তারিখ লোড হচ্ছে...

সিদ্ধার্থকে দেখতে শ্মশানে প্রেমিকা শেহনাজ

জাকিয়া মাসুদ ॥
বিগ বস জয়ী অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ওশিওয়ারা শ্মশানে শেষকৃত্য করা হয়। সেখানে যান সিদ্ধার্থের প্রেমিকা শেহনাজ গিল। শ্মশানে প্রেমিককে শেষবারের মতো দেখতে যান শেহনাজ। সঙ্গে ছিলেন তার ভাই শাহবাজ।

শ্মশানে পৌঁছতেই ফটোগ্রাফাররা ছবি তুলতে ঘিরে ধরেন তাকে। গাড়ির ভেতরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শেহনাজ। ভাইয়ের হাত শক্ত করে ধরে রাখেন তিনি। শেহনাজের পরনে সাদা এবং লাল রঙের সালোয়ার।

তার চুল এলোমেলো। মাস্ক পরা থাকলেও তার মুখে শোকের ছাপ স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার সিদ্ধার্থের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরেই শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। তার বাবা জানান, প্রেমিকের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শেহনাজ।
সিদ্ধার্থের ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর কুপার হাসপাতাল থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল চত্ত্বরে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, হাসপাতাল থেকে সিদ্ধার্থের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পরিকল্পনা বদলে যায়। ফুল দিয়ে সাজানো অ্যাম্বুলেন্স করে সোজা তাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিদ্ধার্থের মা রিতা শুক্লও শ্মশানে ছিলেন। এছাড়াও প্রয়াত অভিনেতার অনুরাগী এবং বন্ধুরাও উপস্থিত হন সেখানে। ‘বিগ বস’ খ্যাত অভিনব শুক্ল এবং গায়কা দর্শক রাওয়ালও যান বন্ধুকে চিরবিদায় জানাতে।

এতিম শিক্ষার্থীসহ বসুন্ধরার কম্বল পেলেন ১০০০ অসহায়

অনলাইন ডেস্কঃ

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে এক হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সহযোগিতায় এক হাজার অসহায় শীতার্ত মানুষের হাতে এসব কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এ নিয়ে চলতি শীত মৌসুমে দ্বিতীয় দফার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও নরসিংদী জেলায় তিন হাজার কম্বল বিতরণ করা হলো।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অসহায় শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে শুকুন্দী ইউনিয়নের তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ এতিমখানা মাদরাসা এবং ভিটিপাড়া মুহাম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। মনোহরদী উপজেলা শুভসংঘের বন্ধুরা এসব কম্বল বিতরণ করেন।

কম্বল পেয়ে হাররদিয়া এলাকার আছিয়া বেগম (৪৫) বলেন, ‘ছোট্ট দুই বাচ্চা জারে (শীতে) কষ্ট পাইত। কম্বল পাওনে এহন ওরা একটু শান্তিতে রাইতে ঘুমাইতে পারবে। কম্বল পাওনে আমার অনেক উপকার অইছে। ’

দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তিনজনের সংসার আছিয়ার। মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালান তিনি।

কম্বল পেয়েছেন আরেক অসহায় আজিমুন বেগম। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শীতের কষ্টের পর নতুন কম্বল ঈদের আনন্দের মতো লাগছে। আমরা সবাই খুশি। ’

ছেলেমেয়েদের থেকে আলাদা হয়ে এক খুপরিতে একা থাকেন সত্তরোর্ধ্ব আব্দুল মোতালিব। কম্বল পেয়ে তাঁর মুখেও হাসির ঝিলিক। তিনি বলেন, ‘পোলাপান সব দূরে গ্যাছে, আমি এলহা মানুষ ক্যামনে বাঁচি কেউ খোঁজ নেয় না। তোমরাই খোঁজ নিয়া কম্বল দিলা, মনডা খুশিতে ভইর্যা গ্যাছে। ’

নিঃসন্তান রোকেয়া খাতুনও কম্বল পেয়ে বলেন, ‘আমার মতো অসহায়দের খবর নেওয়ার কেউ নেই। কতজন?কে অনুরোধ করলাম একটা কম্বলের জন্য, কেউ দিল না, কিন্তু তোমরা আমা?কে কম্বল দিলে। ’ বয়োবৃদ্ধ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘কদিন ধইরা শীতের ঠ্যালায় ঘুমাইতে পারি না। আজ কম্বল মুড়ি দিয়ে আরাম কইরে একটা ঘুম দিব। ’

মাদরাসাছাত্র হোসাইন আহমেদ বলে, ‘কম্বল পেয়ে আমরা আজ অনেক খুশি। আমরা যারা এখানে থাকি, শীতের রাতে আমাদের ঘুমাতে কষ্ট হতো। কম্বল পেয়েছি, আমরা এখন রাতে আরামে ঘুমাতে পারব। ’

মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমাদের মাদরাসায় যারা পড়াশোনা করে তারা বেশির ভাগই এতিম ও দরিদ্র। আমরা চেষ্টা করছি তাদের সব চাহিদা পূরণ করে ইসলামী শিক্ষা দেওয়ার। বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ আমাদের ছেলেদের কিছুটা হলেও ঠাণ্ডাটা লাঘব হবে। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ যেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের মঙ্গল করেন। ’

কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, নরসিংদী জেলা পরিষদের সদস্য এ কে এম জহিরুল হক, ইসরাত জাহান তামান্না, শুভসংঘের মনোহরদী শাখার সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, শুভসংঘের সাবেক সভাপতি মো. হারুন-অর-রশিদ, কালের কণ্ঠ’র মনোহরদী প্রতিনিধি মুহা. ইসমাইল হোসাইন খান, নিউজটোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি হৃদয় খান, মনোহরদী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জে এম শাহজাহান মোল্লা প্রমুখ।

শুভসংঘের মনোহরদী উপজেলা শাখার সভাপতি মাসুদ রানা ব?লেন, ‘প্রতি শীত মৌসুমেই শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ ছাড়াও বিভিন্ন মানবিক কাজে ভূমিকা রেখে চলেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ’

নরসিংদী জেলা পরিষদ সদস্য এ কে এম জহিরুল হক বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানাই। ’

কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ‘শীতার্তদের মধ্যে শুভসংঘের মাধ্যমে শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যার। এর অংশ হিসেবে মনোহরদী উপজেলার এক হাজার মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম