ত দলের স্কাউট সদস্যরা কাজ করছে সমানতালে। কেউ ফায়ার সার্ভিসের পাইপ তুলে ধরে রাখছে। কেউ ঘটনাস্থল থেকে সরাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তাদের একজন নো দাইসেফ ওপেন স্কাউট গ্রুপের একজন সদস্য এম এ এস হুমায়ুন কবির দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, ‘খবর পেয়ে সকাল ১১:০০ টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তার কিছুক্ষণের মাঝে ঢাকা কলেজ থেকে ৭/৮ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তখন থেকে আমরা আগুন নিভাতে কাজ করছি।রেড ক্রিসেন্টের এক জন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভিড়ে আগুন নেভানো খুব কঠিন। সবাই দোষ দেয় ফায়ার সার্ভিসের, কিন্তু দোষ সাধারণ মানুষেরও আছে। ফায়ার সার্ভিস তাদের সাধ্যমতো কাজ করে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম