পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুর সংবাদদাতা:

ফরিদপুরের সালথায় চলমান বিশেষ অভিযানে মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ (২৩) নামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভোরে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া গট্টি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সালথা থানা পুলিশ। ইসমাইল জবিউল্লাহ নিষিদ্ধ সংগঠন সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বালিয়া গট্টি গ্রামের মো. মনির মোল্যার ছেলে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা জবিউল্লাহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ মামলার আসামি। তিনি এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করেছিলেন বলে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ফরিদপুরে ভাড়া বাসায় মিললো স্ত্রীর মরদেহ পালিয়েছে স্বামী

ফরিদপুরে ভাড়া বাসায় মিললো স্ত্রীর মরদেহ পালিয়েছে স্বামী

ফরিদপুর সংবাদদাতা:

ফরিদপুরে একটি ভাড়া বাসা থেকে মিম আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তার স্বামী ওই বাসা থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে শহরের রঘুনন্দনপুরের আব্দুল জলিলের চতুর্থ তলা ভবনের দোতলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী শরিয়তপুরের জাজিরা সদর ইউনিয়নের সিরাজ শেখের মেয়ে। গত ৬ মাস আগে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখীর গ্রামের মিরাজ বিশ্বাস (২৫) নামে এক যুবক ও মিম স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। ভবন মালিক জলিল শেখের স্ত্রী নীরুন্নাহার বারী জানান, প্রায় ৬ মাস আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেন দুজন। তাদের মধ্যে স্ত্রী মিম একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন এবং মিরাজ বিশ্বাস একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন বলে জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকাল রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার ভোর রাতে আমাকে ডেকে গেইটের তালা খুলে দিতে বলে মিরাজ। কারণ জানতে চাইলে বলে, তার এক আত্মীয় মারা গেছে। পরে গেইট খুলে দিলে সে চলে যায়। শনিবার সকালে দুইজন ছেলে এসে মিরাজের আত্মীয় পরিচয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় যেতে চায়। তারপর আমরা গিয়ে মিমের মরদেহ ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখি। তা দেখেই ওই দুইজনও কৌশলে পালিয়ে যায়। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহটি ঘরের ভেতর কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ছিল। গলায় একটি আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে। ঘটনার পর তার স্বামী পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম