তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রেসক্লাব বাউফল ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন

 

মাহামুদ হাসান,বাউফল প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রেসক্লাব বাউফল গঠন করা হয়েছে।

(০৮নভেম্বর) বাউফল উপজেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। এতে সংগঠন পরিচালনার জন্য প্রাথমিক ভাবে ৫১ সদস্য বিশিষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর ) আনুষ্ঠঅনিক ভাবে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটিতে দৈনিক যুগান্তর এর স্টাফ রিপোর্টার আরিফুজ্জামান খান রিয়াদ কে সভাপতি এবং দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ বাউফল প্রতিনিধি মাহমুদ হাসান রুবেল কে সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলামকে যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যরা হচ্ছেন সহ-সভাপতি, ইমাম হোসেন (মনা), সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মশিউর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের, দপ্তর সম্পাদক এস এম তারেক রহমান (প্রিন্স), সহ দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী মাসুদ রানা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান মৃধা , আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম শাহীন, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আল আমিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাবেদ হোসেন খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক নাজমা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নাসির উদ্দিন খান, মোঃ ফিরোজ আলম, এ এফ এম ফিরোজ মোল্লা, মোঃ মজহারুল ইসলাম মিলন, মোঃ সাইদুর ইসলাম, মোঃ হারুন আর রশিদ বাচ্চু, মোঃ কামরুল হাসান সেন্টু, তুষার সাহা, খালেদা বেগম রিমা, ইমাম হোসেন সাগর, সিয়ানুর রহমান সুজন, রাশেদুল হাসান, মোঃ সবুজ হাওলাদার, নুরুল আমিন আজাদ, সাইদুর ইসলাম খোকন, সোহেল রানা, নজরুল ইসলাম রানা ।

এ ছাড়া সংগঠনের নিয়মিত সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

হাসপাতালের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জাহাঙ্গীর আলম শাহীন : রয়েল কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৈনিক সকালের সময়ের নিজস্ব প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন । এ ঘটনায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে চকবাজার মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

গত (২১ ডিসেম্বর ২০২২ইং) দুপুর ২টার দিকে চকবাজার মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তথ্যদাতা দৈনিক সকালের সময়ের নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শাহিনকে জানান, রয়েল কেয়ার হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলার সিজার করে বাচ্চা বিক্রয় করে দিয়েছে। যে অন্তঃসত্তা মহিলার সিজার করা হয়েছে, তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে মহিলা দালাল জুলেখা এবং আকলিমা রয়েল কেয়ার হাসপাতাল ৮৫ হোসেনী দালান রোড চানখাঁরপুল, চকবাজার ঠিকানায় নিয়ে যান। রয়েল কেয়ার হাসপাতালে সিজার করে বাচ্চা বিক্রয় করে দেওয়ার দায়ে জুলেখা পলাতক এবং তার মেয়ে ও নাতনি ডিবি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কল্পে চকবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইম কে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টা জানতে চাইলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে বলেন আমার লোক এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে।

সরেজমিনে ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার নিতে রয়েল কেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার প্রাক্কালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপজিটে একটিভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সামনে প্রথমে বাবলুর সাথে সাক্ষাৎ এবং কিছু কথোপকথনের একপর্যায়ে সেখানে এসে উপস্থিত হন মোবারক এবং টুটুল। আর মোবারক উপস্থিত হয়েই দৈনিক সকালের সময়ের প্রতিনিধির হাত ধরে টেনে গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। একজন সাংবাদিককে হেনস্থা এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার কারণে গত রবিবার(২১ ডিসেম্বর ) চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সেই সাংবাদিক (জাহাঙ্গীর আলম শাহীন)। জানা যায়, গত ১৯শে ডিসেম্বর দুপুর ২:৫০ ঘটিকায় চানখাঁরপুল রয়েল কেয়ার হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য জানতে সরেজমিনে যান সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন।
পরে সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মোবারক হোসেন, টুটুল ও বাবলু বিভিন্নভাবে সাংবাদিককে হুমকি দেন। জানা যায়, মোবারক হোসেন গং সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে বলেন, আমাদের সাথে বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীর ভালো সম্পর্ক আছে, তোর মতো সাংবাদিককে ১০০ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান করে দেবো তখন তুই কি করবি? পরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন মোবারক। সেই সময় মোবারক হোসেন উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, তোর বাড়ি কই তোর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তোকে মারার ক্ষমতা রাখি। মোবারক হোসেন আরও বলেন, তোমাকে(সাংবাদিক) প্রেসক্লাবে খুঁজে এসেছি লোকজন দিয়ে সেখানে তোমাকে পাইনি পেলেই সেখানো তোর খবর করে আসতাম। তোকে ঢাকা ছাড়া করবো। আর তোকে নিয়ে ওসির রুমে বসবো তোর পত্রিকা অফিসে যাবো। চাকু দিয়ে তোর পেট কেটে ফেলবো ইত্যাদি ইত্যাদি।

এব্যাপারে দৈনিক সকালের সময়ের নিজস্ব প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম শাহীন বলেন, রয়েল কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য জানতে পারি তাই বিষয়টি জানার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তোপের মুখে পড়তে হয়। আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ ইয়াবা দিয়ে চালান করে দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন মোবারক গং যা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

এব্যাপারে চকবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম