তারিখ লোড হচ্ছে...

রামগড়ে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ

রামগড়ে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ

রামগড় উপজেলা সংবাদদাতা:

খাগড়াছড়ি রামগড় পৌরসভার সোনাইপুল বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার দায়ে জননী মেডিকেল হল এর স্বত্বাধিকারী নুর হোসেনকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শামীম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ফার্মেসীতে থাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করা হয়।

রামগড়ে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, জননী ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ আছে কিনা চেক করতে গিয়ে এক বিরল অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আমরা । দোকানের অধিকাংশ ঔষধের মেয়াদ নেই, অধিকাংশ ঔষধের মেয়াদ ২০২০/ ২০২২/২০২৩ সালে শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি অনেকগুলো ঔষধের মেয়াদ আজ থেকে প্রায় ০৭ বছর পূর্বে অর্থাৎ ২০১৮ শেষ হয়ে গিয়েছে। উক্ত ফার্মেসীর স্বত্তাধিকারীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ে রাখার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সমূহ জব্দ করা হয়। এসব ঔষুধের আনুমানিক বাজারমুল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা।

এসময় অভিযানে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রুবায়েত হোসেন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জুলিয়াস চাকমা, উপজেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর রনি ত্রিপুরা সহ বাজার কমিটি উপস্থিত ছিলেন।

রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শামীম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, জনস্বার্থে উপজেলার যে কোন স্থানে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে মানববন্ধন

শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে মানববন্ধন

জেলা প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা অমিত ঘটক চৌধুরীর নেতৃত্বে মানববন্ধন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো ও ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করা হয়।

রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ নেতা অমিত ঘটক চৌধুরীসহ শরীয়তপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শংকর প্রসাদ চৌধুরীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুর সদরের বালুচরা এলাকার বাসিন্দা অমিত ঘটক চৌধুরী একজন আইনজীবী। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ওই কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

অভিযোগ রয়েছে, গত বছর জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অমিত ঘটক চৌধুরী আওয়ামী লীগের পক্ষে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। ওই কর্মসূচির বিভিন্ন ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করেন।

এছাড়া ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে নানান উসকানিমূলক পোস্ট দেন ফেসবুকে। সম্প্রতি তার ওই সব কর্মকাণ্ড নিয়ে লিফলেট ছাপিয়ে শরীয়তপুরের বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টার লাগায় একটি পক্ষ। শরীয়তপুরের সাধারণ ছাত্র-জনতা ও সচেতন মহলের ব্যানারে ওই সব পোস্টার লাগানো হয়।

অন্যদিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শরীয়তপুর সদরের দাসাত্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ দত্ত। তার বিচার চেয়েও সম্প্রতি একটি মহল শহরে লিফলেট বিতরণ করে। ওই লিফলেট ও পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদে এবং যারা পোস্টার লাগিয়েছেন তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিজেকে শরীয়তপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিচয় দিয়ে অমিত ঘটক চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছে। পরে তারা সেটি মুছে দেয়। পরে পূজা উদযাপন পরিষদের আরও দুই নেতার নামে কুরুচিপূর্ণ ও অসত্য মিথ্যা লিফলেট কে বা কারা গোপনে প্রচার করেছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পূজা উদযাপন পরিষদ মনে করে পালং হরিসভা কেন্দ্রীয় মন্দিরের নতুন কমিটি হওয়াকে কেন্দ্র করে কুচক্রী মহল এমন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

আপনি ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পক্ষ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু পোস্ট করিনি। এছাড়া আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন ওই সরকারের আমলে কারা সুবিধা নিয়েছে। আমি কখনোই ওই সরকারের আমলে কোনো সুবিধা নেইনি।

দাসাত্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ দত্ত বলেন, একটি মিথ্যা ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত করে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। সেই অপবাদ থেকে মুক্ত করে আবার চাকরি করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। পালং হরিসভার কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটি গঠনে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কথা বলতে গিয়ে কিছু লোকের বিরাগভাজন হয়েছি। তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিষয়টি ফাইল দেখে বলতে হবে। নির্দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আর দোষী হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।

জানতে চাইলে জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, মানববন্ধনের বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না। তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় সেক্ষেত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম