কোনো সংস্কার না করে এ দেশে নির্বাচন করা যাবে না

কোনো সংস্কার না করে এ দেশে নির্বাচন করা যাবে না

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা:

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জের ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নিউ ঢাকার সামনে থেকে শুরু করে কাঁচপুর সেতুতে গিয়ে গণমিছিলটি শেষ হয়। এর আগে জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার শাখার আয়োজনে নিউ ঢাকার সামনে প্রজেক্ট মাঠে সমাবেশ করে দলটি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জের জেলা জামায়াতের আমির মো. মমিনুল হক সরকার।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিনে শূরা সদস্য ও অ্যাডুকেশন সোসাইটির সেক্রেটারি ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. আবু সাঈদ মুন্না, রূপগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের এমপি প্রার্থী আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাসউদুর রহমান গিয়াস, জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ইসরাফিল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আকরাম হোসাইন প্রমুখ।

এসময় জেলা আমির বলেন এদিন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ছাত্রদের আন্দোলনে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। এ দেশে যাতে আর স্বৈরশাসক না আসতে পারে তার জন্য আইন করতে হবে। এখন একটা দল নির্বাচন নির্বাচন করছে। জুলাই যদি না আসতো তাহলে কি তারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারতো। কোনো সংস্কার না করে এ দেশে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের প্রকৃত সম্মান দিতে হবে। তাদের কারণেই আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। সমাবেশে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পদ বঞ্চিত জবি ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

উম্মে রাহনুমা ,জবি প্রতিনিধি:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন জবি ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা অছাত্র, অনিয়মিত ও ছাত্রলীগকে নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে দাবি করেন। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিলের দাবি জানান তারা।

এসময় তারা অবৈধ কমিটি, মানিনা-মানবনা; আমরা সবাই জিয়ার সেনা, ভয় করিনা বুলেট বোমা সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

জবি ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস শুকুর আইমান বলেন, “দীর্ঘদিন পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি হয়েছে। এই কমিটিতে বিগত দিনে যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকেছে, তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব মাই ম্যান সেটাপ করতে সিন্ডিকেট করে পকেট কমিটি গঠন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সক্রিয় দুইটা ব্যাচের ৯ম এবং ১১ ব্যাচের কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি। ছাত্রলীগ থেকে ৫ তারিখের পরে ছাত্রদলে যোগ দেওয়া ছেলেদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। সুতরাং এই কমিটি আমরা ৪৫ দিন নয় একদিনও মানি না।”

জবি ছাত্রদলের সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত বলেন, আমরা অংশগ্রহণ মূলক রাজনীতি চাই। যারা ৫ আগষ্টের পরে রাজনীতিতে এসেছে এমন অনেককেই কমিটিতে দেখছি। অথচ অনেক জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিতে সকলেই সম্মিলিত অংশগ্রহণ ব্যাতীত স্বচ্ছতা সম্ভব নয়।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি ২০০৮-৯ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান হিমেলকে আহবায়ক ও ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অনন্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, মো. শাহরিয়ার হোসেন, মাহমুদুল হাসান খান মাহমুদ, কাজী রফিকুল ইসলাম, নাহিদ চৌধুরী, নাহিয়ান বিন অনিক, রবিউল আউয়াল, শাখাওয়াত ইসলাম খান পরাগ, রাসেদ বিন হাসিম,জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মাইন উদ্দীন চৌধুরী মাইন, মেহেদী হাসান রুদ্র, মোহাম্মদ মোজাম্মেল মামুন ডেনি, হাসিবুল ইসলাম হাসিব, রবিন মিয়া শাওন,শামীম মিয়া।

সদস্য-  মোহাম্মদ রিয়াসাল রাকিব, মোবাইদুর রহমান, এম  তানভীর রহমান, আবু হেনা মোরসালিন, ইমরান হোসেন ইমন,মাহিদ হোসেন, মাশফিকুল রাইন।বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

সবা:স:জু- ৪৬৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম