তারিখ লোড হচ্ছে...

জুয়া জায়েয করতে আলমগীরের ভ্যানগার্ড মাদ্রাসা, এতিমখানা!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

পোর্ট কানক্টিং রোডে লায়লা হোটেল নামের পতিতালয় বন্ধ হওয়ার পর নিষিদ্ধ জুয়ার আসর চালু করে টাকা আয়ের পথ চালু করে তথাকথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর ওয়ার্ড নেতা হিসেবে পরিচিত আলমগীর হোসেন প্রকাশ আলমগীর। নেতা না হয়েও কোন পদ পদবী ছাড়াই দলীয় ব্যানারে নিজের ছবি সাঁটিয়ে হালিশহর থানাধীন ছোটপুল ইসলামিয়া ব্রিকফিল্ড এলাকায় নিজেকে নেতা হিসাবে জাহির করে মানুষের কাছে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আলমগীর। শুধু তাই নয়, জুয়ার আসর জায়েয করতে পৈতৃক সম্পত্তিতে নির্মিত ভবনে ভাড়া দেওয়া মাদ্রাসা ও এতিখানাকে ব্যবহার করছে ভ্যানগার্ড হিসেবে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, “মহাধুমধামে চলছে জুয়া, পুলিশের অভিযানে মিলছে না সুফল” ও ‘দিনে নেতা রাতে চালায় জুয়া’ এই শিরনামে দুটো খবর প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিবেদকের সাথে আসর চালানোর বিষয় নিয়ে রীতিমত দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আলমগীর। জুয়ার টাকা মাদ্রাসা ও এতিমখানার পিছনে ব্যয় করা হয় এমন ধোহাইও দেওয়া হচ্ছে। যদিও জুয়ার টাকা দিয়ে ইয়াবা ক্রয় করে নিজে সেবন করেন আলমগীর। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মাঝে বিক্রিও করা হয় ইয়াবা। রয়েছে অনায়াসে খাওয়ারও সকল ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে জানতে আলমগীরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। অপরদিকে তার ছবি সম্বলিত দলীয় পোস্টার নিয়ে অপরাধ বিচিত্রাতে সংবাদ ছাপানোর পর বড়পুল মোড়, মাওলানা সিএনজি পাম্পের সামনে, ছোটপুল শাপলা কমিউনিটি সেন্টার, কাঁচাবাজার ইত্যাদি স্থান থেকে টাঙানো ব্যানারও নামিয়ে ফেলেছেন আলমগীর।

এদিকে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে গুনঞ্জনও শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে হালিশহর থানার নীরব ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার ও রবিবার মহাধুমধামে খেলা চলেনি। খেলোয়াড়দের আনাগোনা ছিল তুলনামূলক কম। কয়েকটি ঘরে বিভক্ত হয়ে খেলা পরিচালনা করা হত। কিন্তু আজ রবিবার একটি ঘরে ছোট পরিসরে খেলা চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে অবগত করার জন্য হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আলমগীরের জুয়া বন্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সুশীল সমাজ জানতে চায়, সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম থাকাকালীন সময় খেলা বন্ধ ছিল। বর্তমানে হালিশহর থানা পুলিশ ব্যবস্থা নিলে স্থায়ীবন্ধের ব্যবস্থা নিলে খেলা চলার পিছনে নেপথ্য কি?

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন, গাড়ী ভাংচুর সহ আহত ১৫

 

এস.এ.এম. মুনতাসির, চট্টগ্রাম ব্যাূরো:
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন এবং সাতকানিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনে ১০০টি কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিলো খুবই কম।

তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটগ্রহণ চলাকালে চন্দনাইশ পৌরসভার হাজী বশরত আলী উত্তর গাছবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

সরেজমিনে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু কিছু মহিলা ভোটার দেখা গেলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে দুপুর একটা পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
দুপুরে চন্দনাইশ পৌরসভার হাজী বশরত আলী উত্তর গাছবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গাড়ীও ভাংচুর হয় বলে জানা গেছে। এসময় পুলিশের গাড়ি চালক দোহাজারী দেওয়ানহাট এলাকার নজির আহমদের ছেলে নুরুদ্দীন (৩৫) আহত হয়। এছাড়া চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক এলাকায় কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘটিত ঘটনায় আহতরা হলেন সাতবাড়িয়া হাজী পাড়া এলাকার ফজলুল করিমের ছেলে মিজানুর রহমান (২৮), মোহাম্মদখালী এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২৪), খাগরিয়া রসূলপুর এলাকার মো. তৈয়্যবের ছেলে পারভেজ (২৪), হাজী আহমদুর রহমানের ছেলে মো. মুন্না (৩২), জোয়ারা মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী (৪৭), কালিয়াইশের নুরুল ইসলামের ছেলে মাহাবুবুল আলম (২৮), ললিত চৌধুরীর ছেলে নারায়ণ চৌধুরী (৫০), বিওসির মোড় এলাকার আবুল বশরের ছেলে নজরুল ইসলাম মুন্না (৫৪), দোহাজারী সদর উল্লাপাড়া এলাকার মৃত মো. মুছা সওদাগরের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী হিরু(৭২), নুরুল ইসলামের ছেলে মিজান (৩৩), উত্তর চাগাচর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন (২১), সমন খানের ছেলে ভুট্টো খান (৫০), উত্তর চাগাচর বাবুল নাথের ছেলে রাজীব নাথ (৩২)।
এছাড়া দোহাজারী জামিজুরী আহমুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালেয়র ভোট সম্পন্ন হওয়ার ১০ মিনিট পূর্বে নৌকা ও ট্রাক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপের কারণে একটি বেসরকারি হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী এলাকায় দোকানপাটসহ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে, ঘটনাটি রাত আটটা পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো, খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার জনগণ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অপরদিকে নির্বাচনের ফলাফলে জানা যায় চট্টগ্রাম চন্দনাইশ সাতকানিয়া (আংশিক) ১৪ আসনে নির্বাচনী ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৭১১২৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার চৌধুরী (ট্রাক) পেয়েছেন ৩৬৮৮৬ ভোট। নির্বাচন কালীন সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার মনোনীত এজেন্টদেরকে প্রতিপক্ষ জোর করে বের করে দেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম