রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ সড়কেই খানাখন্দ। অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় অধিকাংশ সড়ক চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েকটি সড়ক থেকে ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হওয়ায় সেখানে বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে। ভাঙাচোরা এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীসহ পরিবহন যাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলো খানাখন্দে ভরা থাকলেও মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় অসন্তুষ্ট নগরবাসী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু শনির আখড়া হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ এবং যাত্রাবাড়ী হয়ে রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথে পথে খানাখন্দ। ব্যস্ততম এ সড়কের বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। সরেজমিন দেখা যায়, ব্যস্ত সড়কে পিচ-খোয়া উঠে ছোট-বড় অনেক গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব স্থানে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে। যাওয়া সম্ভব না বলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের মাঝপথে নামিয়ে দিচ্ছেন রিকশাচালকরা। সড়কজুড়ে বড় গর্তে আটকে যাচ্ছে গাড়ি। এ ছাড়া যান চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হওয়ায় এরই মধ্যে সড়কের ঢাকামুখী একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে ওই পথে চলাচলকারী গাড়ি ও যাত্রীদের। চালকদের অভিযোগ, এই সড়কে চলাচলকারী গাড়ির আয়ু কমছে।
খুবই ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় এ রাস্তায়। অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে যাত্রীরা গালাগাল শুরু করেন। বড় গর্তে প্রায়ই গাড়ি আটকে বন্ধ হয়ে যায়।
পুরান ঢাকার ব্যস্ত এলাকা দয়াগঞ্জের প্রধান সড়কটি কাদাপানিতে একাকার। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কের পিচ উঠে নতুন করে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বড় গর্ত। সেখানেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। স্থানীয়দের অভিযোগ, চৌরাস্তা মৌড়ে রেলসেতু নির্মাণের কাজ শুরুর পর থেকেই দুর্ভোগ চলছে। সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, তাই সামান্য বৃষ্টিতেও কোমর সমান পানি ওঠে। কয়েক বছর ধরেই চলছে এ অবস্থা। কবে সংস্কার হবে, তা জানা নেই বলেও আক্ষেপ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রেললাইনের কাজ চলছে দুই বছর ধরে। কিন্তু পথচারীদের জন্য বিকল্প রাস্তা নেই। হাঁটার জন্য বিকল্প রাস্তা না হোক, অন্তত কাদা ও বড় বড় গর্তের দুর্ভোগ থেকেও যদি মুক্তি পেতাম, তাহলে কষ্ট অনেক কমে যেত।
ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন গর্তগুলোতে রিকশাভ্যান উল্টে যায়। এ সড়ক দিয়ে মাওয়াসহ দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল করে। অনেক সময় মালবোঝাই ট্রাকও খাদে পড়ে যায়। তখন সারাদিনের জন্য যানজট সৃষ্টি হয়।
ঢাকার আশপাশের কয়েকটি জেলার যানবাহন চলাচল করে এখান দিয়েই। কিন্তু সড়কটিতে এখন যান চালানোর পরিবেশ নেই। ড্রাইভিং পেশায় আছি বলে বাধ্য হয়ে খানাখন্দ পেরিয়ে বাস-ট্রাক-লরি চালাই চরম ঝুঁকি নিয়ে। গাড়ি উল্টে গিয়ে ছোট কোনো গাড়ি বা পথচারীর ওপর পড়লে আমরাই মার খাই।
রাজধানীর মুগদা-বাসাবো-মানিকনগর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা এখন চলাচলের অনুপযোগী। বিশ্বরোড থেকে গ্রিন মডেল টাউনমুখী সড়কে ঢুকতেই বড় বড় গর্ত। এ ছাড়া বিশ্বরোড থেকে বাশার টাওয়ার পর্যন্ত পুরো সড়কই খানাখন্দে ভরা। মুগদা থেকে বাসাবো যেতে মূল সড়ক ওয়াসা রোড। কিন্তু এই সড়কের অবস্থাও এক কথায় করুণ। প্রায় তিন মাস আগে ঢাকা ওয়াসা এ সড়ক দিয়ে নতুন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করে। সে সময় অসংখ্য স্থানে আড়াআড়িভাবে কাটা হয়। কাজ শেষ করে ওয়াসা চলে গেছে ঠিকই, কেটে কাটা রাস্তা। নিয়মানুযায়ী সিটি করপোরেশনের মেরামতের কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো খবর নেই। বর্তমানে কাটাস্থানের পাশাপাশি অসংখ্য গর্তের কারণে পথচারী থেকে রিকশাযাত্রী কিংবা যে কোনো ধরনের গাড়ি চলাচলে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই মুগদা ৫০০ শয্যার হাসপাতালের সামনে হাঁটুপানি জমে যাচ্ছে। কয়েকটি স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। কিন্তু মেরামতে কর্তৃপক্ষের নজর নেই। বরং সড়কের একটি ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকায় সেখানে গাড়িচালকদের সতর্ক করতে প্রায় এক মাস ধরে বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে অনেক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এ কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করছে ওই সড়ক দিয়ে। ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নিয়মিত। মুগদা বিশ্বরোডের টিটিপাড়া একটি ব্যস্ততম এলাকা। এখানে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে সড়কগুলোতে। এ ছাড়া টিটিপাড়া থেকে খিলগাঁওগামী সড়কের বেশিরভাগ অংশ ফেটে গেছে। কোথাও উঠে গেছে পিচ।
জাকির নামে এক বাসিন্দা বলেন, মুগদার ভেতরের প্রতিটি সড়ক থেকে অলিগলি চলাচলের অনুপযোগী। কোথাও ম্যানহোল খোলা, আবার কোথাও ম্যানহোল উঁচু-নিচু করে বসানো। এ ছাড়া ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তো আছেই। এখানকার মূল সড়ক এবং ওয়াসা রোডের যে ভয়াবহ অবস্থা, তাতে রিকশা দিয়ে চলার সময় কোনো যাত্রী স্থির হয়ে বসে থাকতে পারেন না। অন্তঃসত্ত্বা নারী এ সড়ক দিয়ে রিকশায় গেলে ভয়ংকর সমস্যায় পড়বেন।
গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশন রোডে বৃষ্টি হলেই পানি জমে। বৃষ্টি শেষ হলেও সে পানি সরতে সময় লাগে। এ কারণে ওই সড়কেও বেশ কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির সময় জমা পানির মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন ঘেঁষে কমলাপুরগামী সড়কে বছরখানেক আগে পিচঢালাই হয়েছিল। কিন্তু অনেক স্থানেই এখন খানাখন্দে ভরা।
মতিঝিলের সাদেক হোসেন খোকা অডিটোরিয়াম সংলগ্ন আশপাশের সড়কগুলোরও বেহাল দশা। মধুমতি সিনেমা হল-সংলগ্ন সড়কের অবস্থা তো ভয়াবহ। চলাচলের সময় মনে হয় উঁচু-নিচু ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্ভোগ নিয়েই এসব সড়ক দিয়ে চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে। কমলাপুর এবং মতিঝিল এলাকায় মেট্রোরেলের কাজের কারণে দীর্ঘদিন থেকেই আশপাশের সড়কের অবস্থা ভঙ্গুর।
গুলিস্তানের সিনেমা হলের সামনের সড়কের অর্ধেকই দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন হকাররা। এর বিপরীত গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলই যেন দায় হয়ে পড়েছে। এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মূল সড়ক থেকে অলিগলি সর্বত্রই সড়ক ভেঙেছে, নয়তো গর্ত তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের তেমন মাথাব্যথা নেই, নেই কোনোন কার্যকর উদ্যোগও।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানের সড়কে গর্ত তৈরি হয়েছে। সাময়িকভাবে এগুলো মেরামতের চেষ্টা করছি। এ ছাড়া সড়ক উন্নয়নে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আর সমস্যা থাকবে না।
বর্ষা মৌসুমে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়টি নতুন নয়। এবারের পরিস্থিতি অতীতের চেয়েও যেন খারাপ। মূল সড়ক, অধিকাংশ অলিগলির সড়কের অবস্থাই বেহাল। আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আত্মগোপনে আওয়ামীপন্থি সব মেয়র-কাউন্সিলর। যার একটি বড় প্রভাবও রয়েছে সড়ক সংস্কারে।
এ পরিস্থিতি থেকে রাজধানীবাসীকে মুক্তি দিতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই দুই সিটি করপোরেশনের। তীব্র যানজট, দূষণের পাশাপাশি সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি করায় শহরে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেক সড়কে যান চলাচলও বন্ধ। আবার কোথাও অবস্থা এমন যে হেঁটে চলারও সুযোগ নেই।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্টদের দাবি, চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিভারী বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে ঢাকার সড়কের এই বেহাল দশা। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির দুই মেয়রসহ অধিকাংশ আওয়ামীপন্থি কাউন্সিলর, ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে যান। এতে সড়কে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। এসব কাজের পুনঃদরপত্র আহ্বান করার প্রস্তুতি চলছে।
জাতীয় তথ্য বাতায়নের তথ্যমতে, ৩০৫ দশমিক ৪৭ বর্গকিলোমিটার (ডিএনসিসি ১৯৬ দশমিক ২২ বর্গকিলোমিটার, ডিএসসিসি ১০৯ দশমিক ২৫১ বর্গ কিলোমিটার) এলাকা নিয়ে ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি গঠিত। এর মধ্যে ডিএসসিসি এলাকায় ৯৯৩ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। ডিএনসিসি এলাকায় রয়েছে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক। এখন এসব সড়কের এক-তৃতীয়াংশ এখন ভাঙাচোরা।
যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটির নাম শহীদ ফারুক রোড। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কে শত শত ছোট-বড় গর্ত। এর মধ্যে দয়াগঞ্জ বাজার অংশের অবস্থা ভয়াবহ। এখানে সড়কের প্রায় সব ইটপাথর উঠে গেছে। পানি জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে সড়ক। একইভাবে জুরাইন রেলগেট থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটিও চলাচলের অনুপযোগী। এ সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে উল্টে যাওয়ার ভয়ে বড় যানবাহন চলছে না। যে কয়েকটি যানবাহন চলছে, সেগুলো খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলছে।
রাজধানীর খিলগাঁও থেকে সবুজবাগ, মুগদা, মানিকনগর, গোলাপবাগ হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত সড়কে (অতীশ দীপঙ্কর সড়ক) দিনে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু এ সড়কেও শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
সবুজবাগের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই অতীশ দীপঙ্কর সড়কে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়। এসব গর্তের চারপাশ ভেঙে দিন দিন বড় হচ্ছে। ফলে যানবাহন তার নির্ধারিত গতিতে চলতে পারছে না। আবার সড়ক শুষ্ক থাকলে ধুলাবালির জন্য হাঁটাচলা করা যায় না।’
গত বছর এপ্রিলে মুগদা থেকে মান্ডা যাওয়ার সড়ক চওড়া করতে রাস্তার দুই পাশের দোকানপাট ও বাড়িঘর ভেঙে দেয় ডিএসসিসি ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পরে এ সড়ক সংস্কারে কাজ পায় পিআইপিএ-এমই (জেভি) নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল হক বাবু। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি লাপাত্তা। ফলে সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে।
এদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য চার মাসের বেশি সময় ধরে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এখন সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ। পথচারীদের হেঁটে চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া নর্থ-সাউথ রোড, নয়াবাজার, বাবুবাজারের প্রধান সড়কগুলোও খুঁড়ে রাখা হয়েছে। আবার মৌচাক, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, আজিমপুর, পলাশী, লালবাগের বিভিন্ন রাস্তার অবস্থাও ভালো নয়।
ডিএসসিসির প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গোপনে দেশ ছাড়েন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। পরে আওয়ামীপন্থি কাউন্সিলর এবং ঠিকাদাররা আত্মগোপনে চলে যান। তারপর থেকেই ডিএসসিসির সব উন্নয়ন কাজ থমকে যায়, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর অধিকাংশ ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে গেছেন। আবার চলমান বর্ষায় অনেক সড়কে পানি জমে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো আমরা সংস্কার শুরু করছি। অর্থাৎ, বড় গর্তগুলোতে সাময়িকভাবে ইটপাথর দিয়ে সমান করছি। আকাশ ভালো থাকলে বিটুমিনও দিচ্ছি। চলতি মাসব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বাড্ডা লিংক রোড থেকে বাঁশতলা পর্যন্ত সড়কটি ছোটবড় গর্তে ভরা। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। রিকশা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত যানবাহন তার নির্ধারিত গতিতে চলতে পারছে না। আবার একইভাবে বাড্ডা লিংক রোড থেকে দক্ষিণ বাড্ডা (পুলিশ প্লাজার দিকে) পর্যন্ত লেক পাড়ের সড়কটিতেও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি গর্তে স্থানীয়দের উদ্যোগে ইট-বালি ফেলতে দেখা গেছে।
এদিকে সাধারন মানুষ বলেন হাসিনা সরকার আজ ১১ মাস হলো দেশ ছেওে পালিয়েছে কিন্তু পুরো শহর জুরে খাদা খন্দে ভরা এদিকে কারো নজর নেই সবাই আছে সবার র্স্বাথে কিন্তু সাধারন মানষের ভাগ্যে উন্নয়নে কারো কােন নজর নেই, এ শহর দিন দিন মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরেছে, খাদা খন্দের উপর ধানব অটোরিক্স, ফুটপাত সহ সড়কের অর্ধেক দখল,যত্রতত্র মানুষ পাড়াপারের কারনে র্দূঘঠনা ঘটছেই প্রতিনিয়ত।
লেখক :
মোহাম্মদ মাসুদ
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.