তারিখ লোড হচ্ছে...

প্লট দুর্নীতি: রেহানা-টিউলিপ-ববি-আজমিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্লট দুর্নীতি: রেহানা-টিউলিপ-ববি-আজমিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

রাজধানীর নতুন শহর পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির ঘটনায় পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে এসব মামলার বাদীরা জবানবন্দি দেন।

এ তিনটিসহ মোট ৬ মামলায় গত ৩১ জুলাই শেখ হাসিনা ও তার দুই সন্তান এবং শেখ রেহেনা ও তার তিন সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম ও বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসব মামলার আসামিরা পলাতক থাকায় ওইদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত।

অপর তিন মামলায় গত ১১ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার দুই সন্তানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন এসব মামলার বাদীরা। ওইদিন শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন, পুতুলসহ ১৮ জনের মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও জয়সহ ১৭ জনের মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান সাক্ষ্য দেন।

এসব মামলায় শেখ পরিবারের সদস্য ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে শেখ হাসিনা ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ০০৯) বরাদ্দ পেয়েছেন। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট তার নামে রাজউক প্লটের বরাদ্দপত্র দেয়।

এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয় (প্লট নম্বর ০১৫) এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও (প্লট নম্বর ০১৭) ১০ কাঠা করে প্লট পেয়েছেন। জয়ের বরাদ্দপত্র ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর দেওয়া হয় এবং ১০ নভেম্বর মালিকানা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। পুতুলের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয় ওই বছরের ২ নভেম্বর।

শেখ রেহানাও ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ০১৩) বরাদ্দ পেয়েছেন। তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের (প্লট নম্বর ০১১) এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের (প্লট নম্বর ০১৯) নামেও একই পরিমাণের প্লট বরাদ্দ হয়েছে।
পরে চলতি বছরের গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক

সাবের হোসেন ও আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীতে পুলিশের হেফাজতে ছাত্রদল নেতা মো. নুরুজ্জামান জনি নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেন নিহত জনির বাবা ইয়াকুব আলী। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৯ জানুযারি সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হীরাকে দেখতে যান নুরুজ্জামান জনি ও তার সহপাঠী মইন। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেরার পথে তাদের ডিবি পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন চালান আসামিরা। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন দক্ষিণ কার্যালয়ে নিয়েও নির্যাতন চালানো হয়।

ওই সময় খিলগাঁও থানা, ডিবি দক্ষিণ অফিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিসসহ বিভিন্ন থানায় হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান জনির সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুনিয়া পারভিনসহ আত্মীয়স্বজনরা। কিন্তু তাকে আটক করা হয়নি বলে জানানো হয়।

ঠিক একদিন পর ২০ জানুয়ারি ভোরে খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর খেলার মাঠের আশপাশের মানুষজন চিৎকার শুনতে পান। নির্যাতিত ব্যক্তিটি ‘পানি পানি’ বলে চিৎকার ও ‘মা মা’ বলে আর্তনাদ করতে থাকেন। ওই রাতের কান্নার শব্দ শুনতে পান একই এলাকার সি-ব্লকের বাসিন্দা লাভলী বেগম। এছাড়া রাত ৩টার দিকে ‘ও মাগো, মা, মা.. বাঁচাও’ বলে কয়েকবার চিৎকার শুনেছেন বলে জানান এ-ব্লকের বাসিন্দা সাইফুদ্দিনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার সেতু।

পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তখন আসামিরা বলেন, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জনি নিহত হয়েছেন। এরপর তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যান। সেখানে জনির বুকের বামে, ডান দিকে, দুই হাতের তালুতে ১৬টি গুলির চিহ্ন দেখেন। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম