তারিখ লোড হচ্ছে...

সংক্রমণ রোধে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন শ্রেণির মানুষকে টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি। এ ছাড়াও আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বুস্টার ডোজের গণটিকা ক্যাম্পেইন।

 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর ইপিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।

 

এ বিষয়ে সদস্য সচিব জানান, করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি। তাদের টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে। আমরা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, ও সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের শিগগির টিকা দেওয়া শুরু করব।

 

টিকার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৭ ভাগ পেয়েছে প্রথম ডোজ। আর ৭৩ ভাগ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার পেয়েছে ৫২ ভাগ মানুষ। এ অবস্থায় আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হবে সারাদেশে। এই ক্যম্পেইনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ লাখ মানুষকে। ক্যাম্পেইনে শুধু টিকার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

 

ডা. শামসুল হক আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৮৭ ভাগ মানুষ টিকার ১ম ডোজ পেয়েছে। ৭৩ শতাংশ মানুষ পেয়েছে ২য় ডোজ। এছাড়া বুস্টার ডোজ পেয়েছে ৫২ শতাংশ।

হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর ঢুকতে পারবে না

স্টাফ রিপোর্টার: 

সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসা নিতে আসা সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এবং হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার একটি হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

গত ১৮ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব উম্মে হাবিবার সই করা এক নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আগত আহতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিতে হবে। সব আহত ব্যক্তির চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে হবে।

এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যদি কেউ চিকিৎসায় অসমর্থ হয়- তবে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তির ওষুধের খরচ সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত বিল-ভাউচার স্বাস্থ্য অধিদফতরে দাখিল করা হলে তা যাচাই করে পরিশোধ করা হবে।

পাশাপাশি চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাউকে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে (দেশে যার চিকিৎসা সম্ভব নয় এবং বিদেশে পাঠানো হলে নিরাময় বা উন্নতি হবে এমন আহতদের) বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ মোতাবেক উপযুক্ত রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট আহত ব্যক্তির আবেদন জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠাতে হবে।

 

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, হাসপাতালে আগত সব উপযুক্ত দর্শনার্থীদের জন্য ভিজিটর কার্ড প্রবর্তন করতে হবে। ভিজিটর কার্ডবিহীন কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতরে বা রোগীর কক্ষে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

 

এ ছাড়া কোনো ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেক চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে রোগী দেখার সময়সূচি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

 

প্রতিটি হাসপাতালে সুশৃঙ্খল চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রিসিপশন ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। অভ্যর্থনা কক্ষে আগত রোগীদের রোগের ধরন অনুযায়ী বাছাইপূর্বক নির্ধারিত চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

 

নির্দেশনায় বলা হয়, হাসপাতালে আগত সেবাপ্রার্থীদের টিকিট কেনার বিষয়টি সুশৃঙ্খল করতে হবে। সম্ভাব্য সব হাসপাতালে এ বিষয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত বা সার্টিফায়েড নয় এমন কোনো ব্যক্তি চিকিৎসা দেওয়ার কোনো পর্যায়েই কোনো হাসপাতালে সংযুক্ত থাকতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

 

language Change
সংবাদ শিরোনাম