তারিখ লোড হচ্ছে...

গণপূর্তে ফের বদলী বাণিজ্য: ২ দিনে ১৪ নির্বাহী প্রকৌশলী বদলী: জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ পদায়ন করা হচ্ছে!

স্টাফ রিপোর্টার
গণপূর্তের পীর সিন্ডিকেট আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা বিজয়ের মাসেও বদলী বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছে। তবে এবার তাদের টার্গেট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রকৌশলীবৃন্দ। এ মাসেই তারা নাকি ঢাকার বিভিন্ন জোন ও বিভাগ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্বাহী, সহকারী ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীদের ঢাকার বাইরে বদলী করার জন্য একটা তালিকা তৈরি করেছেন। এই তালিকায় প্রায় শতাধিক প্রকৌশলীর নাম রয়েছে।
এ খাতে শত কোটি টাকার বদলী বাণিজ্যের টার্গেট করা হয়েছে মর্মে একাধিক প্রকৌশলী দাবী করেছেন। আর এই বদলী বাণিজ্যের নেপথ্যে মুখ্য কারিগরের ভুমিকা পালন করছেন প্রধান প্রকৌশলীর খাস লোক খ্যাত ঠিকাদার নুসরাত আহমেদ,মিরপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুজ্জামান চন্নু এবং আজিমপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস হোসেন।
তারা প্রতিজন নির্বাহী প্রকৌশলী বদলীতে ৬০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রধান প্রকৌশলী এই নিয়োগ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করে বলেছেন এটা তাদের রুটিং ওয়ার্ক।
বদলী বাণিজ্যের প্রথম ধাপে চলতি মাসের ৬ ও ৭ ডিসেম্বর প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরাদেশে মোট ১৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিভিন্ন জেলায় বদলী করা হয়েছে। যার স্মারক নং,২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৩.২২.১২৫৪, তাং ০৬/১২/২০২২ এবং ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৩.২২.১২৬১ তাং ০৭/১২/২০২২ ইং। তাদের মাত্র ১ কর্ম দিবসের মধ্যে বদলীকৃত স্থানে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দুইটি বদলী আদেশে যে ১৪ জন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বদলী করা হয়েছে তাদের করো কারো কর্মস্থলে মাত্র দেড় বছর থাকার রেকর্ড রয়েছে।
আলোচ্য বদলী আদেশে ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলকে শেরপুর গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হয়েছে। তিনি মাত্র দেড় বছর আগে এই বিভাগে বদলী হয়ে এসেছিলেন। তার পারফরমেন্সও ভালো ছিলো। তিন বছর মেয়াদ পূর্তির আগেই তাকে বদলী করে তার ওপর অবিচার করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এ দিকে একটি সুত্রের দাবী, ঢাকা নগর গণপূর্তের এই পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। প্রতি বছর বাজেটও দেওয়া হয় মোটা অংকের। আর সে কারণেই এই পদে জামায়াত বিএনপি সমর্থিত প্রকৌশলীদের পদায়ন করে তাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারে উতখাতে অপতপরতা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সুত্রগুলোর আরো দাবী প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার একজন পীর খেতাবধারি ব্যক্তি বিধান তিনি সব সময়ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রকৌশলীদের সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ করেন। তাদেরকে কথায় কথায় অপমান করেন। তাদের বিভাগে কম বাজেট বরাদ্দ দেন। এমন কি তার সাথে দেখা করতে এলেও ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। এর আগে একজন সনাতন ধর্মের নির্বাহী প্রকৌশল প্রধান প্রকৌশলীকে সালাম দিলে তিনি সালামের জবাবে বলেন “ বিধর্মীদের সালাম নেওয়া যায় না“। এভাবে তিনি সনাতন ধর্মের প্রকৌশলীদের মান অপমান করে থাকেন। বিজয়ের মাসে প্রধান প্রকৌশলীর এই বদলী বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের শত শত প্রকৌশলী। তাদের ভাষ্যমতে “ ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মারার গোসাই“ এর ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার। তিনি প্রায় ২ বছর প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে এলেও এ্কটি নতুন প্রকল্পও সৃষ্টি করতে পারেন নি। আনতে পারেন নি নতুন কোন প্রকল্প বা সরকারি বরাদ্দ। তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। প্রকৌশলীরা বেকার হয়ে বসে আছেন। বসে বসে তারা সরকারি বেতন ভাতা অণিষ্ট করছেন। তাদের কাজের ব্যবস্থা না করে তিনি বদলী বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা বসাচ্ছেন।
তারা স্পষ্ট করে বলেন,এমন অকর্মা প্রধান প্রকৌশলীকে তারা আর একটি দিনও অধিদপ্তরে চান না। অনতিবিলম্বে তার অপসারণ চান। বদলী বাণিজ্যের নিরসন চান। গত ৬/৭ ডিসেম্বর যাদের বদলী করা হয়েছে সেটাও বাতিল চান। অন্যথায় তারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে তার‌্য প্রধান মন্ত্রী,গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও গণপূর্ত সচিবের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

ডেঙ্গু আক্রান্তদের বয়স ১০ বছরের নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে শিশুরাই বেশি। চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ১ শতাংশের বয়স ১০ বছরের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৭৫ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতেই রয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জন। একদিনে ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর মধ্যে শূন্য থেকে ১ বছরের মধ্যে রয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ২৬ দশমিক ১ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের রয়েছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১০ দশমিক ৪ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং ৬০ বছরের উপরে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ রয়েছে। সেপ্টেম্বরের ৬ দিনে ১ হাজার ৭৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। দেশে ডেঙ্গুতে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের এই কয়েকদিনে ৬ জন, আগস্টে মারা গেছেন ৩৪ জন এবং জুলাইতে ১২ জন। আগস্টে ৭ হাজার ৬৯৮ জন, জুলাইয়ে ২ হাজার ২৮৬ জন এবং জুন মাসে ২৭২ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৫ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৩৩ জন। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে মোট ভর্তি রোগী আছেন ১ হাজার ৭৪ জন। অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৫৯ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৯১ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১০ হাজার ৮০৬ জন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম