তারিখ লোড হচ্ছে...

বাংলাদেশে ইউটিউবে অশ্লীল ভিডিওর ছড়াছড়ি

মোহাম্মদ মাসুদ॥

দিন দিন প্রযুক্তির কল্যাণে এখন অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছেন। টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের জন্য সরকারি নিয়ম-নীতি থাকলেও এই ইউটিউব চ্যানেলের জন্য তা নেই। সবাই এখানে ব্যাপক স্বাধীনতা পাচ্ছেন। প্রযুক্তি সব কিছু আমাদের সহজ করে দিচ্ছে। ফলে যে যার মতো সেটিকে ব্যবহার করছে। বাণিজ্যিক ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলগুলোও এখন নানা রকম কন্টেন্ট প্রকাশ করছে। তবে, এই কন্টেন্টগুলোর বেশিরভাগ অশ্লীলতায় ভরপুর। এই কন্টেন্টগুলোর কমেন্টস বক্সে কোনো পজেটিভ মন্তব্য থাকে না দর্শকের।
অরুচিকর ও বিরক্তিকর বলেই সবাই মত প্রকাশ করেন। তবুও থেমে নেই এসব কন্টেন্টের প্রকাশ। আর্থিক সুবিধা ও বেশি ভিউয়ার্সের জন্য এসব কন্টেন্টগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। একটি কন্টেন্ট প্রকাশের এক মাসেরও কম সময়ে এগুলোতে দেখা যায় ২০ থেকে ৩০ লাখ ভিউয়ার্স। ‘মডার্ন ভাদাইম্যা’, চাকুরির ইন্টারভিউ, ডাক্তার সাহেব, ভাবির জ্বালা, দেবর ভাবি, ‘ছোট টাইসান’, ‘বাসর ঘরে আপনি কি করবেন’সহ এমন অনেক কন্টেন্ট দেশীয় ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে প্রকাশ হচ্ছে। দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে নিম্নমানের নির্মাতারা ভিউ ও আর্থিক লাভের আশায় তৈরি করছেন সুড়সুড়ি দেয়া কন্টেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে মূলধারার কন্টেন্টগুলোতেও থাকছে অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। টিভিতে নাটক প্রচারের জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে নাটক নির্মাণ করতে হয়। কিন্তু ইউটিউবের জন্য নাটক-ওয়েব সিরিজ নির্মাণের জন্য কোনো নিয়ম মানার প্রয়োজন পড়ে না। এদিকে যে সব নির্মাতা টিভিতে নাটক প্রচারে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের অনেকেই ইউটিউবের জন্য নির্মাণ করছেন ওয়েব সিরিজ। ওয়েব সিরিজ এই সময়ে অনলাইন দর্শকের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশ্বের নানা দেশে বড় বড় নির্মাতা ও তারকারা ওয়েব সিরিজে এই সময়ে কাজ করছেন। দেশীয় নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পীরাও এ মাধ্যমটিতে এখন ঝুঁকছেন। কিন্তু দেশীয় ওয়েব সিরিজগুলোতে থাকছে অশ্লীলতা। নির্মাণশৈলীতে নেই কোনো শৈল্পিকতা। সিরিজের নামে যৌনতার উচ্ছৃঙ্খল চিত্রায়ণ দেখানো হচ্ছে। অনেকে গল্প আর চরিত্রের চেয়ে যৌনতা, বিছানা দৃশ্য আর অশ্লীলতায় উস্কানি দেয় এমন সব সংলাপকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। দর্শক বিনোদন পাবার আশায় এগুলো দেখে বেশ বিরক্ত হচ্ছে। পাশের দেশের ওয়েব সিরিজগুলোও অশ্লীলতায় ভরপুর। তবে সে দেশে ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর বোর্ড চাওয়া হয়েছে শুরু থেকেই। আমাদের দেশেও ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সরের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। ইউটিউবে অশ্লীল ভিডিও ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত বলেন, আমরা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জানি না বলেই আমাদের এই অধঃপতন। প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে। তাই বলে এটিকে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করতে হবে তার কোনো মানে হয় না। একজন সূস্থ মানুষ কখনো এসব অশ্লীলতার পক্ষে বলবে না। আমি মনে করি, প্রশাসনিকভাবে এগুলোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। যে সব ইউটিউব চ্যানেল থেকে এ ধরনের অশ্লীল কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাহলে ক্রমান্বয়ে এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়েব সিরিজ নির্মাণের জন্যও কিছু নিয়ম-নীতি তৈরি করা হলে যে সে আর এগুলো নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসবে না। নির্মাতা ও অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, ভারত যেখানে ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সরের কথা ভাবছে তাহলে বুঝতে হবে এটির ভয়াবহতা কোন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ওয়েব সিরিজ অনলাইন দর্শকের জন্য বিনোদনের নতুন একটি মাধ্যম। কিন্তু এই বিনোদনের মানে এই নয় এখানে অশ্লীল কিছু নিয়ে দর্শকের সামনে আসতে হবে। দর্শক বরারবই রুচিশীল কন্টেন্ট দেখতে চায় বলে আমি মনে করি। এ ছাড়া সস্তা ও মানহীন ভিডিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। না হয় নতুন প্রজন্মের নৈতিকতার অবক্ষয় হবে। অভিযোগ রেয়েছে এই সকল চ্যানেলে সাধারন মেয়েদের অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার নাম করে তাদেরকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করানো হচ্ছে এমন কি এসব কথিত নায়িকাদেরকে বড় বড় কর্তা ব্যাক্তিদের বিছানায় পাঠিয়ে আদায় করা হচ্ছে বড় কোন কাজ না হয় মোটা অংকের টাকা। এই টাকা থেকে এসব মেয়েদের কিছু দিয়েই শান্ত করা হয় এমনকি বিদেশ ভ্রমনেও পাটানো হয় তাদের।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের শেখ বিল্লালের দুর্নীতির মাইলফলক, গড়েছেন অট্রালিকাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের শেখ বিল্লালের দুর্নীতির মাইলফলক, গড়েছেন অট্রালিকাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি

মো: ইসমাইল হোসেনঃ

দীর্ঘ সময়ের ফ্যাসিবাদের সুযোগে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতিতে। বর্তমান বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে আসছে অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনেক কর্মকর্তার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এলেও অনেক কর্মকর্তার দুর্নীতি রয়েছে অগোচরে। বর্তমান সময়ে বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন সাধারণ ভুক্তভোগী জনতা। এবার প্রকাশ্যে এলো ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পেশকার শেখ বিল্লালের দুর্নীতির চিত্র।

জমি-জায়গা নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দুর্নীতির কবলে পড়েননি বা জিম্মি হতে হয়নি এমন কাউকে পাওয়া বিরল। বিশেষ করে অর্থনৈতিক হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। নিয়মানুযায়ী সরকারী চাকরির বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ হলেও দুর্নীতিবাজ শেখ বিল্লাল চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সে। সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী পেশকার পদের বেতন গ্রেড ১৬ এর অন্তর্ভুক্ত। যার বর্তমান বেতন কাঠামো ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা। অথচ কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মালিক শেখ বিল্লাল। অল্প সময়ের বছরের চাকরি জীবনে দুর্নীতি করে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। যেনো আঙুল ফুলে কলা গাছ।

ফরিদপুরের বিলমামুদপুর নতুন ডাঙি গ্রামের শেখ আরসাদের তিন পূত্র। বড় ছেলে শেখ ইউনুস (মৃত), মেঝো শেখ বিল্লাল, ছোট শেখ দেলোয়ার।

শেখ বিল্লাল বিলমামুদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পাস করার পর পারিবারিক টানা-হেচঁড়ায় পড়াশোনা আর চালিয়ে যেতে পারেননি। দিন এনে দিন খাওয়ার মতো পরিবার তাদের। তবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রভাব খাটিয়ে ফরিদপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রিার কার্যালয়ের অফিসে পিয়ন পদে চাকুরি নেন শেখ বিল্লাল। দুই বছর যেতে না যেতেই পদন্নতি পেয়ে হয়ে যান একজন পেশকার। পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পেশকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নাহিয়ান ইমন নামের এক ভুক্তভোগী দুদকে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। শেখ বিল্লালের বিরুদ্ধে রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনের মতো কাজেও সরকারী ফির থেকেও বাড়তি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ। বিভিন্ন অযুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করে ঘুষ গ্রহন করা। এবং সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া।

শেখ বিল্লাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার বদলে তাদের সাথে প্রতারণা করে নিজ গ্রাম ও শশুর বাড়িতে ক্রয় করেছেন বিঘায় বিঘা জমি।

অনুসন্ধানে উঠে আসে ফরিদপুরের বিলমামুদপুর নতুন ডাঙি নিজ গ্রামে গড়েছেন (কোহিনুর মন্জিল) নামে আলিশান অট্রালিকার বাড়ি। নিজের ৬ কাঠা জমিসহ সরকারী ২ কাঠা রাস্তার জায়গা দখল করে তার বাড়িটি নির্মাণ করেছেন।

শেখ বিল্লালের দুটি পূত্র, (বড় সাইফুল), (ছোট সাকিব)। বড় ছেলে সাইফুলও ব্যবহার করেন দামি পোশাক, দামি গাড়ি, দামি ফোন।

শেখ বিল্লালের ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে একজন বলেন, সাইফুল খুবই ভয়ংকর, এলাকার মধ্যে একধরনের ত্রাস করে বেড়ান।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শেখ বিল্লালের বাড়িতে ৪-৫ বছর আগেও চুলা তেমন একটা জ্বলতো না, কিন্তুু শেষ বয়সে সরকারী চাকরি নেওয়ার সাথে সাথে এতো বড় অট্রালিকা বানানো সত্যিই চোখে নাড়া দেওয়ার মতো।

আরেকজন স্থানীয় বলেন, শেখ বিল্লাল মোবারক খলিফার দাপটে পুরো গ্রামে ত্রাস করে বেড়াতেন।

মোবারক খলিফা কে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবারক খলিফা সাবেক আওয়ামীলীগের কাউন্সিল, কিন্তুু বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।

এবিষয়ে শেখ বিল্লালকে কল করা হলে তিনি বলেন বাড়িটি লোন করে করা হয়েছে, আর আমি এখনো অভিযোগটি দেখিনি, পাঠিয়ে দিন। দেখে আমি জানাচ্ছি।
কিন্তুু পরবর্তীতে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার তনু রায়, ফরিদপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামকে একাধিক কল করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

language Change
সংবাদ শিরোনাম
শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ মানিকছড়িতে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদুদ ভূইয়া'র পথসভা সীমান্ত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি সিন্ডিকেটে আটকে আছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কোটি টাকার মেশিন কেরানীগঞ্জে ঠিকাদার রফিকের অবৈধ গ্যাস সংযোগে টাকার মেশিনের সন্ধান আগুন সন্ত্রাস আটক করায় গুলশান ট্রাফিক পুরস্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি থানা ও ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সোহেল রানা বহিষ্কার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী সাইবার দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা