ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩ জন

ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩ জন

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা:

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় হিজবুল আলম জিয়েস নামে এক ছাত্রদল নেতার টর্চার সেলের সন্ধান মিলেছে। সেই টর্চার সেলে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার হামলার শিকার হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মামুন সরকার। এ ঘটনায় পুলিশ জিয়েস ও তার দুই সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছেন।

৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজিসহ নানা কর্মকাণ্ডে বেপরোয়া হয়ে পড়েন তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল আলম জিয়েস (২৬)। তিনি মাঝিয়ালী গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে। গত শনিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে জিয়েস মাঝিয়ালি বাজারে চুল কেটে টাকা না দিয়ে উল্টো দোকানি হক মিয়ার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় সেলুন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে সেলুনে তালাও লাগিয়ে দেয়। এ সময় হক মিয়ার বড় ভাই লাক মিয়াকেও তার দোকানে গিয়ে মারধর করা হয়।

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুন সরকারের আশ্বাসে (৯ আগস্ট) বিকেলে সেলুন খোলেন হক মিয়া। পরে সন্ধ্যার দিকে তাকে মারধর করে জিয়েস। হক মিয়া বিষয়টি মামুনকে জানায়। পরে মামুন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকে রক্তাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মামুন সরকার (১১ আগস্ট) দুপুরে তারাকান্দা থানায় বাদী হয়ে জিয়েসকে প্রধান করে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়েরে করেন।

মামুন সরকার বলেন, ছাত্রদল তারেক রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন। আর সেই সংগঠনের পদ ব্যবহার করে জিয়েস ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। তার টর্চার সেলে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করে। এছাড়া মাদক সেবন থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যে সে করে নাই। চুল কেটে নাপিতকে টাকা না দিয়ে উল্টো চাঁদা দাবি। এটা ছাত্রদলের আদর্শ পরিপন্থী। তার প্রতিবাদ করায় আমাকে হত্যার উদ্দেশে গুরুতর আহত করেছে। তাই বিচারের প্রত্যাশায় মামলা করেছি।

ঘটনার শিকার ব্যবসায়ী হক মিয়া বলেন, চুল কাটার পর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে জিয়েস। টাকা না দিলে মারধর করে দোকান থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে মামুন ভাইয়ের কথায় দোকান খুললে পুনরায় আক্রমণ করে এবং মামুন ভাইকেও আঘাত করে। শুধু তাই নয় জিয়েস নিজের পুকুর পাড়ে একটি টিনের ঘরে গড়ে তোলা টর্চার সেলে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবককে তার সহযোগী রাফি এবং আব্দুল্লাহ মারধর করছে ভিডিও কলে জিয়েসকে রেখে। ওই যুবকের গলায় অস্ত্র ধরে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে চাঁদার টাকা দিতে রাজি হলে তাকে ছাড়া হয়। তার নির্যাতনের শিকার জুয়েল ও রাসেল বলেন, জিয়েস প্রভাব খাটিয়ে তাদের কাছে টাকা পাবে মর্মে ভিডিও স্বীকারোক্তি আদায় করতে মারধর করে। প্রাণনাশের ভয়ে তারাও স্বীকারোক্তি দেন।

এ ঘটনায় সমালোচনার মধ্যে (১০ আগস্ট) রাতে জিয়েসের দুই সহযোগী রাফি এবং আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার পর (১১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে প্রধান আসামি হিজবুল আলম জিয়েসকেও গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, জিয়েস সবসময় নেশার মধ্যে থাকে। বিভিন্ন সময় সে আমাকেও হুমকি দিয়েছে। তার টর্চার সেল রয়েছে। সবকিছু নির্মূল করে তাদের সর্বোচ্চ বিচার করা হোক।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, অভিযোগ পেয়ে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া জিয়েসকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে হিজবুল আলম জিয়েস বানিহালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। সে গ্রেপ্তারের পর সোমবার রাতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জিয়েসকে তার পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

নকলা ইউএনও’র বিরুদ্ধে তথ্য কমিশন কর্তৃক গৃহীত সুপারিশের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষরসহ প্রতিবাদ

বিশেষ প্রতিনিধি:

শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভাগীয় ব্যবস্থার মনগড়া সুপারিশের বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদ জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠনসহ অগণিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সর্বসাধারণ।

বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের সর্ববৃহৎ সংগঠন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, অফিসার্স ক্লাব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, নকলা ইয়্যুথ টিচারর্স এ্যসোসিয়েশন, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড, রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে- আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠন; স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে- বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখা, আমাদের নকলা, প্রবীণ ও প্রতীবন্ধী হিতৈষী সংস্থা, ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থা, মানব সেবা সংস্থা, সমাজসেবা সংস্থা, সমাজ উন্নয়ন সংঘ, সার-বীজ ডিলার এ্যাসোসিয়েশন, নকলা প্রেসক্লাব, নকলা ইয়্যুথ রিপোর্টার্সক্লাব, উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, ঔষুধ ব্যবসায়ী সমিতি, ডায়াগনোস্টিক মালিক সমিতি ও সর্বসাধারণসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত অগণিত সংগঠন।

এসব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগন নিজ নামে স্বাক্ষর করে আলাদাভাবে লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যার অনুলিপি সদয় অবগতির জন্য মহান জাতীয় সংসদ উপনেতা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর-অধিপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে এসব সংগঠনের আলাদা আলাদা ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হেয়প্রতিপন্ন মূলক খবরের প্রেক্ষিতে ১০ মার্চ রবিবার তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক স্বপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্তে আসেন এবং ২ এপ্রিল শুনানির জন্য ইউএনওকে তথ্য কমিশনে ডাকা হয়। তিনি প্রকৃত ও সত্য ঘটনাকে উদঘাটনের স্বার্থে সঠিক মতামত প্রদানে আগ্রহী স্থানীয় রাজনৈকি নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভুক্তভোগী, এলাকাবাসী, সাংবাদিক ও সংশিষ্টদের মতামত না নিয়ে একতরফা ভাবে নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন! যা উপজেলাবাসী কোনক্রমেই মেনেনিতে পারছেন না, মানার কথাও নয়। তথ্য কমিশনের এহেন সুপারিশে উপজেলাবাসী হতাশ। তাই উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠনসহ অগণিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সর্বসাধারণ লিখিত আকারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ মার্চ মঙ্গলবার স্বঘোষিত কথিত সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা কর্তৃক অশৃঙ্খল আচরণ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে ন্যাক্কার জনক ব্যবহার করা ও জেলা পরিষদের এক সদস্যের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করায় ও রানার স্বভাবগত কারনে উপজেলা প্রশাসনের এক নারী কর্মচারীর সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করে এবং ফাইলপত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করে। এমতাবস্থায় রানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। কিন্তু একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক প্রকৃত ঘটনা না জেনে, হয়তোবা তাদের ভিউ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘তথ্য চাইতে গিয়ে সাংবাদিক জেলে’ এমন চটকদার অসত্য শিরোনামে খবর প্রকাশ করে। যা প্রতিটি সাংবাদিকদের মনে-প্রাণে দাগকাটা স্বাভাবিক। অথচ ঘটনার দিন রানা কর্তৃক তথ্য চাওয়া-পাওয়া সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় ছিলোনা।

সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলু ও খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টুসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, নকলা উপজেলায় ১,৭৬,১২৪ জন ভোটার আছেন। প্রতিটি ভোটারকে আলাদা আলাদা ভাবে জিগাইলে সবাই বলবে রানা একটি অমানুষ। তার সাথে নিজের বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বেশ আগেই। তার আচরনের কারেনই সে যেন আজ সমাজ চ্যুত। তার সাথে কেউ কথা বলতেও নারাজ। সে আপাদমস্তক একটা অমানুষ। প্রকাশ্যে ও গোপনে বিয়েও করেছে কয়েকটা। রানা যেখানে যায় সেখানেই চাঁদাবাজী, দালালি, নারী কেলেঙ্কাকারীর মতো বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পরে। তাই তার সাথে কথা বলতে সবার রুচিতে বাধে। তাকে পারতপক্ষে সবাই এড়িয়ে চলেন। অথচ আজ সেই রানা কৌশলগত কারনে সাংবাদিক বনেগেলো। তবে নকলার কেউ তাকে সাংবাদিক হিসেবে জানেন না।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুরসহ প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ৪ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় পৌরসভার মেয়র এর বক্তব্য চলাকালে রানা বক্তব্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তাকে উন্মুক্ত আলোচনা বা প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বক্তব্য দেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে সে রাগ হয়ে বেড়িয়ে এসে ফেইসবুক পোস্ট করে ‘উপজেলা প্রশাসনের সব কিছু বয়কট করলাম’। এর পরের দিন ৫ মার্চ উপজেলার সার-বীজ ডিলারদের নিয়ে ইউএনও’র অফিসে আলোচনা সভা চলাকালে রানা তার ছেলেকে বাহিরে রেখে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ওই নারী কর্মচারীর গোপন কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে এবং তার সাথে অজ্ঞাত কারনে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে; এমনকি নারী কর্মচারীর সাথে অসৌজন্য মূলক আচরনসহ তার টেবিলে থাকা অফিসিয়াল ফাইলপত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করে। পরে ওই কর্মচারী ভয়ে সার-বীজ ডিলারদের আলোচনা সভাস্থলে দৌঁড়ে প্রবেশ করে। তখন রানা বাহির থেকে উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় সবাইকে গনহারে গালাগাল করতে থাকে। এমতাবস্থায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর রানাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁর সাথে ন্যাক্কার জনক ব্যবহার করে। পরে জেলা পরিষদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন তাকে থামাতে চাইলে তার সাথেও অসৌজন্য মূলক আচরন শুরু করে। এমতাবস্থায় নারী কর্মচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও উদ্বুদ্ধ পরিবেশ শান্ত করার জন্য রানাকে আইনের আওতায় আনা জরুরি হয়ে পরে এবং তাকে আইনের আওতায় আনতে বাধ্যহন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরফি। এমনটাই জানান প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত অসত্য ও মনগড়া সংবাদের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন কর্তৃক একতরফা তদন্তের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া উম্মুল বানিন-এঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে নকলাবাসী মনে করছেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি ইউএনও বা এসিল্যান্ড এর বিরুদ্ধে কোন ধরণের বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তবে তা হবে মিথ্যার নিকট সত্য পরাজয়। ফলে পরবর্তীতে চাঁদাবাজি ও হলুদ সাংবাদিকতার কারণে নকলা উপজেলায় ভবিষ্যতে সরকারের নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিঘ্নসহ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সর্বসাধারণ।

তাই তথ্য কমিশন কর্তৃক নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ অযৌক্তিক ঘোষণা করাসহ নিঃশর্তে তা নিষ্পত্তি করার জোর দাবী জানিয়েছেন উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকসহ অগণিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও উপজেলার সর্বস্তরের জনগন। নতুবা বিষয়টি নিয়ে উপজেলার সব পেশাশ্রেণীর জনগণ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়াসহ দেশের সর্বোচ্চ কর্তার সরনাপন্ন হবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম